টিআইএন॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ়কণ্ঠে বলেছেন, তিস্তার পানি আসবেই, কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না। একই সঙ্গে তিনি বলেন, তিনি বঙ্গবন্ধুর কন্যা। তিনি বেঁচে থাকতে দেশের স্বার্থবিরোধী কিছু হবে না। তিনি দেশ বিক্রি করেন না, রক্ষা করেন। প্রধানমন্ত্রী গতকাল মঙ্গলবার বসন্তের শেষ বিকেলে গণভবন চত্বরে আয়োজিত এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে বক্তৃতা করছিলেন। গতকালের সংবাদ সম্মেলনের মেজাজই ছিল আলাদা। কখনও প্রধানমন্ত্রীর সাবলীল কৌতুকপ্রিয়তায় মুখরিত পরিবেশ, কখনওবা প্রতিপক্ষের সমালোচনার ক্ষুরধার জবাব প্রদানে দৃঢ়তার ছাপ। ১ ঘণ্টা ৫৫ মিনিটের এমন দীর্ঘ ভাষণ প্রধানমন্ত্রী ইতিপূর্বে কখনও দেননি। মঞ্চে তার পাশে উপবিষ্ট মন্ত্রীরাও খানিকটা উসখুস করছেন, সাংবাদিকদের মধ্যেও খানিকটা উসখুস-উসখুস ভাব। তখনও প্রধানমন্ত্রী প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন। বলেছেন, আজ প্রাণ-মন সব ভরেছে তো।
সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিসভার সদস্য, এমপি, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও তার সফরসঙ্গীরাও উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকের সম্পাদক, টেলিভিশনের সিইও এবং বার্তা সংস্থার সিনিয়র সাংবাদিকরা। বিভিন্ন টেলিভিশনে সংবাদ সম্মেলনটি সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ আরও পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকার সমঝোতা করেছে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার এ বক্তব্যের জবাবে শেখ হাসিনা স্মিত হাস্যে বলেছেন, এমন বক্তব্য ভোটারদের মধ্যে আওয়ামী লীগের পক্ষে ভালো প্রভাব পড়বে। এ জন্য খালেদা জিয়াকে ধন্যবাদ। আসলে যে যেভাবে ক্ষমতায় আসে, সেভাবেই সবকিছু ভাবে। বন্দুকের নলে আওয়ামী লীগের জন্ম হয়নি। বিএনপির জন্ম হয়েছে বন্দুকের নলে; সংবিধান লঙ্ঘন করে।
ভারতের কাছে দেশ বিক্রি হয়েছে বিএনপির এমন সমালোচনার জবাবে প্রধানমন্ত্রী কৌতুকভরে বলেছেন, ধামা ভরে দেশ নিয়ে গিয়েছি আর ফেরি করে বিক্রি করছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা উড়ে এসে জুড়ে বসে, তারাই দেশ বিক্রি করে।
এক প্রশ্নের জবাবে বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্রনীতি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়থ বঙ্গবন্ধুর এ নীতি অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হচ্ছে বলেই সব দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক তৈরি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক দুই প্রেসিডেন্টের গ্যাস বিক্রির প্রস্তাব দেশের স্বার্থে কীভাবে প্রত্যাখ্যান করেন, প্রধানমন্ত্রী তা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন। আসলে নিয়ত ভালো থাকলে সবকিছু ভালোই হয়ে থাকে।
প্রসঙ্গ তিস্তা :ভারতের সঙ্গে তিস্তা চুক্তির সম্ভাব্যতা-সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবারের ভারত সফরকালে সে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্পষ্টভাবেই ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি ও এদেশে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকতেই তিস্তা চুক্তি হবে। নরেন্দ্র মোদির এ ঘোষণার ওপর তার আস্থা রয়েছে। তবে এরই মধ্যে বাংলাদেশেরও করণীয় কিছু রয়েছে। তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র নদী ড্রেজিং করে বর্ষা মৌসুমে জমা পানি শুষ্ক মৌসুমেও ধরে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন, বাংলাদেশ ঢালে থাকায় পানি আসবেই। পানি কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না। আর ভারতের গজলডোবায় ব্যারাজ করার সময় বাংলাদেশে যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা এ নিয়ে কেন কথা বলেনি? আজ অনেকেই চিৎকার করছেন, অথচ তখন তারা কিছু বলেননি। স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগ ছাড়াও অনেক সরকার এসেছে। অন্যরা কেউ তিস্তার পানি নিয়ে টুঁ শব্দ করেনি।
তিস্তা চুক্তি প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবস্থান তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, এ ব্যাপারে আলোচনা বহুদিন ধরে চলছে। এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রস্তাব দিয়েছেন, আশপাশের আরও কয়েকটি নদী সংযোগ করে পানি দেবেন। এটি নিয়ে সমীক্ষা করতে হবে। তার মানে এটি একটি দীর্ঘসূত্রতায় পড়ে যাবে। তবে তিনিও (শেখ হাসিনা) বিকল্প প্রস্তাব দিয়ে বলেছেন, ওই সব নদীর পানি তিস্তায় এনে তা থেকে বাংলাদেশকে দিতে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ বিষয়ে সমীক্ষা করে দেখার কথা বলেছেন। রসিকতা করে তিনি বলেন, ‘দিদিমণি (মমতা) তো একেবারে খালি হাতে ফেরত দেননি। পানি চেয়েছিলাম, বিদ্যুৎ দিয়েছেন। ভারতের কাছ থেকে আমরা বিদ্যুৎ আমদানি করছি, আরও করতে পারব। আমরা দেখি, মমতা দিদি আমাদের কী দেন? কতটুকু বিদ্যুৎ দেন?’
নকশা নাকচ :গঙ্গা ব্যারাজ নির্মাণ-সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় সমীক্ষা করে রাজবাড়ীর পাংশায় গঙ্গা ব্যারাজের যে সমীক্ষা ও নকশা তৈরি করেছে, তা সম্পূর্ণ ভুল। এটি তার পছন্দ হয়নি। এ কারণে তিনি সঙ্গে সঙ্গে তা নাকচ করেছেন। এ নকশা অনুযায়ী ব্যারাজ নির্মাণ করা হলে তা ‘আত্মঘাতী’ হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিস্তা ব্যারাজ যেমন আত্মঘাতী, তেমনি এটিও আত্মঘাতী হবে। গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তির সময় তিনি বলেছিলেন, ব্যারাজ একসঙ্গে করবেন, যাতে সবাই ব্যবহার করতে পারে; দুই দেশের জনগণ লাভবান হয়। এটা ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে করতে হবে এবং খরচও উভয় পক্ষ দেবে।
প্রতিরক্ষা বিষয়ে সমঝোতা স্মারক প্রসঙ্গে : ভারতের সঙ্গে প্রতিরক্ষা-সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুই দেশের সামরিক সদস্যদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা, সামরিক প্রশিক্ষণ, শিক্ষা ইত্যাদি বিষয়ে এ সমঝোতা স্মারক হয়েছে। এটা নিয়েও যারা নানা কথা বলছেন, সন্দেহ করছেন, তাদের উদ্দেশে বলব যেখানে আমি আছি, সেখানে বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী কিছু হবে না। আমি বেঁচে থাকতে সেটি হবে না। কেননা, আমরা স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ। তিনি আরও বলেন, ভারত ১ শতাংশ হারে সুদে ঋণ দেবে, ২০ বছরে তা পরিশোধ করতে হবে। এই অর্থে বাংলাদেশই সিদ্ধান্ত নেবে, কী কী অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জামাদি তারা কিনবে। বাংলাদেশ অনেক দেশ থেকেই এসব জিনিস কেনে, এমনকি পাকিস্তান থেকেও কেনে। যখন যেখানে সুবিধা হয়, তখন সে দেশ থেকে কেনে। এ ধরনের সমঝোতা স্মারক অনেক দেশের সঙ্গে আছে। প্রতিরক্ষা বিষয়ে ইতিপূর্বে বাংলাদেশের ১৩টি দেশের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক ও ছয়টি দেশের সঙ্গে চুক্তি রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা এখন এ নিয়ে কথা বলছেন, তাদের কাছে প্রশ্ন চীনের সঙ্গে যখন প্রতিরক্ষা চুক্তি হয়েছিল, সেটি কারা করেছিল? এখন যারা চুক্তি নিয়ে বড় বড় কথা বলছে, সেই বিএনপিই তো গোপনে ওই চুক্তি করে এসেছিল।
তিনি বলেন, এ দেশের স্বাধীনতা অর্জনের পেছনে ভারতেরও অনেক অবদান রয়েছে। তাদের অনেকেই এ দেশের মুক্তিযুদ্ধে জীবন দিয়েছেন। আজ আমরা স্বাধীন। যারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সহযোগিতা করল, তাদের সঙ্গে চুক্তি করাতে এত প্রশ্ন আসে কেন? আর যারা মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতা করেছে, যাদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধে আমরা জয়ী হয়েছি তাদের সঙ্গে চুক্তি করলে প্রশ্ন আসে না কেন?
এ প্রসঙ্গে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু সরকারসহ তার সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিরক্ষার যা কিছু উন্নয়ন, আওয়ামী লীগের সময়ই হয়েছে। বিএনপির সময় হয়নি। বাংলাদেশের মর্যাদা ও সম্মানও আওয়ামী লীগই এনেছে। প্রধানমন্ত্রী স্মরণ করিয়ে দেন যে, তিনিই প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
ভারতের সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকগুলোর বিস্তারিত সংসদে উত্থাপনের কোনো কোনো মহলের দাবির জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমঝোতা স্মারক তথা এমওইউ স্বাক্ষরের ক্ষেত্রে কখনও সংসদের অনুমোদন নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। সরকারপ্রধান হিসেবে আরেক দেশের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক করা হয়ে থাকে, যেগুলো পরে প্রয়োজনবোধে চুক্তিতে পরিণত করা হতে পারে। চুক্তি মন্ত্রিসভায় অনুমোদন নেওয়া হয়েছে।
তৃপ্তি, অতৃপ্তি :প্রধানমন্ত্রীর এবারের সফরে বাংলাদেশের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি বলে বিএনপির সমালোচনার জবাবে শেখ হাসিনা বলেছেন, তিনি ভারত থেকে তৃপ্তি নিয়েই ফিরেছেন। তার এবারের সফর সম্পূর্ণ সফল ও অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে। ভৌগোলিক সীমায় ছোট হলেও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ ও ভারত সমানে সমান। বাংলাদেশকে সেই সম্মান দিয়েছে ভারত। এটা তৃপ্তির। প্রধানমন্ত্রীর সফরে চুক্তি-সমঝোতা স্মারকসহ ৩৬টি দলিল সই হয়েছে। শেখ হাসিনা বলেছেন, তিনি কিছু চাইতে ভারত যাননি। বন্ধুত্ব চাইতে গিয়েছিলেন। সেই বন্ধুত্ব তিনি পেয়েছেন। এই সফরে প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে নতুন গতির সঞ্চার হয়েছে।
দূতিয়ালি :ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার দ্বন্ধ নিরসনে দূতিয়ালি প্রসঙ্গে ভারতের সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী এল কে আদভানির বক্তব্য প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তিনি একবার এমন উদ্যোগ নিয়েছিলেন। আরেকবার পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণকে কেন্দ্র করে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সহজ করে আনার বেলায় ওই দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলে দেশ দুটি সফরের কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, হয়তো এ কারণেই ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার দ্বন্ধ নিরসনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে মধ্যস্থতার কথা বলেছেন ভারতের সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী এল কে আদভানি।
জবাবদিহি করতে হবে :প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, জিয়া-এরশাদ ও খালেদা জিয়া কেন স্থলসীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের কথা বলার সাহস পাননি। এ জন্য তাদের জবাবদিহি করতে হবে। ছিটমহল নিয়ে বহু দেশে যুদ্ধ বাধে। অথচ বাংলাদেশ ও ভারত বন্ধুত্বপূর্ণ আনন্দঘন পরিবেশে ছিটমহল বিনিময় করেছে। এটা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল দৃষ্টান্ত। ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখেও বাংলাদেশ সমুদ্রসীমা জয় করেছে। এখন যারা মাইক নিয়ে দেশ বিক্রির কথা বলছেন, তারা কেন এসব করতে পারেননি।
ড. ইউনূসের সমালোচনা :ওয়ান-ইলেভেন পরবর্তী সময়ে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা নোবেলবিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও সুশীল সমাজের ভূমিকার কঠোর সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৭ সালের ওয়ান-ইলেভেনের পর তিনি (ড. ইউনূস) দল গঠন করতে গেলে সুশীল সমাজের কারও কারও সাড়া পেলেও জনগণের সাড়া পাননি। তার দেওয়া মোবাইল ব্যবহার করে এই দল গঠনের কাজ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ইয়াজউদ্দীনকে এ প্লাস, ডাবল এ দেওয়া হলো। তাকেও গ্রেফতার করা হলো। এখন অনেকে বিবেক নিয়ে কথা বলেন। তখন কতজনের কী বিবেক ছিল? তখন তো টিভির টক শো, পত্র-পত্রিকায় এ নিয়ে কথা বলতে শুনিনি। তখন তো মাইনাস টু ফর্মুলা ছিল। আমাদের বাদ দিয়ে তাকে বসাতে হবে। তাতে নাকি দেশ সাঁই সাঁই করে উন্নত হয়ে যাবে। এখন কারা দেশের উন্নয়ন করছে?
গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি পদে থাকতে ড. ইউনূসের মামলা করা এবং পরে সেই মামলায় হেরে যাওয়ার প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, ‘যা কিছু হয়, আমার দোষ। তিনি মামলা করে হেরে গেলেন, সেখানেও আমার দোষ। বাংলাদেশ ব্যাংকের আইন অনুযায়ী সত্তরোর্ধ্ব কোনো ব্যক্তি কোনো ব্যাংকের এমডি থাকতে পারেন না। তাকে গ্রামীণ ব্যাংকের উপদেষ্টা করার প্রস্তাব দেওয়া হলে তিনি সেটি না মেনে আদালতে গিয়েছেন। এখন আদালত তো কারও বয়স ১০ বছর কমিয়ে দিতে পারেন না। তাই তিনি মামলায় হেরেছেন।’ তিনি বলেন, ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে আন্দোলনের নামে যারা মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে, তারা কোন শক্তি? তারা তো এখনও নির্জীব হয়ে যায়নি, সক্রিয় আছে।