স্যোসাল মিডিয়ায় এখন লেখকের অভাব নেই। খুব ভাল লক্ষন এই ভেবে যে, মানুষ বেকার না থেকে একটা কিছু করে সময় পার করে… তাহলেতো মন্দের ভাল। এটা ভেবে ভাল লাগছে; কিছু একটা হচ্ছে; হতে দাও। এই করতে করতে পার হয়ে গেল ১২/১৩টি বছর। আর এখন হল পরিপক্কতার এবং সাজানো গোছানো এমনকি গঠনমূলক পরিশিলিত ও পরিমার্জিত রুচিশীল আকাঙ্খা, আশা এমনকি হতাশার আদলে পাওয়া না পাওয়ার বেদনার কথা। সবমিলিয়ে এখন ভাল মন্দ বাছাই করার সময়। এখন থেকেই একটি মানদন্ড তৈরী করে রূপরেখা দেয়া দরকার। কারণ স্যোসাল মিডিয়ার প্রকাশ হওয়ার জন্য ন্যূনতম একটি মানদন্ড প্রস্তুত করে নিতীমালা আকারে সকল লেখকের উদ্দেশ্যে প্রকাশ করা উচিত। তাহলেই সকলে অবগত হতে পারবে কি করা যাবে আর কি করা যাবে না। যদি তা না হয় তাহলে আমাদের সমাজ ধ্বংসের দ্বারপ্রাপ্তে পৌঁছতে বেশী সময় লাগবে না।
লিখার ক্ষেত্রে এই মানদন্ড অতীব জরুরী। অন্যথায় দিনকে দিন আরো অধপতদের দিকে লিখা মানুষকে প্ররোচিত কবরে। কি ধরনের ছবি পোষ্ট দেয়া যাবে এবং কি ধরণের লিখা পোষ্ট দেয়া যাবে তারও একটি উপকারীতা এবং অপকারীতা নির্ভর ছক দিতে হবে। আমরা বাঙ্গালী এবং আমাদের স্বাধীনতা ভিন্নখাতে এবং উল্টোপথে ব্যবহারের অতিবেশী দৃষ্টান্ত দৃশ্যমান। তাই লাগাম টেনে ধরার এবং সঠিক দিক নির্দেশনায় উপযুক্ত গতিপথের দিতে তারিত করা এখন সময়ের দাবি। তাই কর্তৃপক্ষ বা প্রশাসনযন্ত্র এমনকি সরকার এর দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রণালয় একযোগে কাজ করে এর আশা ও সমাধান নির্ভর পদক্ষেপ কার্যকর করা সময়ের ডিজিটাল দাবি।
স্যোসাল মিডিয়ায় এখন, সুখ-দু:খ; আনন্দ বেদনা, হতাশা-বেদনা এমনকি ইতিবাচক ও নেতিবাচক কুরুচি ও সমাজ ধ্বংসকারী অপসংস্কৃতির বিধ্বংসী লিখা দৃশ্যমান। শুধু তাই নয় বাতাস, ক্ষমতা এবং গতির অনুকুলে ছাতা ধরা প্রবণতা নির্ভর লিখাও দৃশ্যমান। কিছু কিছু লেখক অতি চালাক- তাই জোয়ারের সময় অগ্রভাগ এবং ভাটার সময়ও অগ্রভাগ দখল করে থাকেন। তাদের রং বা রুপ বোঝার ক্ষমতা দৃশ্যত নেই কিন্তু তাদের লেখার ক্রমানুসারে সাজানো এবং সময় ও তারিখ নির্ভর মিলালেই সবকিছু পরিস্কার হবে। তারা এখইন সরকারের সমালোচনায় ব্যস্ত (কেউ কেউ খুব সতর্কতার সহিত বুদ্ধিপূর্বকও সমালোচনা করেন) আবার সরকারের প্রশসংশায় পঞ্চমুখ হয়ে অগ্রজ ভুমিকা পালনও করে থাকেন। আমার কথা হলো একই বিষয় নিয়ে এই দুই ধরনের কথা বলার কি প্রয়োজন অথবা কেই বা আপনাকে এই দ্বিমুখী নিতীর বাস্তব দৃশ্য প্রদর্শনের কথা বলেছিল।
এই শ্রেণীর লেখকদের থেকে সাবধান থাকুন। পাঠককুলকে অনুরোধ করব এই শ্রেণীর বা হলুদ / বহুরূপী মানুষদের কাছ থেকে সাবধান। আরেক শ্রেণীর লেখক শুধু নেতিবাচক লিখা চালিয়ে যাবে। তাদের দৃষ্টিসীমায় কোন ইতিবাচক মনোভাব নেই বা ছিলও না। তারা শুধু সমালোচনা এবং নেতিবাচক মনোভাবের প্রতিচ্ছবিই বাস্তবে রূপদান করে যাচ্ছেন। এই শ্রেণীর লিখার সত্যতা যাচাই না করে কিছু বলা বা করে বসা সম্পূর্ণ বোকামী ছাড়া আর কিছুই না। এই বোকামীর উপকরণ থেকে নিজেদেরকে সাবধান!
আরেক শ্রেণীর লেখক শুধু ইতিবাচক প্রকাশ ভঙ্গি নিয়ে অগ্রসর হয়। ভাল কিন্তু এই ইতিবাচক লেখার পেছনে অনেক সময় ও গভেষনা করে বাস্তব রূপদান করা যুক্তিযুক্ত। কারণ সকল কিছুর ইতিবাচকতা আমাদের এই সমাজের জন্য উপযুক্ত নয়। তাই বাছ বিচার করে এই ইতিবাচক বাস্তব দৃশ্যমান অব্যাহত রাখুন।
কথিত আছে ইতিবাচক আর উৎসাহ ও প্রসংশা নির্ভর লিখাকে তৈল মর্দন বলে থাকেন। কিন্তু আমি এ্কটু ভিন্ন দৃষ্টিতে বলতে চাই প্রশংসা এবং উৎসাহ নির্ভর ইতিবাচক লিখা একটি সময়োপযোগী অগ্রসরমান উপকরণ যাতে আমরা সকলেই চলমান ভালকাজ বা ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ও কর্মকান্ড পরিচালিত করতে পারি। এর ফলে চলামান ভাল কাজের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে পারি। আল্লাহ এই গুণ খুব অল্প মানুষকেই দিয়েছেন। আপনারা আপনাদের গুণগুলিকে প্রকাশ করুন এবং চলমান কে বাস্তবরূপদান করুন আগামীর কল্যাণের তরে। এর মধ্যেই উন্নয়ন ও অগ্রসরতা নিহীত রয়েছে।
আমাদের সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে হলুদ লেখকের লিখা পড়ার ক্ষেত্রে। হলুদ এবং নেতিবাচক ও দু’মুখো আচরণ নির্ভর লিখা এবং লেখক সম্পর্কে সচেতন থেকে অগ্রসর হলেই আমাদের আগামীর অতিত, বর্তমান ও ভবিষ্যত হবে জ্ঞানের সরলতায় উজ্জ্বল এবং ন্যায়পরায়নতায় দৃষ্টান্তস্বরূপ, সততায় পূর্ণ ও আন্তরিকতায় পরিপূর্ণ; ভালবাসায় নি:শর্ত।