শিক্ষা থেকে দীক্ষা নেয়া… শিক্ষকের ভুমিকায় আনিছুল হক সাহেব

তাজুল ইসলাম নয়ন॥ একজন আদর্শ শিক্ষকই দিতে পারেন সমাজ ও দেশ সংস্কারক, এমনকি সেবক ও সেবামুলক কাজ বাস্তবে রূপদান করার কারিঘরকে। সেই শিক্ষা যদি ছাত্ররা গ্রহন না তাহলেও শিক্ষকের দায় থেকে যায়। যেন গ্রহনযোগ্য শিক্ষা ও পলিসির মাধ্যমে নিয়ন্ত্রন এবং সেই নিয়ন্ত্রিত জীবন-যাপনের ফলপ্রসুতা যাচায়ের। আমাদের মাননীয় এডভোকেট আনিছুল হক শ্যানন সাহেব একজন আদর্শবান ও নিলোর্ভ মানুষ। তার এই সততা এবং নিলোর্ভ নি:স্বার্থ কাজগুলোই শিক্ষনীয় হয়ে থাকবে আগামী দিনের রাজনীতি, সমাজনীতি ও শিক্ষানিতীতে।
শুধু তাই নয় তিনি কিন্তু হাতে কলমেও শিক্ষা দেন। তিনি শিক্ষা দিয়েছেন এলাকার আগত মানুষজনদের, আপনজনদের, পরিজনদের এবং রাজনৈতিক সহকর্মী থেকে নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের। আমিও ওনার শিক্ষার দিক্ষা নিয়েছি। কয়েকটি ঘটনার পুনরাবৃত্তি করতে চাই এইভাবে। কসবায় যখন জনাব শাহ আলম সাহেবকে আক্রমন করা হয়; তখন তিনি বিরক্তি প্রকাশ করেছেন; তিনি কঠোরতা দেখিয়েছেন। তিনি ঐ ঘটনার জন্য দায়ী হিসেবে জনাব এমরান উদ্দিন জুয়েলকে শাসিয়েছেন। পুনরায় এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন আর না ঘটে সেই ওয়াদাও করিয়েছেন। তিনি বায়েক ইউনিয়ন এর ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাদের শাষিয়েছেন। যা জানতে পারি ছোট ভাই দোবাই প্রবাসী কামাল নূর এর মাধ্যমে। কামাল ঐ সময় জনাব হক সাহেবের অফিসে বসা ছিল। ঠিক সেই সময় ওনার কাছে গিয়ে ঐ নেতাগন জনাব শাহ আলম সাহেবকে তুচ্ছ ভাষায় বলে শালইম্মা এই করেছে সেই করেছে আরও নানান কথা। যা না হয় প্রকাশ নাই করলাম। কিন্তু আমাদের মন্ত্রী ও শিক্ষক মহোদয় তখন রাগত স্বরে বলেন, কথা সামলিয়ে বলেন। মানুষকে সম্মান করতে শিখুন। সম্মান করে সুন্দর ভাষায় কথা বলুন। আজ আমার সামনে শাহ আলম সাহেবকে গালি দিচ্ছেন; কাল যখন আমি ক্ষমতায় থাকব না তখন আমাকে গালি দিবেন। ওনার শাষন শিক্ষনীয়।
শুধু তাই নয় ওনার এপিএস সাহেবকেও মাঝে মাঝে শিক্ষা দিয়ে থাকেন। এই শিক্ষা আসলে প্রকৃত শিক্ষা কিন্তু যারা ছাত্র প্রশ্ন হলো আমরা কি ঐ মহৎ মানুষটির কাছ থেকে শিক্ষা নিয়েছি? না নেয়নি, কারণ আমরা এখন আর শিক্ষা গ্রহণ করতে আগহী নই বরং শিক্ষা দিতে আগ্রহী। কাজ করতে আগ্রহী নই বরং কথা বলতে আগ্রহী। তাই আমাদের এই সামাজিক অধপতন। ভাল কাজের প্রশসংসা করতে আগ্রহী নই বরং খুঁত ধরতে আগ্রহী। সমালোচনা করতে মরিয়া হইয়া উঠি। এইতো কিছুদিন আগে শ্রদ্ধাভাজন জনাব মুশফিকুর রহমান বলে ফেললেন অশ্রদ্ধার কথা। এই যে অতিরঞ্জিত ও মিথ্যা কথা বলার প্রবনতা তার লাগাম টানা এখনই উচিত। মিথ্যা বলা পাপ আর এই পাপের জন্য কেন আমরা মরিয়া হইয়া উঠি? যাক কথা বলার আগে ভাবা উচিত কি বলছি এবং কার বিরুদ্ধে বলছি, কেনইবা বলছি। সমাজের সব মানুষতো আর কালা বা বোবা নয়। তাই ভাবিয়া করিও কাজ করিয়া ভাবিও না। এই খনার বচন বা কথার কথাকে গুরুত্ব দেয়া উচিত এবং বর্তমান সময়ের দাবি।
প্রতিবাদ করার অধিকার আমাদের আছে এবং প্রতিবাদ করতে হবে শালিন ও ভাষার মাধুর্য দিয়ে। কসবায় প্রতিবাদ হয়েছে এবং আমি সেই প্রতিবাদের সঙ্গে নিজেকে সহমত পোষণ করি কিন্তু ভাষার প্রকাশের ক্ষেত্রে সংযত আচরণ এবং আমাদের মন্ত্রী মহোদয়ের শিক্ষাকে অনুসরণ করি। আশা করি ঐ প্রতিবাদের ভাষা নিয়ে স্বয়ং হক সাহেবও বিব্রত। ওনার শিক্ষা হল প্রতিবাদ করতে হবে, অধিকার আদায় করতে হবে শ্রুতিমধুর ও মাধুর্যপূর্ণ ভাষার প্রয়োগের মাধ্যমে; নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করতে হবে বিনয়ী প্রতিবাদের মাধ্যমে। আশা করি আমার কথা এবং মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের শিক্ষায় আমরা শিক্ষিত হবো। মামলা-হামলা; হুমকি-ধমকি ও কুরুচিপূর্ন ভাষার ব্যবহার বন্ধ করে আগামী দিনের কসবা আখাউড়া হবে জ্ঞানের সু উচ্চ প্রয়োগ এমনকি মার্গীয় রেওয়াজ রীতির পরিশিলীত এক নতুন দিগন্ত। সেই দিগন্তের সুচনা ও রচনা করেছেন শিক্ষকের ভুমিকায় অবতীর্ণ হয়ে আমাদের শ্রদ্ধভাজন জনাব আনিছুল হক শ্যানন; মাননীয় আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী।

Leave a Reply

Your email address will not be published.