জঙ্গি, সন্ত্রাস, নকল ও ভেজাল

এই চারের সমন্বয়ে কথা বলতে এগিয়ে আসুন। প্রতিটি কথা যত কঠিন বা দৃষ্টিকটুই হোক না কেন, মনযোগ দিয়ে পড়–ন; ভাবুন (অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যত) তারপর আগামীর তরে সিদ্ধান্ত নিন। এই চারের সমন্বয়ে সৃষ্টি হয় জাহান্নামের দাও দাও করা আগুন। আর এই আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে আমার/ আপনার সোনার বাংলা। আজ আমি হচ্ছি, কাল আপনি হবেন এবং পরশু হবে সে। এইতো জাহান্নামের আগুনের দাও দাও করে জ্বলা জোয়ারের কাজ। আমাদেরকে এখন সকল মত, পথ ও ব্যক্তি স্বার্থের উদ্ধে উঠে এগিয়ে আসতে হবে এই চারের সমন্বয়কে চিরতরে বিনাশ করতে।
যারা আজ বিভিন্ন সভা-সমাবেশে এবং সাংবাদিক সম্মেলন ও গরোয়া পরিবেশে ভুল আওয়াজ দিচ্ছেন এই চারের সমন্বয়কে সমর্থন করে; তাদেরকে বলছি ফিরে আসুন এবং আপনার ছেল-মেয়ে ও নাতি-নাতনিদের আগামীর ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে। কারণ এই জাহান্নামের আগুন থেকে আপনার আমার কারো রেহাই নেই; যদিনা আমরা এর নির্মূল এখনই না করি। র‌্যাব প্রধান বলেছেন এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। আমার প্রশ্ন এই অভিযান পরিচালনা কি শুধু র‌্যাব প্রধানেরই দায়িত্ব? না এই দায়িত্ব আমাদের প্রত্যেকের। যার যার অবস্থান থেকে আমরা এই অভিযানে শরীক হয়ে আরেকটিবার প্রমান করি বাঙ্গালী ঐক্যবদ্ধভাবে সকল অসম্ভবকেই সম্ববে পরিণত করতে পারে এবং পেরেছে ও আগামী পারবে (যা করে দেখাবে)।
জাতিসংঘে আমাদের প্রতিনিধি দুর্নীত এবং জঙ্গিবাদ নিয়ে কথা বলেছেন। সোচ্ছার হওয়ার আহবান জানাচ্ছেন এবং এর নির্মূলে এগিয়ে আসার অনুরোধ রেখেছেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁর প্রতিটি ভাষনে এর বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান এবং তাঁর নেয়া পদক্ষেপের জোরালো হোসিয়ারীও দিয়ে যাচ্ছে। অভিভাবক এবং দেশবাসীর প্রতি রেখে যাচ্ছেন আবেদন ও নিবেদন। কিন্তু কই আমাদের সমাজে আরো অনেকেই তো রয়েছেন, বিরোধী দল, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সুশিল সমাজের কর্ণধারেরা। কই তাদেরতো কোন মাথা ব্যাথা নেই? কারণ কি? একটু ভেবে দেখবেন। তারা কি এই নৈরাজ্যের জন্য লালায়িত? নাকি এর পেছনে এদেরও হাত রয়েছে, যাতে আগামী দিনে লোটের বাটোয়ারাই ভাগ বসাতে পারে।
আমাদের আহবান আসুন সকলেই ঐ চারের সমন্বয়কে চিরতরে বিনাশ করি। সরকারের পদক্ষেপের সঙ্গে নিজেদেরকে যুক্ত করি বা নিজেরা সরকারের সহযোগীতা নিয়ে এগিয়ে যাই। ঐক্যের এবং সু-সমন্বয়ের কোন বিকল্প নেই।
সন্ত্রাস, জঙ্গি, নকল ও ভেজাল আমাদের সামনে দৃশ্যমান। কিন্তু এই দৃশ্যমানের বাইরেও আরেকটি মুখরোচক ভেজাল, নকল দাবিয়ে বেড়াচ্ছে সকলের মুখে মুখে। এই মুখের ভেজাল মিশ্রিত কথা, নকল আবৃত্তি, মৌখিক জঙ্গি ভাব ও এর কথ্য প্রকাশ এমনকি সন্ত্রাসী কায্যক্রমের সাফাই এবং মনোভাব পরিহার করা বাঞ্চনীয়। আমাদেরকে কেউ না কেউ অনুসরণ করে। আর অনুসরণকারীরা আমাদের কাছ থেকেই শিখে এবং সেই অনুযায়ী জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে এর ব্যবহার বা চর্চা করে চলে। সুতারাং সাবধান, আচরণে, কথায় এবং ব্যবহার ও প্রয়োগে। পরিকল্পনায় এবং এর বাহ্যিক দৃশ্যায়মান সকল ক্ষেত্রে। নতুবা অগ্নিস্ফুলিঙ্গ বের হয়ে পুড়ে ছাই হয়ে যাবে সমাজ, সংস্কৃতি এবং মানবতা। ইতিহাসে নতুন করে স্থান করে নিবে এই চারের সমন্বয়।
আসুন আমরা মিলিত হয় মানবতার ছায়াতলে, শান্তির মিছিলে, আনন্দের গণজমায়েতে, উন্নতির ডামাঢোলে, আগামী প্রজন্মের উল্লসিত জীবনের নিশ্চয়তার বাহুবন্ধনে। আমাদের হারাবার কিছু নেই, সব হারিয়েই আমরা ফিরে পেয়েছি আমাদের এই ঐতিহ্যমন্ডিত চীর সবুজের সোনার বাংলা। আমাদের পাবারও আকাঙ্খা নেই কারণ সবই পেয়েছি এখন শুধু সম বন্টন এবং শুসম ব্যবহার। তাইতো বলতে হয় বাংলাদেশ একদিন এই পৃথিবীর উন্নত এবং ধনীক দেশের সমপর্যায়ে গিয়ে বিশ্ব নেতৃত্বের দাবি করবে। সেই দিন বেশী দুরে নয়…. শুধু আমাদের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টাই নিয়ে যেতে পারে অতি অল্প সময়ে সেই দ্বারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.