বাংলাদেশের জন্য রহমত স্বরুপ আমাদের প্রধানমন্ত্রী। তাই তাঁর জান মালের দেখবাল করছেন স্বয়ং খোদা তায়ালা। শয়তান এই পর্যন্ত যতবারই পরিকল্পনা করেছে ততবারই খোদা তায়ালা সেই পরিকল্পনা ধ্বংস করে দিয়েছেন। আমরা বিশ্বাস করতে যদি না চাই তাহলে পরিসংখ্যান এবং ঝুকির কথা একটু চিন্তা করি তাহলেই খোদার ইচ্ছা এবং রহমত যে শেখ হাসিনা তা বুঝতে পারবো। কারণ তিনি যা করছেন তা সবই খোদার ইচ্ছার বাস্তবায়ন এবং খোদার সৃষ্টির কল্যানার্থে। সামগ্রিক কল্যাণের তরে তিনি তাঁর পদক্ষেপ নিচ্ছেন। কোন বিশেষ শ্রেণীকে তিনি গুরুত্বারোপ করেননি বরং গরুত্বারোপ করেছেন সকলকেই।
বিশ্বাস করুন শতাধিকেরও বেশী আক্রমন সানিত হয়েছিল শেখ হাসিনাকে হত্যা করার লক্ষ্যে কিন্তু সেই আক্রমন পরাজিত হয়েছে। খোদার ক্ষমতা ও রহমত বিজীত হয়েছে। হাজারেরও বেশী পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে তাও আবার স্বয়ং খোদার ইশারায় এবং তাঁর সৃষ্টি মানুষের দৃষ্টি সীমা ও তীক্ষণ নজরদারীর জন্য। তারপরও কিন্তু চক্রান্তকারীদের চক্রান্ত থেমে নেই। দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক চক্রানের কারণে আমরা হারিয়েছি আমাদের মহান নেতাকে। এখন আর হারাতে চাই না আমাদের শেষ সম্বলটুকুকে। তিনি আমাদের রতœ, সম্পদ, আহৎকার এবং হৃদয়স্পন্দন। তাকে রক্ষার্থে আমাদেরর ভূমিকা রয়েছে। সুতরাং আমরা প্রত্যেকেই যার যার জায়গা থেকে সেই ভুমিকাটুকু সতর্কতার সহিত সচেতনভাবে পালন করিব। তাহলে খোদার পাহাড়া ও সুরক্ষা এবং আমাদের ইচ্ছা ও প্রচেষ্টায় সকল বাধা অতিক্রম করে এগিয়ে যেতে পারবো।
যে কারণে বিভিন্ন কৌশলে চক্রান্তকারীরা তাদের চক্রান্ত বাস্তবায়ন করতে চাইছে সেই চক্রান্তের রহস্য উন্মোচন করে জাতিকে জানানো প্রয়োজন। যে বা যারা ঐ চক্রান্ত করে যাচ্ছে একের পর এক তাদের মুখোশ উন্মোচন করুন। যারা এই চক্রান্তের সঙ্গে জড়িত হচ্ছে তাদেরকে চিহ্নিত করে সকল কিছু পরিস্কার করুন এবং প্রয়োজনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিন যা এখনও পৃথিবীতে বাস্তবায়িত হয়নি তা প্রদান করে দৃষ্টাান্ত স্থাপন করুন। যাতে করে কেউ আর ঐ ধরনের চক্রান্তের সঙ্গে জড়িত না হয়।
বাংলাদেশ এগিয়েছে এবং এর সকল কিছুই এখন ডিজিটাল পদ্ধতির ছদ্ধাবরণে এগিয়ে যাচ্ছে। সুতরাং পুরাতন ঝংধরা পক্রিয়ায় আর আমাদের দেশের আম-জনতা ফিরে যেতে চাই না বরং আরো শক্তিশালী নতুন কোন উদ্ভাবনী শক্তি নিয়ে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে পশ্চাতে ফেলে এগিয়ে যেতে চায়। আগামী শতাব্দিতে বাংলাদেশ বিশ্বকে ডিজিটাল নেতৃত্বে নেতৃত্ব দিয়ে এগিয়ে নিতে চায়। তাই এখনই সময় আমাদের সকলের সার্বজনিন কল্যাণের তরে সমন্বিত পদক্ষেপে এগিয়ে যাওয়ার। বিশ্ব নেতৃত্ব এখন আমাদেরকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে তাই আর ঘরে বসে থেকে অথবা আড্ডায় থেকে এমনকি কোন ষড়যন্ত্রে মেতে থেকে সময় নষ্ট করার কোন সুযোগ নেই। বরং এগিয়ে যেতে হবে সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে আমরা পরের তরে।
বিশ্ব পরিমন্ডলে এখন দরকার শান্তি এবং স্থিতিশীলতা। তাই এই লক্ষ্যেই আমাদের কাজ করা উচিত। বিশ্বকে জাগ্রত করার দরকার। কারণ বিশ্ব এখন শয়তানের দেখানো পথে বাতাসে দোলা নল-খাগড়ার ন্যায় দৌঁড়াচ্ছে। তাই সকলের দৃষ্টি ফেরাতে হবে শান্তির এবং স্থিতিশীলতার দিকে। এগিয়ে নিতে হবে বেহেস্তী আবেশে দুনিয়াদারীকে। তাই এই কাজটুকু করার জন্য আমাদের আল্লাহর রহমত এবং বিশ্ববাসির জন্য আশির্বাদ শেখ হাসিনা। তাকে নিয়েই এগুতে হবে এবং খোদা তায়ালা ইচ্ছাও তাই। তিনি এই মানব জাতিকে উদ্ধার করার লক্ষ্যেই বাংলাদেশকে বেঁছে নিয়েছেন এবং মনোনীত করেছেন আমাদের প্রাণপ্রীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। তাই আসুন আল্লাহর ইচ্ছার প্রতিফলন দেখতে সকলে একযোগে কাজ করি এবং মন্দতা মুক্ত বিশ্ব ঘড়ি।
শেখ হাসিনার হত্যা চেষ্টার জট উন্মোচন করে বিশ্ব দরবারে আরেকটি অলৌকিক কাজের দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করি। আল্লাহর ইচ্ছা ও মানুষের ইচ্ছার মধ্যে বিরাট পার্থক্য তা প্রকাশ করি। সরকার, প্রশাসন, রাজনৈতিক দল মত নিবিশেষে এবং আপামর জনগনের প্রতি আবেদন আপনারা ঐক্যবদ্ধ হওন এবং যার যার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করুন। যদি দায়িত্বে গাফিলতি হয় তাহলে আমাদের উপর আল্লাহর রহমত ও আশির্বাদ কমে যাবে। সুতরাং পরিপূর্ণ রহমত ও আশির্বাদ ভোগ করার জন্য আরো সচেতন হয়ে দায়িত্ব পালন করুন।