তাজুল ইসলাম হানিফ॥ ৮ই মে ছিল আমার জম্ম দিন। দিনটা কবি গুরু রবীন্দ্রনাথেরও। আমি কৃতজ্ঞ এই দিনটার প্রতি ! কারণ আজকের দিনটায় জন্মেছিলে তুমিও, রবি। একটা সময় ছিল এই দিনটি মনেই থাকত না। কিন্তু, আজকাল ফেসবুক, ব্লগ এসবের বদৌলতে জম্মদিন কথা স্মরন না থাকলেও, স্মরন করতে বাধ্য। ফেসবুক খোলার সাথে সাথে বন্ধুদের অগনিত “উইস ভরা মেসেজ” আপনাকে জানিয়ে দেবে এই বেটা তুই আজকের দিনে জম্মেছিস! আমার এফবি ইনবক্সে কিংবা মোবাইল ম্যাসেজে ও তাই !
তবে, জম্ম ব্যাপারটাকে যত খুশির বলে মনে করা হয়, আসলে তা তেমন খুশির কি ?। জম্ম হওয়া মানে মৃত্যুর দিকে বিজ বোনা। আর মৃত্যুর কথা স্মরন হলেই মন খারপ হয়ে যায়। এই বুঝি আজরাইল হাজির হইল। খালি ভয়। অবশ্য আল্লাহ ও তার রাসুল মৃত্যুকে স্মরন করতে বলেছেন বেশী বেশী। এতে মন নরম হয়। জগতের প্রতি মোহ থাকেনা। এনিওয়ে, বন্ধুদের কিংবা শুভাকাংখিদের উদ্দেশে যেই কথাটি বলতে চাচ্ছি…।
প্রিয়গণ…আমি এই পৃথিবীতে এসেছি সম্পূর্ন একা। আমার সাথে কেউ আসেনি। আসার কথাও না। বিস্ময়কর হলেও, আমার মৃত্যুও হবে একা। আমি পৃথিবীতে যেই রকম একা এসেছি, পৃথিবীর থেকেও ঠিক সেইভাবেই একা চলে যাব। কেউ আমার সাথে যাবে না।
“তাই বলি কি, এই পৃথিবীতে আমরা সবাই একা। আমাদের খুব সহজ যাত্রাকে আমরা নিজেরাই অনেক দুর্বোধ্য করে তুলি কারণ আমরা আসলে জানিনা আমাদের কি প্রয়োজন। আর এই প্রয়োজনগুলো জানার জন্য নিজেকে সময় দেবার অনেক দরকার। এই দরকারটুকুই আমরা বুঝে উঠিনা। আমরা সারাক্ষন পরের মধ্যে নিজের সুখ খুঁজি। নিজের মধ্যে কেউ শান্তি সন্ধান পাইনা। যেইদিন পাব সেইদিন হয়ত অনেক দেরি হয়ে যাবে।”
ও আরকেটি গুরুত্তর্পুন কথা…বাংলা… পঁচেিশ বশৈাখ কিংবা ইংরজেী,… ৮ই মে আজ। বাংলা ভাষা ও সাহত্যিরে অনন্য পুরুষ বিশ্বকবি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুররে ১৫৬তম জন্মর্বাষিকী। রবীন্দ্রনাথরে রচনা সম্ভার বিপুল, বৈচিত্র্যময়। সাহিত্যের প্রায় সব শাখাই ছিল তাঁর উজ্জ্বল উপস্থিতি। বিস্ময়কর সৃজনী প্রতিভা দিয়ে তিনি সমৃদ্ধ করছেনে বাংলা সাহত্যিকে। তাঁর কবিতা, ছোটগল্প, প্রবন্ধ, নাটক, সংগীত, শিশুতোষ রচনা, পত্র-সাহিত্য বাংলা সাহিত্যের অমর সংযোজন।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি বলেছেন, রবীন্দ্রনাথ মানবতাবাদী ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার কবি। জীবনের আনন্দ-বেদনা, আশা-নিরাশা, সংকট-সাফল্যে, উৎসব-পার্বণে রবীন্দ্রনাথ বাঙালির পরম আশ্রয়। পৃথক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা ও বাঙালির অহংকার। আমাদের মননে বিশ্বকবির ব্যঞ্জনাময় উপস্থিতি শোষণ, বঞ্চনা, সাম্প্রদায়িকতা, সহিংসতা ও অমানবিকতা প্রতিরোধের মাধ্যমে বাঙালির অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখবে।
সবশেষে,… আমার জন্মদিনে সবার জন্যে আমার তরফ থেেক অনকে অনকে শুভকামনা ও ভালবাসা রইল। যারা উইস করেছেন তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা, শ্রদ্ধা ও ভালবাসা জানাই। শুভ জন্মদিন বাংলা সাহিত্যের সম্রাট রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তোমাকেও।