নয়ন॥ একাত্তরের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর হত্যাযজ্ঞের দিনটিকে ‘গণহত্যা দিবস’ ঘোষণার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ। এই ভয়াল কালরাত্রীকে গণহত্যা দিবস পালনের ঘোষণা দেয়া একটি সাহসিকতা এবং সময়োপযোগী দৃষ্টান্ত। যার দাবি যুক্তিক এবং কঠিন সত্যটি এখন নিরবে না থেকে প্রকাশ্যে বঙালীর সামনে ইতিহাসের পাতায় সমুজ্জল হবে আগামী প্রজন্মের জন্য। সাধুবাদ জানাই বীর বাঙ্গালীর প্রবক্তা এবং বাংলাদেশের জনক বঙ্গবন্ধুর কণ্যার এই বুদ্ধিদীপ্ত ভ’মিকা বাস্তবায়নের জন্য।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই বিষয়টি সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়। ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস ঘোষণার পাশাপাশি এ দিনকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে পালনের জন্য ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত একটি দিবস হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাবও মন্ত্রিসভা অনুমোদন করেছে। দিবসটি আন্তর্জাতিকভাবেও পালনের জন্য ইতিমধ্যে জাতিসংঘে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রিসভার অনুমোদনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হওয়ায় এখন থেকে প্রতি বছর বাংলাদেশে জাতীয়ভাবে দিবসটি পালন করা হবে।
এই দিবসটির তাৎপর্য এখন পুরাতন এবং নূতন সকলেই বুঝতে এবং জানতে পারবে। যার মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম তথা পুরোনো প্রকৃত ইতিহাস জেনে ষড়যন্ত্রকারীদেরকে চিহ্নিত এবং এর সঙ্গে যুক্ত বর্তমান যুগের ঘৃনীত লোকদেরও পরিচয় জেনে নুতন বাংলাদেশ বিনির্মানে এগিয়ে যেতে পারবে।