আন্তর্জাতিক ডেক্স॥ গত ৩০ অক্টোবর ভাগ্য বদলে গেলো এক ওমানী জেলের। ওমানের কুরায়াত প্রদেশের সমুদ্রতীরে ভাসমান যে জিনিসটি সে পেলো তার দাম ১০ লাখ ওমানী রিয়াল। বাংলাদেশী টাকায় হিসাব করলে প্রায় ২০ কোটি ৩২ লাখ টাকা। কিন্তু কি এমন পেলো সে যার এত দাম? এর উত্তরে যা শুনবেন তাতে কিছুটা অস্বস্তি লাগতে পারে। জিনিসটা হলো ‘তিমির বমি’। আসল ব্যাপারটা হলো, এক বিশেষ ধরণের তিমির ইনটেস্টাইন থেকে বের হওয়া মোমের মতো নরম এক বস্তু পেয়েছে ঐ জেলে। এই বিশেষ বস্তুকে সমুদ্রে ভাসতে দেখা যায় এবং পারফিউম বা সুগন্ধী তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
তিমির বমি’ পাওয়া ভাগ্যবান এই জেলের নাম খালিদ আল সিনানি। সারাদিন কাজ করে ক্লান্ত হয়ে সে যখন বাড়ির দিকে ফিরছিল তখন দূর থেকে বোটকা এক ধরণের গন্ধ ভেসে এসে লাগলো তার নাকে। খালিদ দড়ি দিয়ে ‘তিমির বমি’টাকে কাছে নিয়ে এলো। তারপর উঠালো তার ২০ ফুটের নৌকাটিতে। এই বিশেষ বস্তুটির ওজন ৬০ কিলোগ্রামেরও বেশি। খালিদ বলছেন, এরই মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং সৌদি আরবের ব্যবসায়ীরা খালিদকে প্রতি কেজির জন্য ১০ হাজার রিয়াল দাম বলেছে। কিন্তু সে রাজি হয়নি, আরো বেশি দামের জন্য অপেক্ষা করছে। খালিদ প্রতি কেজি তিমির বমি বিক্রি করতে চায় ১৮ হাজার ওমানী রিয়াল দিয়ে। টাকাগুলো পেয়ে গেলে, খালিদ এই পেশা পরিবর্তন করে আবাসন খাতে কাজ করতে চায়। ২০১৫ সালের নভেম্বরেও দু’জন ওমানী জেলে এমন তিমির বমি পেয়েছিল যা তখন ৮০ হাজার ওমানী রিয়াল দিয়ে বিক্রি হয়েছিল।
এবার জানা যাক, কি এমন আছে এই তিমির বমিতে যার এত দাম! বলা হচ্ছে, এই জিনিস থেকে খুবই উচ্চমানের পারফিউম বা সুগন্ধী তৈরি হয় যা হাজার হাজার ডলারে বিক্রি হয়। ‘আমোয়েজ’ হলো ওমানের আন্তর্জাতিক পারফিউম ব্র্যান্ড যা বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল পারফিউম। দামি পারফিউম তৈরির এই উপাদান ‘তিমির বমি’র জন্য ওমান বিখ্যাত। ওমানের শারকিয়া, উস্তা এবং ধোফার সৈকতে এসব ভেসে আসে।