শবে বরাত এর মধ্যদিয়ে আল্লাহর রহমত বর্ষিত হউক

তাজুল ইসলাম নয়ন॥ পবিত্র শবে বরাতের রজনী এবাদতের মাধ্যমে পার করে মুসলিম উম্মা ফিরে পাবে ফজিলতের, বরকতের ও মাগফিরাতের মাস রজমান।
রামাদানাল মোবারক। এই রমজান মাস শুরুর পুর্বে পবিত্র শবে বরাত দিয়ে শুরু হয় গুরুগাম্বিয্যপূর্ণ এবাদত। তাই গত শুক্রবার বাংলাদেশেও উদযাপিত হয়ে গেল এই পবিত্র রজনীর পবিত্র এবাদত। ছোট বড় সকলেই ঐ এবাদতে শরীক হয়ে সারা রাত জেগে এবাদত করে ফজরের নামাজ আাদায় করে বাসায় ফিরে নিদ্রা যাপন করেন।
এই রাতের এবাদতের বিশেষ ফজিলত তাই সকলেই এই ফজিলত থেকে বঞ্চিত হতে চায় না। ছোট বড় সকলেই মসজিদে গিয়ে এই ফজিলত আদায়ে শামিল হয়। বাড়ির গৃহীনিও এই এবাদতে মশগুল থাকেন; বাড়ির সমস্ত কাজ শেষে এশার নামাজ আদায় করে শুরু করেন এই ফজিলতের বন্দেগী।
শৈশবে দেখেছি এই ফজিলতের মুহুর্ত্ব আসলেই পাড়া-মহল্লায় উৎসব পড়ে যেত বিভিন্ন পিঠা, হালুয়া এবং ফিন্নি, সেওয়াই ও সেমাই এবং বাহাড়ী আয়োজনে। অনেকেই প্রতিবেশীদের বাড়িতে বাড়িতে এই সমস্ত বাহাড়ী খাবার বিতরণ করে সৌহাদ্য ও সম্প্রীতির এবং ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটাতেন।
কেউ বা মসজিদে ঐসকল বাহাড়ি খাবারের সাথে আবার বিভিন্ন দামি থেকে সস্তার তাবারুক দিয়ে দোয়া মোনাজাত করাতেন। এই যে একটি আনন্দ শৈশবে পেয়েছি তা আজ শহুরে জীবনে সম্পূর্ণ অনুপস্থিত।
পৃথিবীর যতই উন্নতি ঘটছে সেই সাথে সভ্যতার এমনকি ধর্মীয় আবেশেরও বিবর্তন পরিলক্ষিত হচ্ছে। এই পরিলক্ষিত হওয়া কিন্তু শুভ নয়। এর পরিণতি ভয়াবহ। বর্তমানে শহুরে বা গ্রামের ইট পাথরের জীবনের সবই যেন শুকিয়ে গেছে এবং ঐসকল সম্প্রীর, ভ্রাতৃত্বের ও ধর্মীয় সেতু বন্দনের সকল উপাদানই পর্যায়ক্রমে বিলুপ্ত হতে চলেছে। আসুন আমরা সকলে উপলব্দি করি সেই স্মতিময় শৈশব এবং আবারো ফিরিয়ে নিয়ে আসি ঐ অমলিন আনন্দ ও সৌহাদ্য এবং সম্প্রীতি।

আমরা যা পাব বলে আশা করে আছি তা যে আমরা পাবই এই নিশ্চয়তাই হল ঈমান। আর সেই ঈমানের দ্বারা আমরা নিশ্চিত ভাবে বুঝতে পারি যে, আমরা যা দেখতে পাচ্ছি না তা আসলে আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.