আন্তর্জাতিক ডেক্স॥ বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানদের জন্য তিনটি বিশেষ ঘোষণা দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ‘বাংলাদেশের সব মুক্তিযোদ্ধার জন্য পাঁচ বছরের করে ভিসা দেওয়া হবে। প্রতি বছর ১০০ জন করে মুক্তিযোদ্ধা বিনা খরচে ভারতে চিকিৎসা পাবেন। এছাড়া তাদের সন্তানদের বৃত্তি দেওয়া হবে; বৃত্তির আওতায় পড়বেন ১০ হাজার মুক্তিযোদ্ধার সন্তান,’ ঘোষণায় উল্লেখ করেন তিনি।
গত শনিবার (০৮ এপ্রিল) বিকেলে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ভারতীয় যোদ্ধাদের সম্মাননা অনুষ্ঠানে মোদি এসব ঘোষণা দেন। রাজধানীর নয়াদিল্লির মানেক শ’ সেন্টারে ভারতীয় শহীদদের স্বজনদের হাতে এ সম্মাননা তুলে দেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশের এই সম্মানকে মহৎ উদ্যোগ উল্লেখ করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এবং ভারতের মিল রয়েছে। মিলটি হলো মানবিক বিষয়ে আমরা এক কাতারে। ১৯৭১ সালেও এক কাতারে ছিলাম। সেসময় একটি দেশ গণহত্যা চালিয়েছিল। সেক্ষেত্রে আমরা একই পথের পথিক। আমরা মানবিক বলেই ৯৫ হাজার পাকিস্তানি সেনাকে হারের পরও ছেড়ে দিয়েছি। ভারত-বংলাদেশ যখন শান্তির জন্য কাজ করছে তখন একটি বিশেষ দেশ সন্ত্রাসের জন্য কাজ করছে বলেও মোদি মন্তব্য করেন।
ভারতীয় ১৬৬১ সৈন্য সম্মননা দেয়ায় সোয়াশো কোটি ভারতীয়দের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞ প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমি সর্ব প্রথমে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়, যারা মানবতার জন্য বিরত্ব দেখিয়ে, আত্মত্যাগের ইতিহাস রচনা করেছেন। তাদের পরিবারকে বাংলাদেশ সরকার ও প্রধানন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে সম্মাননা দেওয়া হচ্ছে। ইতিহাস রচনাকারীদের সম্মননা দেয়ায় আমার ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তিনি বলেন, আজ এক বিশেষ দিন। আজ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতীয় শহীদদের স্মরনের দিন। মুক্তিযুদ্ধে জীবনদানকারী যুদ্ধাদের স্মরণ করার দিন। আজকের এই অনুষ্ঠান ভারত ও বাংলাদেশের একশো ৪০ কোটি মানুষের মধ্যে অটুট বিশ্বাসকে উপলব্দি করার অনুষ্ঠান।
এসময় তিনি বাংলার নানামাত্রিক উন্নয়ন তুলে ধরেন এবং প্রশংসা করেন। আরও সংযুক্ত করেন, আমরা চাই না উন্নতি শুধু শত কোটি ভারতীয়র হোক, চাই প্রতিবেশীদেরও উন্নতি। সবাই মিলে চাই একত্রে কাজ করতে। আমরা সুখ-দুখের সাথী। যে স্বপ্ন ভারতের জন্য দেখি, সেই শুভ কামনা বাংলাদেশের জন্যও করি।