আবদুল আখের॥ জনাব ফখরুল সাহেব সম্মানীত ব্যক্তি বটে কিন্তু তিনি বর্তমানের বিভিন্ন কুট চালের খোতা হিসেবেও চিহ্নিত। আর ঐ কুটচালেরই একটি অংশ ছিল দৃশ্যায়ত আক্রমনের স্বীকার নাটকটি। এই নাটকে তিনি পরদর্শী এবং তার উদ্দেশ্যের ও মৃত্যু হয়েছে। ঐ দৃশ্যে দেশে ও বিদেশে তেমন কোন সাড়া ফেলতে না পেরে এখন দিশেহারা। ফখরুল সাহেবরা এই ধরণের ঘৃণ্য চক্রান্তের ফন্দি আটা থেকে বের হতে না পারেন তাহলে হয়ত তাদের অবশিষ্টাংশও হারাবেন অচিরেই। আজকে কেন তাদের এই লজ্জাজনক অবস্থা। কারণ তারা অতীতে তাদের কৃতকর্মগুলো তাদেরকে জনবিচ্ছিন্ন করে ফেলেছিল। সেই জনবিচ্ছিন্নতা থেকে বের হতে না পেরে হতাশা এবং জেদ এই দুটোই চাপিয়ে দিতে চেয়েছিলেন দেশবাসীর উপর নতুন এক কৌশলী কায়দায়। কিন্তু সেখানেও ব্যর্থ হয়ে ঘরে বসে নতুন আরেক সহানুভুতি আদায়ের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে এখন আবার ভেঙ্গে পড়েছেন বিমর্ষ মুর্তীতে।
কি করবেন ভেবে পাচ্ছেন না…. স্বাভাবিক। যতদিন আপনারা সুস্থ্য ধারার রাজনীতি এবং জন আকাঙ্খা পুরণের জন্য আগামীর করণীয় ডিজিটালাইজড কর্মপন্থা ঠিক না করবেন ততদিন আপনাদের অধপতন ঠেকানোর কোন উপায় বা কৌশল অবিস্কৃতি হবে না। তবে ডিজিটাল রাজনীতি যা অন্যের কাছ থেকে ধার বা নকল করলেও চলবে না, নতুন কোন ইতিবাচক যোগপোযোগী চিন্তা ও এই বাস্তবভিত্তিক উপকারীতা এমনকি বাংলাদেশের সার্বিক অবস্থান এর চিত্র উপস্থাপন করুন এবং সেই লক্ষ্যে ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে কাজ শুরু করুন। তাহলেই ফিরে যেতে পারবেন উন্নয়নের মহাসমারোহে। আর পাশে পাবে দেশ ও দেশের মানুষকে। দল মত নির্বিশেষে তখন মানুষ আপনার ও আপনার দলের কথা শুনে কাজ করবে বা কাজে সহায়ত করবে।
অতীতে যা করেছেন তা দেশবাসী তথা বিশ্ববাসী এখন জানে এবং দিনে দিনে সকল অপকর্মের স্বাক্ষসাবত প্রকাশ হয়ে দিবালোকের মতো স্পষ্ট হয়েছে। তাই আর মিথ্যা বুলি না আওড়িয়ে এগিয়ে যান উন্নয়ন কর্মকান্ডের সঙ্গে। আল্লাহ যদি আপনাদেরকে কবুল করেন এবং দেশের জনগণ যদি ক্ষমা করেন তাহলে হয়ত একদিন আবার আপনারা দেশ সেবার সুযোগ পেতেও পারেন। তবে হয়ত আপনাদের জীবদ্দশায় নাও হতে পারে। কারন মানুষ আপনাদের পরিবর্তন এবং এর চর্চা; কাজে, কথায়, আচরণে দেখতে চায় এবং নিশ্চিত হতে চায় আপনারা পরিবর্তন হয়েছেন। সুযোগ নিন এবং জনগণকে সুযোগ দিন তাহলে আগামীর মঙ্গল ও শুভ ফল পাবেন।
বর্তমানে যা ভাবছেন এবং করছেন তা কিন্ত দিন দিন আরো পেছনে, গহীন থেকে গহীনে, অন্ধকার থেকে আরো অন্ধকারে এবং মৃত্যুকুপে নিয়ে ঠেকানোর দ্বারপ্রান্তে। সাবধান হউন এবং গায়ের জোরে বা মুখের জুড়ে অথবা আন্দাজ ও ধোকাবাজির কথা ছেড়ে দিয়ে ফিরে আসুন সুস্থ্য ধারায়। তাহলেই সামনের সফলতা এবং শান্তি ও আনন্দ এমনকি সেবার সুযোগ হাতছানি দিবে।