বর্তমান সময়ে আমাদের অনেক কিছু ভাবতে, শিখতে ও জানতে হবে; আর এ জানাই হবে আমাদের জন্য আগামী দিনের প্রস্তুতি। এই নির্বাচনের জন্য বিশেষ করে সরকারকে ধন্যবাদ দেয়, কারন সরকার তার কথায় এবং কাজে প্রমান দিয়েছে। আগামী জাতিয় নির্বাচন কেমন হবে সেই স্বাক্ষর এই কুসিক নির্বাচনের মাধ্যমে রেখেছে। সরকার কত আন্তরিক একটি নিরপেক্ষা নির্বাচনের জন্য তা এই কুসিক নির্বাচনই প্রমান করেছে। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশন নিয়ে নানারকম মুখরোচক কথার পরিসমাপ্তি ঘটেছে। এই নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে হয়তো সবাই এখন টের পেয়েছেন; তাদের যোগ্যতা এবং দক্ষতা নিয়ে।
কুমিল্লার নির্বাচন থেকে আমাদের শিক্ষা নেয়া উচিত। এই নির্বাচন থেকে খুজে বের করা উচিত, কোথায় কোন ধরণের দুবলতা ছিল কিনা এবং সেই দূর্বলতাগুলি কিভাবে মোকাবেলা করে আগামী নির্বাচনকে আরো শক্তিশালী ও অর্থবহ করা যায়। আমরা মানুষ আমাদের সকল কাজেই কিছু না কিছু দুর্বলতা থাকবে। আমরা দুর্বলতার উর্দ্ধে নয়। সকল দুর্বলতার উর্দ্ধে একমাত্র তিনি যিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন। তারপরও সরকারের সহযোগীতা পেয়ে নির্বাচন কমিশন তার সফলতার স্বাক্ষর রেখেছে। এখন আমাদের সাধারণ জনগণের সন্তুষ্টির স্বাক্ষর রাখতে হবে। সাধারণ জনগনের উপর যে দায়িত্ব (ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয়, কর্মক্ষেত্রে ও রাজনৈতিক); সেই দায়িত্বেও সফলতার স্বাক্ষর বহন করে যেতে হবে। এখন আর অন্যের দোষ ধরার সময় আমাদের নেই। আমাদের প্রত্যেকের নিজ নিজ দুর্বলতা ও সমস্যাগুলো খুজে বের করে সামনের দিকে এগুনোই হবে সফলতার স্তরে পৌঁছার ১ম ধাপ।
ডিজিটাল যুগের ডিজিটাল প্রতিযোগীতা ও কঠিন বাস্তবতায় টিকে থাকলে হলে আন্যের দোষ খোঁজা বন্ধ করতে হবে এবং নিজের দোষ খোঁজা শুরু করতে হবে। নিজেকে অন্যের তরে প্রতিষ্ঠিত করার প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করে এগিয়ে যেতে হবে। পিছিয়ে পড়ার তালিকা থেকে নিজেকে বের করে আনতে হবে। কথায় আছে “অলস মস্তিঙ্ক শয়তানের আড্ডা” সেই আড্ডাখানা ভেঙ্গে চুড়ে খান খান করে এগিয়ে আসতে হবে যোগ্যতর সম্মানীত স্থানে অধিষ্টিত হওয়ার জন্য। ফল দেখতে হলে চিন্তা এবং কাজের সমন্বয় ঘটাতে হবে। মুখে মুখে বলে গেলে হবে না বা মনে মনে শুধু ভাবলে বা চিন্তা / পরিকল্পনা করলেই চলবে না। চিন্তা/ পরিকল্পনা + কাজের সমন্বয় ঘটাতে হবে আর এখনই এর উপযুক্ত সময়।
স্বাধীনতার মাসের শেষ দিবসে এসে একটি স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতার প্রতিকস্বরূপ ফল উপহার দিয়ে প্রমান করলো সরকার আন্তরিকভাবে সকল বিভাগগুলি বা সরকারের অধিনস্ত সকল ডিপাটমেন্ট বা শাখাগুলিকে পুর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা দিয়ে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছে। আর সেই সুযোগের এবং স্বাধীনতার ফল হল কুসিক এবং সিলেটের নির্বাচনী ফল। এর পরেও বলব আমাদের ভুল হবে এবং সেই ভুল থেকে শিক্ষা নিতে হবে। এই শিক্ষাই হবে আগামী দিনের উন্নতশীল বাংলাদেশ গড়ার হাতিয়ার। স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে হলে প্রতি মুহুত্ত্বে শিখতে হবে। প্রতিটি মুহুর্ত্বকে কাজে লাগাতে হবে। প্রতিটি মুহুর্ত্বে নিজেকে বদলাতে হবে। পৃথিবীর উন্নয়ন এর গতি এগুচ্ছে দ্রুত লয়ে এবং পরিবর্তীত হচ্ছে রুপরেখা। আর এই দ্রুত লয় ও রূপরেখাকে আমাদের জীবনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে গিগাবাইট গতিতে। গল্পগুজব ও আড্ডায় মেতে থাকার সময়ের দিন এখন ফুরিয়ে যাচ্ছে। নিয়তির নিয়মের বেড়াজালে এখন নিজেকে বদলানোই সবচেয়ে বড় এবং মহৎ কাজ। যদি নিজেকে বদলাতে না পারি বা পুরোনো ছুড়ে ফেলে নতুন নিয়ে এগিয়ে আসতে না পারি তাহলে সরকারের সামগ্রিক চেষ্টা থাকলেও সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব হবে না। সরকারের আন্তরিকতা ও উন্নয়ন পরিকল্পনার সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করতে পুরোনো খুলস ছেড়ে নতুনকে আকঁড়ে ধরে এগিয়ে আসতে হবে। এখন আমরা উন্নতির দৌঁড়গোড়ায় এবং আমাদের দরজায় উন্নয়ন ও উন্নতি হাতছানি দিচ্ছে কিন্তু এই উন্নয়ন ও উন্নতি ভোগ করতে বা গ্রহন করতে প্রয়োজন ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি এবং রূপান্তরিত জীবন।
আমাদের রূপান্তরিত জীবন যেন হয় সম্পূর্ণ স্বাধীনতার পক্ষের এবং মুক্তিযোদ্ধের চেতনার ধারণ ও বাহন। সর্বোপরি ঐ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাস্তাবায়নই পারে আমাদেরকে আগামী দিনে উন্নয়ন ও উন্নতিতে “উন্নত মম শীর” হয়ে বিশ্বদরবারে স্বীকৃতি লাভ করতে। ৬৯,৭১ এর পুনরাবৃত্তি এই বাংলাদেশী বাঙ্গালীরা বার বারই করে দেখিয়েছে এবং আগামী দিনেও করে দেখাবে। এটাই নিয়তির কঠিন সত্য এবং বাস্তবতা। কখনো ভাবতে হবে আমি পারি এবং সামষ্টিক ভাবে ভাবতে হবে আমরাও পারি। আমি, সে, তুমি যদি পারি এই ভাবনার উদয়ই আমাদেরকে একত্রিত করবে আমরাও পারি জগতের সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছাতে। আমাদেরকে স্মরণ করতে হবে সেই ৭১ এর গর্জের উঠার কথা, বঙ্গবন্ধুর সেই কালজয়ী বিশ্ব বিখ্যাত ভাষনের কথা। তখন আমাদের ছিল না অস্ত্র এবং প্রশিক্ষণ, কিন্তু ছিল ঐক্য এবং মনোবল। আর ইচ্ছাশক্তির বহি:প্রকাশ। যার যা আছে তাই নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ার মহাকাব্য আজও দরকার। ৩০ লক্ষ্য শহীদ ও দুই লক্ষ্য সম্ভম হারানো মা-বোনের ত্যাগের মহাত্ম। যেখানে ছিল না কোন ব্যক্তি স্বাথ্য, ছিল শুধু স্পৃহা এবং ভালবাসার মহাসাগরের জোয়ার। ছিনিয়ে আনার স্পৃহা ও তৃষ্ণা আজও কাজ করে আমাদের জীবনে। এই আগ্রহকে কাজে লাগানোর জন্য আমাদেরকে এগিয়ে আসতে হবে সার্বজনীন কল্যাণের তরে সকল মত ও পথের উর্ধ্বে উঠে। আসুন সেদিনের সেই গণ জোয়ার ও নি:স্বার্থ ভালোবাসার বন্ধন অটুট রেখে মজবুত করি আমাদের প্রীয় এই মার্তৃভুমির উদীয়মান মর্যাদা। আমরা কোন দলের নয়, কোন গ্রোত্রের নয়, কোন ধর্মের বেড়াজালে আবদ্দ্য নয়, কোন জাতি বা বর্ণের ছকে বন্দী নয়, আমাদের পরিচয় একটাই মুক্তিযোদ্ধ ও স্বাধীনতার পক্ষের শক্তির। এই শক্তির উৎস হয়ে এগিয়ে যায় উন্নয়ন গতি ও লয়ের সঙ্গে তাহলেই বঙ্গবন্ধুর সেই উক্তি আবারো ফিরে আসবে আমাদের মাঝে “তোমাদেরকে কেউ ধাবায়ে রাখতে পারবে না”। হ্যা আমাদেরকে কেউ ধাবায়ে রাখতে পারেনি এবং আগামীতেও পারবে না।
বিগত বছগুলোর দিকে দৃষ্টিপাত করা গেলে দেখা যায় যে, বাংলাদেশ, উন্নয়ন ও সরকারকে ধাবায়ে রাখার নিমিত্তে এমন কোন কর্মযজ্ঞ নেই যে দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক মহল করেনি। যা আপনাদের দৃষ্টিসীমার বাইরে নয়। মিডিয়ার কল্যাণে এবং সরকারের আন্তরিকতায় সবই এখন পরিস্কার। জাতীয় ঐক্যবদ্ধতাই সরকারকে যুগিয়েছে ঐসকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আজকের অবস্থানে এগিয়ে আসতে। ষড়যন্ত্র থেমে নেই। এই ষড়যন্ত্রকারীদের আমরা সকলেই চিনি এবং এর বিরুদ্ধে সোচ্ছার হয়ে সেই স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনার মত আরেকটি বার ফুসে উঠার দায়িত্ব এখন তৃতীয় প্রজন্মের মুক্তিযোদ্ধাদের উপর। উৎসাহ, উদ্ধিপনা ও অনুপ্রেরণা আমাদের ত্রিশ লক্ষ শহীদ ও দুই লক্ষ মা-বোন। দেশিয়ভাবে যারা এখন জঙ্গি চাষ করছে এবং বিদেশী টাকা দিয়ে, নারী দিয়ে, নেশা জাতিয় দ্রব্য দিয়ে এমনকি ধর্মের বেড়াজালে আটকিয়ে। বড় ধরণের নাশকতার লক্ষ্যে এবং দেশকে অস্থিতিশীল করার অভিপ্রায়ে ও আগামী নির্বাচনে বড় ধরণের বিশৃংখলা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে যে সকল কর্মকান্ড ও প্রশিক্ষণ এখন চলমান তা থেকে আমাদেরকে প্রতিহত করার মূলমন্ত্রে এগিয়ে আসতে হবে। কিছুদিন পরপর আমরা হারাচ্ছি আমাদের উজ্জ্বল সম্পদ ও মূল্যবান শ্রেষ্ঠ প্রাণ। বিভিন্ন বাহিনীর অফিসার থেকে শুরু করে ঐ বাহিনীর সদস্যদেরও। এটা খুবই দুঃখের এবং যে জঙ্গি হয়ে সন্ত্রাসী কাজটি করে যাচ্ছে সেও তো একদিন এই দেশের মহামূল্যবান কাজে নিজেকে বিলিয়ে দিতে পারতো। যারা জঙ্গিতে যুক্ত হয়েছো তোমরাকি ভেবে দেখোছো তোমার পারিবারের কথা। মা-বাবার, স্ত্রী সন্তান এর কথা। তাদেরকে সর্বদিক দিয়ে পথে বসিয়ে তোমার ঘৃণায় পরিণত হয়ে নরকের বাসিন্দা হচ্ছো। এই জন্যেই কি তোমাদের জন্ম হয়েছিল? ভেবে দেখ? এখনও সময় আছে নতুবা সামনে তোমাদেরতো বিপদ কিন্তু তোমার রেখে যাওয়া বাবা-মা, আত্মীয়-স্বজন এবং সন্তানদেরও বিপদ। যা খুবই বেদনার। ফিরো আসো এবং যারা এর পেছনে রয়েছে তাদেরকে চিরতরে শেষ কর। বাংলার জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়ন করবে এবং এই দেশ থেকে জঙ্গি, সন্ত্রাস চিরনিমূল হব। পাশাপাশি আশ্রয়-প্রশয় ও মদদদাতাদের এমনকি অর্থের জোগান দাতাদেরও যবনিকাপাত হবে।
কুমিল্লার নির্বাচনী ফলাফল নিয়ে মিডিয়ায় এবং দলের মধ্যে যেভাবে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে তা আসলে ঠিক নয়। এই দোষারোপের রাজনীতি ছেড়ে কঠিন বাস্তবতা মেনে নিয়ে আমাদেরকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। দলের জন্য এটি একটি সিগন্যান যাতে করে সঠিক জায়গায় ফিরে এসে আগামী নির্বাচনে সফলতা অর্জন করতে পারে। দলীয় কোন্দল ছিল, আছে এবং থাকবে। কিন্তু আমাদেরকে এখন ভাবতে হবে কিভাবে ঐ কোন্দলের অবসান করা যায়। কিভাবে দলকে গোছানো যায়। দলীয় ঐক্য কিভাবে সুদৃড় করা যায়। দলীয় প্রার্থীর বিজয়ের জন্য কিভাবে এক্যবদ্ধ থেকে প্রার্থীর চেয়ে প্রতিকের প্রতি জোড় দেয়া যায়। এই বিষয়গুলি এখন ভাবার জন্য আহবান জানাই। দোষারোপ, মন্দকথা এবং নিজেদের দুর্বলতা অন্যকে জনান না দেয়ার আহবান জানাই। এতে করে দলের ক্ষতি বাড়বে বৈকি কমবে না। দলীয় বিবেদ বৃদ্ধির চেয়ে কমানোই এখন আমাদের করনীয় এবং বুদ্ধিমানের পরিচায়ক হবে। কাদা ছোড়াছুড়ি আর নয় বরং বুদ্ধি দিয়ে আগামী দিনের ঐক্যের লক্ষে যা যা করণীয় তাই করুন। শুধু যে কুমিল্লার কথা বলছি তা নয় বরং সারা দেশেই করুন। যদি দলীয় বিবেদ এবং গ্রুপিং বন্ধ করা যায় তাহলে নৌকার বিজয় ঠেকানোর কোন প্রযুক্তি আগামী ৫টি নির্বাচনেও আবৃস্কিত হবে না এটি নিশ্চয়তা দিবে বলতে পারি।
এখন দরকার ঐক্যের লক্ষে কাজ করা এবং উন্নয়ন সম্পর্কে জনসচেতনা বাড়ানো। গড়ে গড়ে গিয়ে বোঝানোর, তৃণমুলের নেতাদেরকে মুল্যায়ন করুন এবং যাদের মাধ্যমে ভোট বাড়বে তাদেরকে সম্মান দিন। নতুবা আরো খারাপ পরিণতি অপেক্ষা করবে। এমন কোন উন্নয়ন কর্মাকান্ড হাতে নিবেন না যা জনগণের মনে সরকার বিমুখ মনোভাব তৈরী করবে। এমনকি স্থানীয় আওয়ামী লীগকে সতর্ক করুন যাতে তারা জনতাকে ভয়ভীতি না দেখায়। উন্নয়নে যা যা দরকার তা যেন জনগণের সম্পৃক্ততায় করা হয় তাহলে জনমনে ইতিবাচক মনোভাবের উদয় হবে এবং আগামীতে উন্নয়নের সুফল পাওয়া যাবে। নেতার যে গুন থাকা দরকার নেতৃত্বের ক্ষেত্রে সেই গুনাবলী বিহীন লোকদের হাতে নেতৃত্ব তুলে দিয়ে দলের আর সর্বনাশ ডেকে আনবেন না। দলীয় নেতাদের নেতৃত্বের প্রশিক্ষণ দিন। যাতে করে যোগ্য নেতা হয়ে উঠতে পারে। আমি ক্ষুদ্র মানুস তারপরও নিজের দায়বদ্ধতা থেকেই এই লিখা এবং লিখার মাধ্যমে কাউকে কষ্ট দেয়া নয় বরং ভালবাসার গভীরতা দেখাতে চেয়েছি মাত্র।
পরিশেষে বলি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাস্তবায়নের বিকল্প নেই, ভেজাল মুক্ত, দুর্নীতি মুক্ত, নকল মুক্ত, সন্ত্রাস ও জঙ্গিমুক্ত সমাজের বিকল্প নেই। ঘৃণা, অহংকার, দোষারোপ মুক্ত সমাজের বিকল্প নেই। সবাইকে ভালবাসতে শিখুন, ভালবাসেন, ক্ষমা করুন এবং ন¤্রতা, ক্ষমা ও ভালবাসার মাধ্যমে এই জাতিকে সম্বৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিয়ে আসুন। জয়তু আমাদের হবেই। আমাদের ধাবায়ে কেউ রাখতে পারেনি, আগামীতেও পারবে না ইনশাল্লাহ। জয় বাংলা, বাংলাদেশ চিরজীবি হউক।