তাজুল ইসলাম (হানিফ)॥ ১০৮ মে.ও বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উপর দিয়ে বয়ে গেল এক ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়। লন্ডভণ্ড করে দিয়ে গেল রিজেন্ট এনার্জি এন্ড পাওয়ার লিমিটেড, ১০৮ মে.ও বিদ্যুৎকেন্দ্রটিকে। ফলে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি এখন জাতীয় গ্রিড থেকে বিচ্ছিন্ন। উল্লেখ্য, গত প্রায় তিনবছর যাবত, নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় অবস্থিত এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি জাতীয় গ্রিডে ১০৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে দিয়ে জাতীয় উন্নয়নে অবদান রেখে আসছে।
বিকাল ৫:৩২ টা, ১৯ই এপ্রিল, ২০১৭, কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই যেন ঘটে গেল এই মহাদুর্বিপাক। তখন আমি এবং অপারেশন ম্যানেজার তারেক সাঈদ অফিসে বসা ছিলাম। একটা পর্যায়ে খেয়াল করলাম সাব-স্টেশনে বিকট শব্দ ও আগুন ঝলকানি এবং মুহূর্তেই পাওয়ার প্লান্টটি বন্ধ হয়ে যায় বলছিলেন বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির হেড অব এডমিন এন্ড সেফটি ম্যানেজার আব্দুল গনি। তিনি আরও জানান যে, ঘুর্নিঝড়ের পর আমরা দেখতে পাই জাতীয় গ্রিড পরিচালনা লাইনের (২৩০ কে.ভি) দুইটি লাইটেনিং এরেস্টর ভেঙ্গে পড়ে আছে, ওয়েরহাউজের “মেইনগেইট” দুমড়ে মুঝড়ে খন্ড খন্ড হয়ে প্রায় ২০০ মিটার দূরে পড়েছিল, ইঞ্জিন বিল্ডিংয়ের দুইটি গেইটের অবস্থাও একিই। কোম্পানীর মেইনগেইট ভেঙে পড়ে আছে অনেক দূরে। সরেজমিনে আরও দেখা যায়, আনসার আর্মস ফোর্সেসের অস্রাগার ও তাঁদের থাকার ঘরের চালা উড়িয়ে নিয়ে প্রায় ৫০ ফিট দূরে পড়ে আছে। এ ছাড়া অনেক গাছ-গাছালি ও দুমড়ে মুঝড়ে নিয়ে গেছে অনেক দূর। বিদ্যুৎকেন্দ্রের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া এই ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের সংবাদ শুনে রাতেই পলাশ থানার অফিসার ইনচার্ছ ছোটে আসেন। পরিদর্শন করেন ঘোড়াশাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার আবু বকর, খোজখবর নেন কোম্পানির এম.ডি ইয়াসিন আলী, ডিরেক্টর ইমরুল চোধুরী ও ডিরেক্টর আবু জোবায়ের সহ অনন্যারা। কোম্পানির এই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণের কাজ এখনও চলছে।
বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি পুনরায় চালু করে নিরন্তর জাতীয় সেবায় অবদান রাখার ব্যাপারে কোম্পানির সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ও সবোর্চ্চ প্রচেষ্টা চলছে বলে সকলেই জানান।