তাজুল ইসলাম (হানিফ) : ১৮ই মে, বিশ্ব জাদুঘর দিবস।বিশ্ব জাদুঘর দিবসে সকলের প্রতি অনেক অনেক ভালবাসা, শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা………টিএসসি,কলাভবন কিংবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারপাশ যখন ছাত্র-ছাত্রীর/প্রেমিক-প্রেমিকার কোলাহল, ঠিক তখনি শৈশব/কৈশরের তিনবন্ধু মুন্না, হানিফ ও রনিরা দুষ্টমির ছলে ঢুকে পড়ল জাতীয় জাদুঘরে। ঢুকেই আনন্দে খাবো-ডুবো। মনে পড়ে গেল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সেই কথা……………
দেখিতে গিয়াছি পর্বতমালা দেখিতে গিয়াছি সিন্ধু, দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া ঘর হইতে দুই পা ফেলিয়া; একটি ধানের শিষের উপর একটি শিশির বিন্দু….কত শতশত দিন এই পাশ দিয়ে যাওয়া কিন্তু কখনও জাতীয় জাদুঘরের ভিতরে ঢুকা হয়নি।এই ব্যস্ত শহরে ইদানিং কেমন যেন দম বন্ধ হয়ে আসছে। দূরে কোথাও যদি একটু ঘুরে আসা যেত তবে মন্দ হতো না। তাই যান্ত্রিক জীবনের ব্যস্ততা থেকে কিছু সময় বের করে হারিয়ে গিয়েছিলাম তিন বন্ধু সারাদিনের জন্যে। দিনটি ছিল ৬ই মে,২০১৭।
তিন বন্ধুর হারিয়ে যাওয়া !!! “বাংলাদেশ জাতীয় যাদুঘরে” লেখাটি যখন লিখে শেষ করলাম, তখনি পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারি আজ অর্থাৎ ১৮ই মে, বিশ্ব জাদুঘর দিবস। এই বিশ্ব যাদুঘর দিবসে সকলের প্রতি অনেক অনেক ভালবাসা, শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা জানিয়ে “বাংলাদেশ জাতীয় যাদুঘর” সম্পর্কে কিছু অনুভুতি শেয়ার করতে চাই।:
অসম্ভব ভালো একটা সময় কেটেছে তিন বন্ধুর জন্যে। তিনবন্ধুই ঢাকার তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স/মাস্টার্স শেষ করে নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে বেশ আগে থেকেই। কিন্তু এক হয়ে খুব একটা যাওয়া হয় না কোথাও। তো! সেই দিনটিকেই লুফে নিলাম তিনবন্ধু। মূল কথায় ফিরে যায়। জাদুঘরের প্রথম তলাটি যেন পুরো বাংলাদেশের একটি ক্ষুদ্র সংস্করণ। বাংলাদেশের মানচিত্র দিয়ে শুরু হওয়া এই তলাতে আরো দেখতে পাই বাংলাদেশের গাছপালা, প্রাণী, সুন্দরবন, উপজাতীদের জীবনধারা, খনিজ শিলা, ভাস্কর্য, মুদ্রা এবং প্রাচীন যুগের নানাবিধ ভাস্কর্যের।
ভবনটির দ্বিতীয় তলায় দেখা যায়, বাংলাদেশের সভ্যতা ও ইতিহাসের ক্রমবিবর্তন। বিভিন্ন সময়ের অস্ত্র, বাদ্যযন্ত্র, চীনামাটির হস্তশিল্প, কুটিরশিল্প, পান্ডুলিপি, সমকালীন শিল্পকলা এবং বাংলাদেশের নানাবিধ ঐতিহ্য দিয়ে সাজানো হয়েছে এই তলা।
ভবনের তৃতীয় তলায় রয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন স্বনামধন্য ব্যক্তির প্রতিকৃতি, চিত্রকর্ম ও বিশ্বসভ্যতার নানা নিদর্শন। মোদ্দা কথা, বাংলাদেশর ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির নানা নিদর্শন জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর। প্রাচীন যুগ থেকে আজকের বাংলাদেশ যতগুলো সিড়ি পার করেছে তার সবকটির চিহ্ন ধরে রেখেছে জাতীয় জাদুঘর। নতুন প্রজন্মকে ইতিহাস ও ঐতিহ্যের বিভিন্ন উপাদানের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া এবং তা সংগ্রহ, সংরক্ষণ, প্রদর্শন ও গবেষণা কাজে নিয়োজিত রয়েছে এ প্রতিষ্ঠানটি।
বাংলাদেশ সম্পর্কে জ্ঞান অর্জনের জন্য শিক্ষাভ্রমণের এক উপযুক্ত স্থান হতে পারে বাংলাদেশ জাদুঘর। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা দলবেঁধে প্রায়ই আসেন এখানে। আমি মনে করি, পাঠ্যপুস্তকে পড়া বাংলাদেশের ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলো সামনাসামনি দেখার এ যেন এক বিরাট সুযোগ। বাংলাদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য সম্পর্কে যথাযথ জ্ঞানলাভের জন্য প্রত্যেক শিক্ষার্থীরই জাদুঘরে আসা উচিত। কেবল শিক্ষার্থীরাই নয়, নানা বয়সের মানুষের আগমন ঘটুক। ছোট ছোট বাচ্চাকে মা-বাবার হাত ধরে যেমন ঘুরতে দেখা যায় এখানে, তেমনি দেখা যায় প্রবীণ গবেষকদেরও। সব বয়সের মানুষের চাহিদা পূরণ করে আসছে এই জাদুঘর।
চারতলা এই ভবনের স্থাপত্য নকশা অত্যন্ত নজরকাড়া। ২০ হাজার বর্গমিটারের এই ভবনটির ৪৬টি গ্যালারিতে রয়েছে প্রায় ৮৩ হাজারের বেশি নিদর্শন। কেবল বাংলাদেশেই নয়, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে এটি সর্ববৃহৎ জাদুঘর। নতুন প্রজন্মকে বাংলাদেশের ইতিহাস ও সভ্যতার প্রতিটি ধাপের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া এই প্রতিষ্ঠান বর্তমানে রয়েছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীনে। টিকেট কেটে মূল ফটক পেরিয়ে ভেতরে প্রবেশ করলেই দেখা মিলবে জাদুঘর ভবনের। ভবনটির চারদিকে রয়েছে প্রচুর গাছপালা, যা এক মনোরম পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। ভবনের প্রবেশদ্বারে রয়েছে সুসজ্জিত দুটি কামান। ভবনটির ভেতরে প্রবেশ করলেই চোখে পড়বে নান্দনিক নভেরা ভাস্কর্য। নিচতলায় রয়েছে শুভেচ্ছা স্মারক বিপণি, সে সঙ্গে রয়েছে ব্যাগ রাখার স্থান ও কয়েকটি খাবারের দোকান। সিঁড়ি বেয়ে ওপরের দিকে উঠলেই পাবেন গ্যালারি নির্দেশক। প্রতিটি তলাতেই রয়েছে এই নির্দেশক, যা দর্শনার্থীকে প্রতিটি তলার গ্যালারি সম্পর্কে অবগত করে।
চলুন যাদুঘর সম্পর্কে কিছু তথ্য দেয়া যাক : বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শহরে অবস্থিত দেশের প্রধান জাদুঘর “বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর” । এটি ২০ই মার্চ , ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয়, এবং ৭ আগস্ট, ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। ১৯৮৩ খ্রিষ্টাব্দের ১৭ নভেম্বর তারিখে এটিকে জাতীয় জাদুঘরের মর্যাদা দেয়া হয়।
জাদুঘরটি শাহবাগ মোড়ের সন্নিকটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, রমনা পার্ক ও চারুকলা ইন্সটিটিউটের পাশে অবস্থিত। এখানে নৃতত্ব, চারুকলা, ইতিহাস, প্রকৃতি এবং আধুনিক ও বিশ্ব-সভ্যতা, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ইত্যাদি বিষয়ে আলাদা ৪৬টি প্রদর্শনীকক্ষ (গ্যালারি) রয়েছে। এছাড়া এখানে একটি সংরক্ষণাগার, গ্রন্থাগার, মিলনায়তন, আরকাইভ, সিনেস্কেইপ এবং চলচ্চিত্র প্রদর্শনালয় রয়েছে। প্রথমে ঢাকা জাদুঘর নামে আত্মপ্রকাশ করে আজকের জাতীয় জাদুঘর। ১৯১৩ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজের একটি কক্ষে এর উদ্বোধন করেন তদানিন্তন বাংলার গভর্নর লর্ড কার মাইকেল। ১৯৭০ পাকিস্তান সরকার ঢাকা জাদুঘর কমিটির পরিবর্তে ঢাকা জাদুঘর প্রযতœ বোর্ড অধ্যাদেশ জারি করে একে সংবিধিবদ্ধ সংস্থায় রূপ দেয়। পরবর্তীতে বাংলাদেশ সরকার ১৯৮৩ সালে ঢাকা জাদুঘরকে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর হিসেবে ঘোষণা করেন। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানটি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত।
রাজধানী ঢাকার শাহাবাগ এলাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ পাশে এর অবস্থান। বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর স্থাপনার নকশা করেছেন দেশের প্রখ্যাত স্থপতি সৈয়দ মাইনুল হোসেন।
সংগৃহীত নিদর্শন: বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে সংগৃহীত নিদর্শনের সংখ্যা প্রায় ৯৪ হাজার। প্রতিটি নিদর্শনের একটি একসেশন নম্বর আছে। নিদর্শনের নাম ও সংক্ষিপ্ত পরিচয় নিয়ে কম্পিউটার ডেটাবেইস প্রণয়ন করা হয়েছে। এছাড়া নির্বাচিত ৭৫০০ নিদর্শনের মুদ্রিত বর্ণনামূলক ক্যাটালগ প্রণয়ন ও প্রকাশনার কাজ চলছে। সংগৃহীত নিদর্শনসমূহের প্রায় ৪ হাজার নিদর্শন ৪৩টি প্রদর্শন কক্ষে জনসাধারণের দর্শনের জন্য সাজিয়ে রাখা আছে। ৩৭ নম্বর প্রদর্শন কক্ষে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র প্রদর্শনী প্রকোষ্ঠ করা হয়েছে। এছাড়া আইএফআইসি ব্যাংক ও দৃক-এর সহায়তায় ৩৫ নম্বর গ্যালারীতে শিল্পচার্য জয়নুল আবেদিন চিত্রশালা স্থাপন করা হয়েছে। ২৬ নম্বর কক্ষটি দর্শনার্থদের জন্য বিভিন্ন নাগরিক সেবার জন্য বরাদ্দ। ২০১৬ থেকে থেকে ৪৫ সংখ্যক গ্যালারিতে ভারতীয় সভ্যতার ওপর নতুর গ্যালারি নির্মাণের কাজ চলছে। একই সঙ্গে ৪৩ সংখ্যক গ্যালারিতে বিশ্বসভ্যতার টাইমলাইন স্থাপনের কাজ সমাপ্তির পথে।
ব্যবস্থাপনা কাঠামো : বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর একটি স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান যা আইন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত ও একটি বোর্ড অব ট্রাস্টিজের নিয়ন্ত্রণাধীন। তবে সরকার কর্তৃক নিযুক্ত একজন মহাপরিচালক এই জাদুঘরের প্রধান নির্বাহী হিসেবে সামগ্রিক দাযিত্ব পালন করে থাকেন। বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে বর্তমানে ৩৩০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মরত আছেন। বাৎসরিক ব্যয়ের পরিমাণ প্রায় ২৯ কোটি টাকা।
নিয়ন্ত্রণাধীন জাদুঘর: বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের নিয়ন্ত্রণে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের জাদুঘরগুলো পরিচালিত হচ্ছে। সেগুলো হলোঃ- (ক) আহসান মঞ্জিল জাদুঘর, ঢাকা। (খ) শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন সংগ্রহশালা, ময়মনসিংহ। (গ) ওসমানী জাদুঘর, সিলেট। (ঘ) জিয়া স্মৃতি যাদুঘর, চট্টগ্রাম। (ঙ) স্বাধীনতা জাদুঘর, সুহরাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাকা। (চ) পল্লী কবি জসীম উদ্দীন সংগ্রহশালা ফরিদপুর, ফরিদপুর। (ছ) সাংবাদিক কাঙ্গাল হরিনাথ স্মৃতি জাদুঘর, কুষ্টিয়া। (জ) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর, গণভবন, ঢাকা। (ঝ) জাতীয় চার নেতা স্মৃতি জাদুঘর, কেন্দ্রীয় কারাগার, ঢাকা।
এছাড়া সেগুনবাগিচায় প্রাকৃতিক ইতিহাস জাদুঘর নির্মাণের কাজ হাতে নেয়া হয়েছে।
ভবনের যেখানে যা দেখতে পাওয়া যায়. (ক) জাদুঘর প্রাঙ্গণটি নানান রকম গাছে সুসজ্জিত। ভবনের প্রবেশ দ্বারের দু’পাশে রয়েছে ঐতিহাসিক দুটি কামান। ৪ তলা বিশিষ্ট ভবনটির ভেতরে প্রবেশ করলেই চোখে পড়বে নান্দনিক নভেরা ভাস্কর্য। এই ভবনের প্রথম তলায় অফিস, হল রুম ও অন্যান্য। ২য়, ৩য় ও ৪র্থ তলায় ঐতিহাসিক সকল নিদর্শন সংরক্ষিত রয়েছে যা প্রদর্শনীর জন্য উন্মুক্ত।
(খ) দ্বিতীয় তলায় গেলে দর্শনার্থীরা সামগ্রিক বাংলাদেশ সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা পাবেন। এখানে রয়েছে বাংলাদেশের মানচিত্র, গাছপালা, জীবজন্তু, উপজাতি জনজীবন, শিলা, খনিজ, সুন্দরবন ও অতীত সময়ের বিভিন্ন মুদ্রা ও স্থাপত্য।
(গ) তৃতীয় তলায় সজ্জিত আছে- (১) অস্ত্রশস্ত্র, চীনামাটির শিল্পকর্ম, পুতুল ও বাদ্যযন্ত্র, বস্ত্র ও পোশাক-পরিচ্ছদ, নকশী কাঁথা, পান্ডুলিপি, সমকালীন শিল্প ও আবহমান বাংলাদেশ। বিশ্বসভ্যতা ও শিল্পকলা সম্পর্কে ধারণা পাবেন। (২) চতুর্থ তলায় সজ্জিত আছে, বিশ্ব মনীষীদের প্রতিকৃতি, বিশ্ব শিল্পকলা, বিশ্ব সভ্যতা প্রভৃতি।
অডিটোরিয়াম, লাইব্রেরী, ক্যান্টিন : (ক) বিভিন্ন প্রকার সভা, সেমিনার আয়োজনের সুবিধার্থে জাদুঘর অডিটোরিয়াম ভাড়া নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। অডিটোরিয়ামের মোট ৩টি রুম রয়েছে। বড় রুমের ভাড়া ১৪,০০০ টাকা (সারাদিন)। ছোট রুমের ভাড়া ৫,০০০ থেকে ৭,০০০ টাকা (সারাদিন)।
(খ) জাদুঘরের নিজস্ব লাইব্রেরী দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত। এখানে রয়েছে ৩০,০০০ থেকে ৪০,০০০ বই। যা গবেষণার কাজে সহায়তা করে। নিচতলায় সিড়ির দক্ষিণ পাশে জাদুঘরের নিজস্ব ক্যান্টিন রয়েছে। যেখানে চা, কফি ও বিস্কুট পাওয়া যায় তবে দাম তুলনামূলক একটু বেশী।
সকাল ১০.৩০ থেকে ৪.৩০টায় ছিলাম জাদুঘরের ভিতর। চমৎকার ও এক অন্যরকম আনন্দের ছিল। ছিল ঘুরাঘুরির জন্যে দিনটি। হারিয়ে যাওয়ার জন্যে তো বটেই। তবে এই হারিয়ে যাওয়া সেই হারিয়ে যাওয়া নয়, এই হারিয়ে যাওয়া মানে আনন্দে আনন্দে ঢেকুর তোলা। সবশেষে, দোস্ত মুন্নার আপ্যায়নে লাঞ্চ শেষে বাসায় ফেরা এবং কবিতায় গেয়ে উঠা……
ফিরে এসো, চল ভালবাসি…
ডিজিটাল নয় প্রাচীন ধারায়;
আমাদের জীবনের এ গতিময় পথে স্বপ্নের ভীড়ে
নতুন রুপে বেঁচে থাকার স্বাদে;
ক্ষণিকের রঙে নিজেদেরকে রাঙিয়ে
ফিরে পাব, অসংখ্য প্রাণের স্পন্দন !