টিআইএন॥ বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ ভবনে সরকারি দলের সভাকক্ষে সংসদীয় দলের সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দলের সংসদ সদস্যদের নিয়ে আগামী দিনের নির্বাচনী করনীয় কি হতে পারে তার ধারনা প্রসুত এই সভা। আগামী নির্বাচনে কারও দায়িত্ব নেবেন না বলে হুঁশিয়ার উচ্চারণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ও কঠিন হবে। ২০১৪ সালের নির্বাচনে আমি দায়িত্ব নিয়েছি। ওই নির্বাচনে দেড়শ এমপি বিনা প্রতিদ্বদ্ধিতায় নির্বাচিত হয়ে এসেছেন। কিন্তু আগামী নির্বাচনে নিজেদের দায়িত্ব নিজেদেরই নিতে হবে। এবার আমি কারও দায়িত্ব নিতে পারব না। যেই হোন না কেন, জনপ্রিয়তা না থাকলে আমি মনোনয়ন দেব না। আপনারা কে কী করছেন, প্রত্যেকের রিপোর্ট আমার কাছে আছে। ছয় মাস পরপর আমি তথ্য নেই। যার অবস্থা ভালো তাকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে।’ রবিবার সংসদ ভবনে সরকারি দলের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠক সূত্র এতথ্য নিশ্চিত করেছে।
আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের প্রধান শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিজয়ী ১৬ স্বতন্ত্র এমপির মধ্যে ১১জন আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। বৈঠকের শুরুতে সংসদীয় দলের নেতা এই ১১জনকে পরিচয় করিয়ে দেন। তারা হলেন গাইবান্ধা-৮-এর আবুল কালাম আজাদ, নওগাঁ-৩-এর ছলিম উদ্দীন তরফদার, কুষ্টিয়া-১-এর রেজাউল হক চৌধুরী, ঝিনাইদহ-২-এর তাহজীব আলম সিদ্দিকী, যশোর-৫-এর স্বপন ভট্টচার্য্য, ঢাকা-৭-এর হাজী মো. সেলিম, নরসিংদী-২-এর কামরুল আশরাফ খান, নরসিংদী-৩-এর সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, মৌলভীবাজার-২-এর আব্দুল মতিন, কুমিল্লা-৩-এর ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন ও কুমিল্লা-৪-এর রাজী মোহাম্মদ ফখরুল।
স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের মধ্যে পিরোজপুর-৩-এর রুস্তম আলী ফরাজী, মেহেরপুর-২ আসনের মো. মকবুল হোসেন, ফরিদপুর-৪ এর মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন, ফেনী-৩ আসনের রহিম উল্লাহ এবং পার্বত্য রাঙামাটির ঊষাতন তালুকদার আওয়ামী লীগে যোগ দেননি।
আওয়ামী লীগে যোদ দেওয়া এমপিদের মধ্যে ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন সভায় বক্তব্য রাখেন। জেলা পরিষদ, পৌরসভাসহ স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিরা এমপিদের সঙ্গে কোন ধরনের সমন্বয় না করেই টাকা-পয়সা খরচ করে। এতে করে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা তাদের বরাদ্দের টাকা ব্যয় করে। তাদের বরাদ্দ নিয়ে আপনাদের নাকগলানোর দরকার কী? ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুনের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনি তো আপনার এলাকায় আমার অনেক নেতার বিরুদ্ধে মামলা করছেন। তাদের হয়রানি করছেন। এই মামলাগুলো প্রত্যাহার করে নিন।’ এবারের বক্তব্যে দলীয় প্রধান যে মত ও পথ প্রদর্শন করেছেন আশা করি বৈঠকে উপস্থিত সকলে এবং মিডিয়ার মাধ্যমে জ্ঞাত সকলেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে বের হয়ে এসে যার যার সঠিক কাজে নেমে পড়বেন। সকল ভুল বোঝাবোঝির অবসান ঘটাবেন।