আন্তর্জাতিক ডেক্স॥ যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বাংলাদেশি এক তরুণীকে যৌন হয়রানি এবং কথিত অপহরণের অভিযোগে নিউইয়র্ক সিটি বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, আঞ্চলিক সংগঠন কুমিল্লা সোসাইটির সভাপতি ও তথাকথিত ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল খালেককে (৪৭) পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারের পর পেশায় ট্যাক্সি চালক আব্দুল খালেকের এই অপকর্মের খবর মার্কিন মূলধারার প্রায় প্রতিটি প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া ফলাও করে প্রচার করছে।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে যৌন হয়রানির শিকার ওই তরুণী অভিযোগ করেন, গত ৭ এপ্রিল রাতে তিনি ব্রঙ্কসে তার কর্মস্থলে কাজ করছিলেন। ইঞ্জিনিয়ার খালেক তার প্রতিবেশী এবং একই বাসার উপরের তলায় থাকেন। কাজ শেষে ব্রঙ্কসের বাসায় যাওয়ার জন্য স্টোর বের হতেই খালেক তাকে বাসায় পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে। পরিচিত জেনেই ওই তরুণী তার ট্যাক্সিতে উঠেন। কিন্তু ট্যাক্সিতে ওঠার পর খালেক তাকে ব্রঙ্কস থেকে প্রায় ৪০ মাইল দূরে কানেকটিকাট রাজ্যের নরওয়াকে নিয়ে এক হাজার ডলারের বিনিময়ে কুপ্রস্তাব দেন। এতে রাজি না হওয়ায় একপর্যায়ে খালেক ওই তরুণীকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে।
ওই তরুণী আরও জানান, তিনি ট্যাক্সি থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করছিলেন। একপর্যায়ে সুযোগ বুঝে তিনি গাড়ি থেকে বের হয়ে পুলিশে কল করেন। পুলিশ ফোন ট্র্যাক করে ঘটনাস্থল থেকে তরুণীকে উদ্ধার করে। এ ঘটনার পর খালেক গা ঢাকা দেয়। তাকে গ্রেপ্তারে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে তার ছবি সংবলিত পোস্টার প্রকাশ করে। পরবর্তীতে পুলিশ মোহাম্মদ খালেককে গত ১১ মে বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করে। পরদিন তিনি জামিন পান। তবে তার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। আব্দুল খালেকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে ওই তরুণী বলেন, আর কোনো মেয়ে যেনো এরকম পরিস্থিতির শিকার না হয়। তবে এ ঘটনার পর মোহাম্মদ খালেক দাবি করেন, তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ মিথ্যা।
আব্দুল খালেকের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লায়। স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে তিনি দীর্ঘদিন ধরে ব্রঙ্কসে বসবাস করছেন। নানান অপকর্মের কারণে এ পর্যন্ত পাঁচ বার গ্রেফতার হলেন আব্দুল খালেক। এর আগে একজন নারী যাত্রীকে মোবাইলে পর্ণোগ্রাফি দেখানো এবং কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগে তার ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিল করা হয়। ওই মামলায় আদালত তাকে এক হাজার ডলার জরিমানা করে। সর্বশেষ ঘটনায় ইঞ্জিনিয়ার খালেকের ড্রাইভিং লাইসেন্স সাসপেন্ড করা হয়েছে।