রাজশাহী প্রতিনিধি॥ াজশাহীতে উপপুলিশ কমিশনারের গাড়িকে সাইড দিতে দেরি করায় এক কলেজ শিক্ষকসহ তিনজনকে পুলিশ মারধর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে নগরের বর্ণালীর মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় দুপুরে রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনারের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন নগর আওয়ামী লীগ ও শিক্ষক নেতারা। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে উপপুলিশ কমিশনার (পশ্চিম) নাহিদুল ইসলাম বলেছেন, ‘এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি।’
মারধরের অভিযোগকারী নগরের বঙ্গবন্ধু কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক সাদেকুল ইসলাম। কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক কামরুজ্জামান সহকর্মীকে উদ্ধৃত করে বলেন, ‘আরএমপির উপপুলিশ কমিশনার (পশ্চিম) নাহিদুল ইসলাম গাড়ি নিয়ে বেলা একটার দিকে নগরের বর্ণালীর মোড়ের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় সাদেকুল ইসলাম মোটরসাইকেলে কলেজে যাচ্ছিলেন। পেছন থেকে উপপুলিশ কমিশনারকে বহনকারী গাড়ি হর্ন দেয়। কিন্তু জায়গা না থাকায় সাইড দিতে দেরি হয়। এরপর উপপুলিশ কমিশনারের দেহরক্ষী কামরুজ্জামানসহ আরও কয়েকজন পুলিশ গাড়ি থেকে নেমে ওই শিক্ষককে মারধর করেন। এ সময় উপপুলিশ কমিশনার নাহিদুল ইসলামও গাড়ি থেকে নেমে আসেন।’
কামরুজ্জামান আরও বলেন, সেখানে যাঁরাই সাদেকুলকে রক্ষা করতে গেছেন, তাঁদের মারধর করা হয়েছে। ছাত্রলীগের দুজন ছেলে মোটরসাইকেল নিয়ে যাচ্ছিল। তারা এগিয়ে গেলে তাদেরও মারধর করা হয়।
তবে নাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি। ওই শিক্ষক মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন কিন্তু হেলমেট ছিল না। তাই তাঁকে থামিয়ে ট্রাফিক সার্জেন্ট ডেকে জরিমানা করা হয়েছে। ছাত্রলীগের দুজনকেও ট্রাফিক সার্জেন্ট ধরেছিল। কেউ তো আর আইনের ঊর্ধ্বে নয়।’
পরে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, জাতীয় কলেজশিক্ষক কর্মচারী ফ্রন্ট রাজশাহীর সভাপতি শফিকুর রহমান বাদশা ও বঙ্গবন্ধু কলেজের উপাধ্যক্ষ কামরুজ্জামান নগর পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলামের কাছে গিয়ে অভিযোগ জানান। ডাবলু সরকার বলেন, ‘পুলিশ সদস্যরা ওই শিক্ষকের গায়ে হাত তুলেছেন, ছাত্রলীগের দুই নেতাকে মারধর ও গালাগাল করেছেন। আমরা পুলিশ কমিশনারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানিয়েছি। তিনি আশ্বস্ত করেছেন।’
এ বিষয়ে নগর পুলিশ কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘যত দূর শুনেছি, ট্রাফিক চেকিংয়ের সময় উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়েছে। এতে শিক্ষক অপমানিত বোধ করেছেন। বিষয়টি আমি খোঁজখবর নিয়ে দেখছি।’