নয়ন॥ রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্য নিরসনে আশু ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আহ্বান সম্বলিত ঢাকা ঘোষণা গ্রহণের মধ্যদিয়ে গত ৫ এপ্রিল ১৭ইং তারিখ ১৩৬তম ইন্টার-পার্লামেন্টারী ইউনিয়ন (আইপিইউ) সম্মেলন শেষ হয়েছে। ১৭৩ সদস্য বিশিষ্ট বিশ্ব ফোরামের ১৩২ সদস্য দেশের গৃহীত ঘোষণায় বলা হয়, ‘চরম বৈষম্যের কারণে সমাজের ক্ষতি বেড়েছে, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি স্থবির হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও সামাজিক বন্ধন এবং বেড়েছে সংঘাত ও নিরাপত্তা ঝুঁকি।’
গত শনিবার ‘বৈষম্য নিরসন : সকলের জন্য মর্যাদা ও কল্যাণ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে ৫ দিনব্যাপী এই সম্মেলন শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদ প্রাঙ্গণে এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। ঘোষণায় সকলের জন্য অর্থনৈতিক মঙ্গল নিশ্চিতকরণ ও শ্রমিকের অধিকার সংরক্ষণ জোরদারে সংসদীয় পদক্ষেপ গ্রহণ এবং জাতিসংঘ টেকসই লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পার্লামেন্ট সদস্যদের অঙ্গীকারের কথা বলা হয়।
সম্মেলনে আইপিইউ সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, আমরা ধনী-দরিদ্রের ব্যবধান আর দেখতে চাই না। সকলের কল্যাণ ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে যে সব পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন এই সম্মেলন তার অন্যতম। ১৩৬তম সম্মেলনে সেন্ট পিটার্সবার্গে সন্ত্রাসী হামলায় হতাহতদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয় এবং সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশের খান শেখোয়ান শহরে রাসায়নিক হামলার নিন্দা জানানো হয়। লিঙ্গ সমতার বিষয়ে এই ঘোষণায় বলা হয়, নারী সংসদ সদস্যদের ফোরাম নারীদের অধিকতর ক্ষমতায়ন এবং লিঙ্গ জনিত সহিংসতার অবসানে আইনী পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে এবং বাল্য বিবাহ ও নারী প্রজননাঙ্গের অপুষ্টি বন্ধের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
তরুণ সংসদ সদস্যদের আইপিইউ ফোরাম সভাপতি নির্বাচিত হন উগান্ডার ২৬ বছর বয়সী এমপি মৌরীন ওসরন্ড। সম্মেলন চলাকালে আইপিইউ’র নতুন সদস্যপদ লাভ করে তুভালু ও মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ ও আইপিইউ’র যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে প্রায় এক হাজার ২০৬ লোক অংশ নেন। এদের মধ্যে ১২৬টি দেশ থেকে ৬০৭ জন এমপি, ৪৬ জন সংসদের স্পিকার, ৩৬ জন ডেপুটি স্পিকার এবং ১৯১ জন নারী এমপি ছিলেন।