রাইসলাম॥ আসন্ন রমজানের ঈদে ঘরমুখী যাত্রীদের সেবা নিশ্চিত করতে বিআরটিসি’র নয়শ’ বাস প্রস্তুত থাকবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘এই নয়শ’ বাসের পাশাপাশি তাৎক্ষণিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় মহাখালী, গাবতলী, যাত্রাবাড়ি ও সায়েদাবাদ টার্মিনালে পঞ্চাশটি বাসও প্রস্তুত রাখা হবে। যাত্রীসেবা প্রদানের বিষয়াদি তদারক করতে খোলা হবে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। ৯শটি বাসের মধ্যে ৪৬৬টি বাস জেলা-উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত যাবে।
সড়ক পরিবহন মন্ত্রী গত বুধবার সকালে কমলাপুর বাস ডিপোতে আসন্ন রমজানের ঈদে বিআরটিসি’র সেবার মান বৃদ্ধি বিষয়ক মতবিনিময় সভায় এ সব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, ঈদের সময়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে বিআরটিসি’র তিনটি মনিটরিং টিম রাখা হবে। এছাড়া সড়কে যানবাহনের কোন প্রকার সমস্যা হলে তাৎক্ষণিকভাবে মেরামতের জন্য পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট চারটি কারিগরি টিম টাঙ্গাইল, বগুড়া, রংপুর এবং কাঁচপুর ব্রিজ এলাকায় স্ট্যান্ডবাই রাখা হবে বলেও জানান মন্ত্রী। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ঈদের সাতদিন আগ থেকে অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হবে। ঈদ পরবর্তী তিনদিন পর্যন্ত স্পেশাল সার্ভিস চলবে। ঈদের সময় সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বাড়তি ভাড়া আদায় করতে দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, ঘরমুখো যাত্রীদের নিরাপত্তা ও যানজট নিয়ন্ত্রণে রাখতে সড়কে ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও নিয়োজিত থাকবে। বিআরটিসিকে সুনামের ধারায় ফিরিয়ে আনতে প্রধানমন্ত্রী শখ হাসিনার বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বিআরটিসির শ্রমিক-কর্মচারী-কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, বিআরটিসিকে সুনামের ধারায় ফিরিয়ে আনুন। দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে। জনগণ যেসব অভিযোগ করে সেবসব অভিযোগ অমূলক নয়।
এ সময়ে তিনি জানান, ভারতীয় ঋণ কর্মসূচির আওতায় বিআরটিসি’র জন্য ছয়’শ বাস এবং পাঁচ’শ ট্রাক সংগ্রহের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আগামী ডিসেম্বর নাগাদ বাস ও ট্রাকের বহর ঢাকায় আসতে শুরু করবে। এর আগে মন্ত্রী বিআরটিসি’র অবসরপ্রাপ্ত ২১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর অনুকূলে পেনশন ও গ্র্যাচুইটির বকেয়া পাওনার চেক তুলে দেন। সভায় এসময় বিআরটিসি’র চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।