জার্মান থেকে বিশেষ প্রতিবেদক॥ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় শিল্প মন্ত্রী আমির হোসেন আমু এক সরকারী সফরে বর্তমানে জার্মানের ফ্রাঙ্কফুর্ট শহরে রয়েছে । গত রবিবার ফ্রাঙ্কফুর্ট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান বন্দরে সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি শ্রী অনিল দাশ গুপ্তের নেতৃত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন জার্মান আওয়ামী লীগ এর সভাপতি এ ,কে,এম বশিরুল হক চৌধুরী সাবু, আমিনুর রহমান খসরু, আশুতোষ বণিক, আতিকুর রহমান সবুজ, যুবরাজ তালুকদার, আব্বাস আলী চৌধুরী, নজরুল ইসলাম খালেদ, জিল্লুর রহমান, জাহিদুল ইসলাম পুলক সহ আরো অনেকে মাননীয় মন্ত্রী আমির হোসেন আমুকে ফুলেল অভ্যর্থনা জানান। পরবর্তিতে শ্রী অনিল দাশ গুপ্ত মানণীয় মন্ত্রীকে জার্মান আওয়ামী লীগের সার্বিক বিষয়ে অবগত করলে জনাব আমির হোসেন আমু সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি শ্রী অনিল দাশ গুপ্তকে দলের মধ্যে বিশৃঙ্খলা কারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেন । মাননীয় মন্ত্রীর সাথে জার্মান আ:লীগের মতবিনিময় সভায় শ্রী অনিল দাশ গুপ্ত উপস্থিত না থাকায় অনেকেই এ বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য করেন । এ বিষয়ে শ্রী অনিল দাশ গুপ্ত বলেন যে, আমি মন্ত্রী সাহেবের অনুমতি নিয়েই অন্য একটা অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম, যেটা অনেক আগে থেকে নির্ধারিত। তিনি আরো বলেন এক শ্রেনীর লোক যারা বিশেষ একজনের প্রলোচনায় দলের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করছে এবং দলের পরিক্ষীত নেতাদের পদে পদে অপদস্থ করছে। যা কারো জন্য কাম্য নয় এমনকি দলের জন্যও ক্ষতিকর। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রী সাহেব আমাকে নির্দেশ দেন । সেভাবেই আমি ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দকে বলবো যার যার দেশের কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে সেখানে সম্মেলনের ব্যবস্থা করুন আমি সহ সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থেকে নতুন কমিটি গঠন করবো । আর কেউ দলীয় নির্দেশ অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে । তিনি আরো বলেন জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্ব দরবারে প্রশংসিত ।
তাইতো কিছু লোক এসব সহ্য করতে না পেরে দলের মধ্যে ঢুকে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করছে । এদের থেকে সতর্ক থাকার জন্য সকলকে পরামর্শ দেন । সাংগঠনিক শিষ্টাচার বহির্ভুত কেউ কাজ করলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। দল যখন ক্ষমতায় থাকে তখনি উপযুক্ত সময় সংগঠনকে শক্তিশালী করার। আমাদের মনে রাখতে হবে জাতির জনকের কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর এই অর্জনকে ধরে রাখতে হলে আমাদের সুশৃঙ্খল কর্মীবাহিনী তৈরি করতে হবে। কেউ সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের নাম ব্যবহার করে কোন দেশে মিথ্যাচার করবেন না। আমরা লিখিত আকারে নির্দেশ প্রদান করবো যাতে কেউ মিথ্যাচার করতে না পারে। বর্তমান সময়ে তথ্য প্রযুক্তি অত্যন্ত শক্তিশালী হওয়ায় কারণে কে কোথায় কি বলে ও লিখে তা সহজে জানা যায়। অর্ধসত্য বা মিথ্যা বলে কেউ বিভ্রান্ত করবেন না। জাতির জনকের আদর্শের ও জননেত্রী শেখ হাসিনার বিশস্ত কর্মীদের মধ্যে কোন বিরোধ থাকতে পারে না। নব্য ও সুবিধাবাদী কর্মীরাই সংগঠনে সমস্যা করে। আগামীতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে দলকে সংগঠিত করে বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সকলেই জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলবো ।