নেত্রকোণা প্রতিনিধি॥ অকাল বন্যায় হাওরে ফসলের ব্যাপক ক্ষতির সঙ্গে পানিবন্দি লাখ লাখ মানুষকে দুর্গতির মধ্যে দিয়ে যেতে হলেও পরিস্থিতি মোকাবেলায় নেত্রকোণার শীর্ষ কর্মকর্তাদের উদাসীনতার চিত্র ধরা পড়েছে সরকারি এক সভায়। বন্যার পর ভারি বর্ষণে ক্ষতি বাড়ছে হাওরে। ৩৫ বছরের মধ্যে বৃষ্টিবহুল এপ্রিল। গত সোমবার রাতে নেত্রকোণা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী, যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী, নেত্রকোণার চারজন সংসদ সদস্য ছাড়াও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির ওই সভা হয়।
সভায় স্থানীয় কর্মকর্তাদের উদাসীন ও দায়সারা বক্তব্য শুনে ক্ষোভ প্রকাশ করেন জনপ্রতিনিধিরা। রাত ৮টায় শুরু হওয়া সভার শুরুতে নেত্রকোণার জেলা প্রশাসক মো. মুশফিকুর রহমান জানান, তার জেলায় এক লাখ ৬৭ হাজার ১৮০ জন কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। নেত্রকোণায় আবাদ হওয়া এক লাখ ৮৪ হাজার ৩২০ হেক্টর জমির মধ্যে ৬৯ হাজার ৭১০ হেক্টর জমির বোরো ধান পানিতে তলিয়ে গেছে, মরে গেছে এক হাজার ১৮০ মেট্রিক টন মাছ। বিভিন্ন পরিসংখ্যান তুলে ধরে ডিসির সুপারিশ উপস্থাপনের পর সভা সঞ্চলনার দায়িত্ব নেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব শাহ কামাল। জেলা কৃষি কর্মকর্তার কাছে সচিব জানতে চান- কী করলে হাওরের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষদের জীবনযাত্রা দ্রুত সহজ করা যাবে। উত্তরে এই সরকারি কর্মকর্তা এলোমেলো বক্তব্য দিতে শুরু করলে বিরক্তি প্রকাশ করেন ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। ওই কর্মকর্তাকে তিনি বলেন, “বার বার সচিব মহোদয় বলছেন যে ইমিডিয়েট কী কী লাগবে সে বিষয়ে কথা বলেন। আর আপনি বলছেন পানি নেমে গেলে কী কী করবেন।” এরপর সচিব বলেন, “এখন যদি বলতে না পারেন এক দিন পরে জানাবেন। আগামী ৩০ এপ্রিল আমরা সব সচিবকে (মন্ত্রণালয়ে সভায়) ডেকেছি। কীভাবে আপনাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা যায় সে বিষয়ে কথা বলব।”
জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কাছে ত্রাণসচিব জানতে চান- হাওরে কখন মাছের পোনা ছাড়া যাবে। উত্তরে ওই কর্মকর্তা বলেন, এখনই পোনা ছাড়া যাবে। কী পরিমাণ পোনা লাগবে জানতে চাইলে মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, “আমি প্রস্তাব দিয়েছিলাম ৩০ মেট্রিক টন, এটা ডাবল করে ৬০ মেট্রিক টন করলে ভালো হয়।” সচিব এ সময় বলেন, “শোনেন, মাছ মারা যাওয়া নিয়ে আজকে সরকারের পক্ষ থেকে কথা হয়েছে। এভাবে বইলেন না, তথ্য অ্যাকুরেট হতে হবে। একবার বললেন ৩০ মেট্রিক টন, আবার বললেন ৬০ মেট্রিক টন। এর মানেটা কী? বাস্তবতার সাথে কোনো মিল নাই। আমাকে বলা দরকার, তাই বললেন।”
ওই কর্মকর্তাকেও চিন্তা করে এক দিন পর তথ্য দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে শাহ কামাল বলেন, “আপনার তথ্য আমরা ৩০ এপ্রিলের সভায় উপস্থাপন করে যেন আপনার মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলতে পারি।”
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কাছে সচিব জানতে চান, কী ধরনের সহযোগিতা তার প্রয়োজন। উত্তরে ওই কর্মকর্তা ডিহাইড্রেশনের ওষুধসহ আরও দুই ধরনের ওষুধ এবং গবাদিপশুর জন্য মাসে ৩০০ টন করে দানাদার খাদ্য চান। আগামী কোরবানির বাজারে পশুর সঙ্কট যাতে তৈরি হতে না পারে, সে বিষয়টি মাথায় রাখার তাগিদ দিয়ে শাহ কামাল ওই কর্মকর্তার কাছে জানতে চান, তার স্টকে কী কী ওষুধ আছে। উত্তরে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বলেন, এন্টিডায়রিয়া ও এন্টিবায়েটিক থাকলেও তা পরিমাণে অনেক কম। “কতটুকু লাগবে বলে আপনি ভেবেছেন, আর কতটুকু আছে?” সচিবের এই প্রশ্নের উত্তর না আসতেই মন্ত্রী মায়া ওই কর্মকর্তাকে উদ্দেশ করে বলেন, “কন তো দেহি কী কী আছে?” এ সময় একটি কাগজ সামনে নিয়ে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বলেন, প্রতি উপজেলায় এক হাজার এক হাজার করে এন্টিডায়রিয়া ওষুধ আছে। মায়া এ সময় বলেন, “শোনেন, যারা ভালো ছাত্র তারা হলে গিয়েই বসে লেখে। আর আমার মত বোকা ছাত্র বগলতলায় ছয়টা খাতা নিয়ে পড়তে পড়তে যায়। আমি পাইছি তেত্রিশ, আর যে বেটা শুধু কলম নিয়ে গেছে সে পাইছে আশি, লেটার পাইছে। এখানে খাতা নিয়ে আসেন কেন? মুখে কিছু বলতে পারেন না? আপনি তো অফিসই করেন না।”
এরপর উপস্থিত কর্মকর্তাদের মন্ত্রী বলেন, “সত্য কথা বলেন কেউ নড়াচড়া করে না, সব মোবাইল নিয়ে বসে থাকে। এই মোবাইল যে কে আবিষ্কার করছে ওরে আমি খুঁজতাছি।” এরপর প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে ত্রাণসচিব বলেন, “ঘুরতে হবে, মানুষের ডিমান্ড জানতে হবে। যা কিছু চান দেওয়া হবে। সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা দেন আগামীকাল, যেন আপনার মন্ত্রণালয়কে তাগিদ দিতে পারি।”
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তার কাছে সচিব জানতে চান, তার কাছে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট কতটি আছে এবং তিনি দুর্গত সব উপজেলায় গেছেন কি না? উত্তরে ওই কর্মকর্তা বলেন, “অ্যা- অ্যা তিনটা উপজেলায় গিয়েছি।” সভাকক্ষে বসা অনেকেই এ সময় বলে ওঠেন- ‘যায়নি, যায়নি’।
সচিব বলেন, “ভয়াবহ যে ঘটনা ঘটেছে, যতজন লোক এখানে আছি আমরা, আপনি হলেন সব থেকে ইমপরটেন্ট ব্যক্তি। কারণ পানি যদি দূষিত হয়ে যায় তাহলে সিভিল সার্জন সাহেব কিছুই করতে পারবেন না।” এরপর স্থানীয় সাংসদ রেবেকা মমিন ওই কর্মকর্তার কাছে জানতে চান- কবে তিনি এলাকায় গেছেন। উত্তর আসে, দুই সপ্তাহ আগে। এ সময় আবারও কয়েকজন বলে ওঠেন, ‘যায়নি, যায়নি, মিথ্যা বলছে’। সাংসদ রেবেকা জানতে চান, “আপনি যে যাচ্ছেন সে কথা কী আমাকে বলেছিলেন?” এই প্রশ্নে চুপ হয়ে যান ওই সরকারি কর্মকর্তা। রেবেকা এ সময় বলেন, “উনি এলাকায় আসেননি।” ত্রাণমন্ত্রী বলেন, ভিজিট করলে তা লগ বইয়ে লেখা থাকবে।
এরপর কিছু একটা বলার চেষ্টা করেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তা। সাংসদ রেবেকা বলেন, “কেউ যায়নি, কোনো ডিপার্টমেন্টের কেউ যায়নি। ইউএনও জানেন না, উনি যাননি।” এরপর ত্রাণ সচিব ওই কর্মকর্তাকে প্রশ্ন করেন, কতদিন ধরে তিনি নেত্রকোণায় চাকরি করছেন। উত্তর আসে ‘দেড় বছর’। সচিব প্রশ্ন করেন, দেড় বছরে ১০টি উপজেলায় তিনি কয়বার গেছেন। উত্তর আসে, “গেছি, অনেকগুলায় গেছি, ৩-৪ বার গেছি।”
এরপর সচিব বলেন, “ৃ রুজি রোজগার হালাল হবে কীভাবে বলেন দেখি? এটাতো জনসেবার বিষয়। আপনার কাছে ওয়াটার ট্রিটমেন্টের ট্যাবলেট আছে কতগুলো?” উত্তরে ওই কর্মকর্তা পাঁচ হাজার ট্যাবলেট থাকার কথা বলেন। সচিব বলেন, “পাঁচ হাজার দিয়ে কী করবেন? কৃষক আছে ১ লাখ ৩৮ হাজার। একটা করে ট্যাবলেট দিলেও তো সিভিল সার্জন সাহেব, আপনার কাছে কত আছে?” সিভিল সার্জন জানান, প্রতি উপজেলায় তিনি দুই হাজার করে দিয়েছেন, বাফার স্টকে আছে ছয় হাজার। শাহ কামাল এ সময় বলেন, “ছয় হাজার দিয়ে বাফার স্টক বলা যায়? আমরা তো বিভিন্ন জেলায় যাই এই সংখ্যা বলে লাখে লাখে। এ পর্যন্ত হাজারে কেউ বলে নাই। অর্থাৎ আপনারা এটাকে গুরুত্বই দেন না বলে আমার কাছে মনে হয়।” ইউনিয়ন পর্যায়ে চিকিৎসক না পাঠানোয় সিভিল সার্জনকে ভর্ৎসনা করে সভার সঞ্চালক শাহ কামাল তার কাছে জানতে চান, কারও অসুখ-বিসুখের রিপোর্ট আছে কি না। উত্তরে জেলার প্রধান চিকিৎসক বলেন, “সব স্বাভাবিক পর্যায়ে আছে। ৬০ হাজার স্যালাইন মজুদ আছে।” সচিব তাকে বলেন, স্যালাইন ৬০ হাজার থাকলে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট থাকতে হবে দ্বিগুণ। তার জিজ্ঞাসায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা জানান, নেত্রকোণার ২৭৯ দশমিক ৮৫ কিলোমিটার বাঁধের মধ্যে ৫০ কিলোমিটার ঝুঁকিপূর্ণ।
সচিব বলেন, “গণকথা সবাই জানে, নতুন কিছু বলেন।” এরপর অর্থ বরাদ্দ চান ওই কর্মকর্তা।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জানান, হঠাৎ বন্যার কারণে নেত্রোকোণার হাওর এলাকায় কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ না হলেও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম। সচিব প্রশ্ন করেন, উপস্থিতি কত কম, তিনি পরিদর্শনে গিয়েছেন কি না। এর উত্তর না দিয়ে শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, উপবৃত্তির পরিমাণ ৬০ শতাংশ বাড়াতে হবে। সচিব এ সময় উপবৃত্তির পরিমাণ সংখ্যায় বলতে বললে চুপ থাকেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে সচিব জানতে চান তিনি হাওর এলাকায় গিয়েছেন কি না। উত্তরে ওই কর্মকর্তা বলেন, “ ঢেউয়ের জন্য উপজেলা পর্যন্ত যেতে পারিনি, মাঝপথ থেকে ফেরত এসেছি।” সচিবের প্রশ্নে ওই কর্মকর্তা জানান, সাড়ে তিন বছর ধরে তিনি নেত্রোকোণায় আছেন। এ সময় সাংসদ রেবেকা মমিন বলেন, “কেন, আমি তো গিয়েছি, চরম অবস্থার মধ্যেও আমি গিয়েছি।” জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে সচিব জানতে চান, তিনি কয়টি উপজেলায় গিয়েছেন। উত্তর আসে, তিনি সবগুলো উপজেলায় গেছেন, ৩-৪ বার করে গেছেন। ত্রাণমন্ত্রী এ সময় জানতে চান, ওই কর্মকর্তা সাঁতার জানেন কি না। উত্তর আসে, “জানি”। এই কথোপকথনে হেসে ওঠেন সভায় উপস্থিত অনেকে। মায়া এরপর জানতে চান, হাওরে পানি কতটুকু। চুপ থাকেন ওই কর্মকর্তা।
মন্ত্রী বলেন, “ঢেউয়ে ডরাইয়া গেলেন, না? লুঙ্গি-টুঙ্গি নিয়ে যাইয়েন। সমস্যা হলে কোচ দিয়ে নাইম্যা যাইবেন। গ্রামের মানুষতো আমরা, অসুবিধা কি?” শিক্ষা কর্মকর্তাকে সচিব বলেন, “ভালো করে কাজ করেন, আন্তরিকতা নিয়ে। আপনার সন্তান হলে আপনি কী করতেন?”
সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রশ্নোত্তর পালা শেষ হলে নেত্রকোণা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক নূর খান মিঠু বলেন, প্রশাসনকে দায়িত্ব নিতে হবে এবং জবাবদিহিতার মধ্যে আনতে হবে। নেত্রকোণা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রশান্ত কুমার রায় বলেন, “প্রশাসনের কর্মকর্তাদের দুর্বলতা প্রকাশ পেয়েছে। ডেটার সঙ্গে বাস্তবতার পার্থক্য রয়েছে। এখান থেকে তাদের শিক্ষা নেওয়া উচিত। “চাহিদা অনুযায়ী যা থাকা উচিত ছির তা তারা রাখেননি, যা চাওয়ার ছিল তারা চাইতেও পারেননি। তারা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন, এদের ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা উচিত। প্রশাসন পিছিয়ে পড়বে এটা হতে পারে না। কর্মকর্তারা সঠিক তথ্য রাখছেন না এটা আজ উঠে এসেছে।”
নেত্রকোণা-৩ আসনের সাংসদ ইফতিকার উদ্দিন তালুকদার পিন্টু বলেন, “কর্মকর্তাদের ব্যর্থতা স্পষ্ট, আমরা চাইতেও জানি না।” সরকারি কর্মকর্তাদের আরও সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানিয়ে নেত্রকোণা-৪ আসনের সাংসদ রেবেকা মমিন বলেন, “আপনাদের সক্রিয় সহযোগিতা চাই, আপনাদের নামে নালিশ করতে চাই না।” হাওর অঞ্চলে ৫০ টন মাছ মরার যে তথ্য সরকারি কর্মকর্তারা দিয়েছেন, সে প্রসঙ্গে যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয় বলেন, “আজ (সোমবার) মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- ওই মাছ কে মেপেছে? এরপর আর কেউ কোনো কথা বলেননি।
“আমি সরকারি কর্মকর্তাদের বলব, প্লিজ, প্লিজ, প্লিজ আপনার এলাকা ভেবে চাকরি করবেন। প্লিজ টেক ইট সিরিয়াসলি।”
সমাপনী বক্তব্যে ত্রাণমন্ত্রী বলেন, ত্রাণ সচিব সুচারুভাবে প্রত্যেক সরকারি কর্মকর্তার দায়িত্ব ও করণীয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। ছয় জেলায় ছয় থেকে আট লাখ মানুষ এখন পানির সাথে লড়াই করছে।
“তাদের মুখে এখন হাসি থাকার কথা, কিন্তু মাথায় হাত। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, এদের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য। আপনারা যা চাইবেন, তাই দেব, কোনো অভাব নাই।”
ক্ষতিগ্রস্ত হাওর এলাকার ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে ওএমএসের চাল দিতে ডিলার নিয়োগ দেওয়ার পদক্ষেপের কথা জানিয়ে মায়া বলেন, “যারা দাদন দেন বা সুদের ব্যবসা করেন, অনুরোধ করি, মানুষের গলা টিপে ধইরেন না।”
এনজিওগুলোকে আগামী এক বছর ঋণের কিস্তি আদায় নিয়ে ‘ঝামেলা না করার’ আহ্বান জানান মায়া।
নেত্রকোণা জেলায় পোস্টিং নিয়ে যারা অন্য জায়গায় ডেপুটেশনে আছেন, তা বাতিল করতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি দিতে জেলার কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন ত্রাণসচিব।
দাদন ব্যবসায়ী ও এনজিওগুলো যেন কৃষকদের কাছ থেকে ঋণ আদায়ের নামে হয়রানি করতে না পারে, সে পদক্ষেপ নেওয়ারও দাবি ওঠে সভায়। এছাড়া ত্রাণ বিতরণে অনিয়ন যেন না হয় সে বিষয়ে কেউ কেউ মন্ত্রীকে পরামর্শ দেন।
নেত্রকোণার জেলা প্রশাসক মো. মুশফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে নেত্রকোণা-৫ আসনের সাংসদ ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল, নেত্রকোণা-১ আসনের সাংসদ ছবি বিশ্বাস, নেত্রকোণার পুলিশ সুপার ছাড়াও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা আড়াই ঘণ্টা ধরে চলা এ সভায় বক্তব্য দেন।