নজরুল ইসলাম॥ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ১ হাজার ৩৫৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘আইসিটির মাধ্যমে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার প্রচলন (দ্বিতীয় পর্যায়) প্রকল্প সহ ৭টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে। এ সব প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ৭ হাজার ৮৯০ কোটি টাকা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এই বৈঠক শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের ব্রিফিং প্রদানকালে পরিকল্পনামন্ত্রী আহম মোস্তফা কামাল বলেন, “এই প্রকল্পের মুল উদ্দেশ্য হচ্ছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে তথ্যপ্রযুক্তির সময়োপযোগী ব্যবহার নিশ্চিত করা।”
এ সব প্রকল্প ব্যয়ে ৩ হাজার ৮৭৬ কোটি ৩২ লাখ টাকা সরকারী তহবিল থেকে যোগান দেওয়া হবে। বাকী ৪ হাজার ১৩ কোটি ৬৮ লাখ টাকা বৈদেশিক সহায়তা হিসেবে পায়া যাবে। গত মঙ্গলবার রাজধানীর শেরে বাংলানগর এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক সভায় এসব প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আরও বলেন, শাহজালাল ফার্টিলাইজার প্রকল্পটির মূল উদ্দেশ্য হলো-সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে বিদ্যমান সার কারখানার নিকটবর্তী এলাকায় পরিবেশবান্ধব নতুন সার কারখানা স্থাপন। যাতে সুলভমূল্যে কৃষকদের নিকট সার সরবরাহ নিশ্চিত করা যায়। তিনি বলেন, সরকার এখন ইউরিয়া সারের আমদানি হ্রাস করে দেশে প্রয়োজনীয় সারের উৎপাদন করতে চায় । এ লক্ষ্যে আমরা সরকারিভাবে নতুন সার কারখানা স্থাপনের পাশাপাশি বেসরকারি পর্যায়েও সার উৎপাদন শুরু করবো। ইতোমধ্যে সৌদি আরবের কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এখানে এ খাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে তিনি জানান।
শাহজালাল ফার্টিলাইজার প্রকল্পটি (এসএফপি) (২য় সংশোধনী) মোট খরচ হবে ৯৯৮ কোটি ৮ লাখ টাকা। এর পুরোটাই চীন সরকার এবং চীনের এক্সিম ব্যাংকের কাছ থেকে ঋণ পাওয়া যাবে। প্রকল্পটি বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) জানুয়ারি ২০১২ হতে জুন ২০১৮ মেয়াদে বাস্তবায়ন করবে।
একনেকে অনুমোদন পাওয়া অন্য প্রকল্পসমূহ হলো-৪৭৬ কোটি ৬১ লাখ টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম শহরে পরিত্যক্ত বাড়িতে সরকারি আবাসিক ফ্ল্যাট ও ডরমিটরি ভবন নির্মাণ প্রকল্প, ৩০৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকায় দেশের বিভিন্ন জেলায় জেলা রেজিস্ট্রি ও সাব রেজিস্ট্রি অফিস ভবন নির্মাণ (২য় পর্যায়) প্রকল্প।
এছাড়া ১১৫ কোটি ৮ লাখ টাকা ব্যয়ে নারী নির্যাতন প্রতিরোধকল্পে মাল্টিসেক্টরাল প্রোগ্রাম (৪র্থ পর্ব) প্রকল্প, ২১২ কোটি টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী ও রাউজান উপজেলায় হালদা নদীর উভয় তীরের ভাঙন থেকে বিভিন্ন এলাকা রক্ষাকল্পে তীর সংরক্ষণ কাজ প্রকল্প এবং ৪৩৮ কোটি ৯৪ লাখ টাকার গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ (রাজশাহী জোন) প্রকল্প। বৈঠকে মন্ত্রিপরিষদের সদস্যগণ, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।