ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ ভারতীয় ব্যবসায়ীদের ধর্মঘটের ফলে তারাপুর-কমলাসাগর ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত হাট ছিল ক্রেতা-বিক্রেতা শূন্য। ভারতীয় বিএসএফ ও পুলিশের অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি ও ব্যবসায়ীদের হয়রানীর করা প্রতিবাদে সীমান্ত হাটের ভারতীয় ব্যবসায়ীরা অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দেয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভারতীয় ব্যবসায়ীরা গত ২ মাস যাবত মালামাল নিয়ে সীান্ত হাটের ভারতীয় অংশের দ্বিতীয় গেট পর্যন্ত পৌঁছতে না পারায় তাদের পরিবহন খরচ বেড়ে যায়। এছাড়া কাষ্টমস পুলিশ, বিএসএফ তাদেরকে নানা ভাবে হয়রানী করছে বলে ওই সকল ব্যবসায়ীদের অভিযোগ।
বর্তমানে সীমান্ত হাট বসে প্রতি রবিবার। রবিবার সপ্তাহিক ছুটি হওয়ায় বাংলাদেশ অংশের ব্যবসায়ীদের দাবীতে দু’দেশ আপাতত রবিবারকে হাটের দিন ধার্য করেন। কিন্তু হাটে বাংলাদেশী ক্রেতাই সবচেয়ে বিশী উপস্থিত হয়ে থাকে। বাংলাদেশ থেকে প্রতি রবিবার প্রায় দেড় থেকে দু’হাজার মানুষ সীমান্ত হাটে প্রবেশ করলেও ভারত থেকে এক-দু’শ মানুষ প্রবেশ করে। ভারতীয় ব্যবসায়ীদের ব্যবসা ভালো হওয়ায় ভারতীয়রা প্রচুর মালামাল হাটের দিন মজুত করে। বর্তমানে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা সীমান্ত হাটে সরাসরি মালামাল পরিবহন করে নিয়ে আসতে না পারায় এ ধর্মঘটের ডাক দেয়।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসিনা ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ভারতীয় পক্ষের ধর্মঘটের বিষয়ে তাঁকে কিছু জানাননি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএসএফের একজন কর্মকর্তা ধর্মঘটের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় বাংলাদেশের প্রায় দেড় হাজার ক্রেতা টিকিট কেটে হাটে প্রবেশ করে কিছুই কেনা কাটা করতে পারেনি।