ইসহাক, নবীনগর প্রতিনিধি॥ গত ১লা মে সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবিনগর উপজেলায় ঘটে এই রুচিবিক্রিত মন-মানসিকতা ও মতিভ্রম মানুষের চিন্তার বহিঃপ্রকাশের কার্যকরী ঘটনা। বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় খালাতো বোন খাদিজা আক্তারকে ব্যাটারীর এসিডে মূখ মন্ডল ঝলসে দিয়েছে সালাউদ্দিন । ঘটনার পর গত সোমবারই এসিডদগ্ধ মেয়েটিকে দেখতে এসে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান পিপিএম (বার) চিকিৎসার দায়িত্ব নেন। পরে তিনি ব্রাহ্মনবাড়িয়ার নবীনগর পৌর এলাকার ভোলাচং চৌধুরী পাড়ায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালেহীন তানবীর গাজী, এ এস পি সার্কেল (নবীনগর) চিত্ত রঞ্জন পাল, ওসি ইমতিয়াজ আহম্মেদ,ওসি (তদন্ত) মেজবাহ উদ্দিন আহম্মেদ।
পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান পিপিএম (বার) বলেন, এসিডদগ্ধকারী সালাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আর মেয়েটির উন্নত চিকিৎসার দায়িত্ব আমার নিয়েছি। এসিডদগ্ধকারী সালাউদ্দিনের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান করা হবে যাতে কেউ আর এ রকম অপরাধ করতে সাহস না পায়।
উল্লেখ্য-উপজেলার নাছিরাবাদ গ্রামের স্বামী জাকির হোসেনের পরিত্যক্তা স্ত্রী স্বপ্না আক্তার ৪ ছেলে ১ মেয়ে নিয়ে গত মাস খানেক পূর্বে ভোলাচং চৌধুরী পাড়ায় ওই যুবকের মরহুম পিতা সফর আলীর বাড়িতে বাসা ভাড়া নিয়ে মানুষের বাড়িতে ঝিএর কাজ করে সংসার চালায় । এরপর থেকে ওই ছেলে স্বপ্না আক্তারের একমাত্র মেয়েকে প্রায়ই উত্যক্ত করে আসছে। প্রেম ও বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গত রবিবার রাতে ওই মেয়েটি বাড়ির টিউবওয়েল থেকে পানি আনার সময় ওই যুবক তার মূখমন্ডলে ব্যাটারীর এসিড ছুঁড়ে ঝলছে দেয়। এই ঘটনায় মেয়েটির মা স্বপ্না আক্তার বাদী হয়ে নারী ও শিশু দমন আইনে মামলা করেন। মামলা নং-২। গত সোমবার সকালে প্রেমিক সালউদ্দিনকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
ওই মেয়ের মা স্বপ্না আক্তার বলেন, তাদের বাড়িতে আসার পর থেক্কা সালাউদ্দিন আমার মেয়েরে প্রেমের ও বিয়ের কথা কয়। আমার মেয়ে রাজি না অয়ায় তারে এসিড মাইরা মুখ জালাই দিছে, আমি এর বিচার চাই।