বা আ॥ মন্ত্রিসভা লাইসেন্স ও পূর্বানুমতি ছাড়া যে কোন মাছ, মৎস্যজাত পণ্য ও সংশ্লিষ্ট রেণু বা মৎস্য জাতের প্যাকিং-এর আমদানি নিষিদ্ধ করে একটি নতুন আইনের খসড়ায় অনুমোদন দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত সাপ্তাহিক বৈঠকে ‘মৎস্য সঙ্গ নিরোধ আইন, ২০১৭’ নামে এই আইনের খসড়ায় অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এম শফিউল আলম বলেন, দেশের বিকাশমান মৎস্যখাতকে বিদেশী ক্ষতিকর জাতের হাত থেকে রক্ষার জন্য আইনটি প্রণীত হয়েছে। নতুন আইনটি ক্ষতিকর মাছের জাত ও রেণু আমদানি নিয়ন্ত্রণ করবে। এই আইনে জনস্বার্থে সরকারকে মাছের নির্দিষ্ট কোন জাত বা এ ধরনের কোন আমদানিতে কড়াকড়ি আরোপের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। আইনটি পিরহানা ও আফ্রিকার মাগুর মাছ আমদানির ক্ষেত্রে রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করবে। এসব মাছের চাষ ইতোমধ্যে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এই আইনে আমদানিকৃত মাছ বা এ ধরনের জাত ও পণ্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার নির্দেশে নির্ধারিত এলাকায় পরিদর্শনের জন্য রেখে দেয়া হবে। ‘ফিসারিজ কোয়ারেন্টাইন স্টেশন’ নামে এই নির্ধারিত স্থান দেশের সমুদ্র, স্থল ও বিমানবন্দর এলাকায় স্থাপিত হবে। মৎস্য অধিদফতর এই আইন কার্যকর করবে। এ ব্যাপারে সময়ে সময়ে সুপারিশ পেশের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হবে।
এই আইনের আওতায় গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে যে কোন মাছ ও মাছের জাত, জিনগতভাবে উদ্ভাবিত ও পরিবর্তিত এবং বিদেশী ক্ষতিকর জাতের অণুপ্রবেশ, ক্রয়-বিক্রয়, চাষ ও প্রজননে বিধি-নিষেধ আরোপের বিধান রয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রস্তাবিত আইনে মাছের রোগ ও এ সম্পর্কিত দূষণের ব্যাপারে পুকুর, দীঘি ও জলাশয়ের মালিককে নিকটস্থ মৎস্য কর্মকর্তাকে অবহিত করতে হবে। এই আইন লঙ্ঘনে ২ বছর কারাদ- ও ৫ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ডই হতে পারে। এ অপরাধ আদালত এবং মোবাইল কোর্টের আমলে নেয়ার এখতিয়ার থাকবে।
বৈঠকের শুরুতে মন্ত্রিসভায় গৃহীত ত্রৈমাসিক সিদ্ধান্তগুলোর বিষয়ে আলোচনা হয়। এতে জানানো হয়, চলতি ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত এই তিন মাসে নেয়া ১০১টি সিদ্ধান্তের মধ্যে ৪৭টি বাস্তবায়িত হয়েছে এবং ৫৪টি বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। এই ত্রৈমাসিকে সরকার ৫টি নীতিমালা ও কর্মকৌশল প্রণয়ন এবং অন্যান্য দেশের সঙ্গে ৮টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে।