এইবারই রেকর্ড সৃষ্টি হলো নিরাপত্তা এবং আন্তরিকতা এমনকি জনগণের একাত্মতা। এই ঈদের ঘরে ফেরা মানুষগুলোকে যেভাবে নিরাপত্তা দিয়েছে সরকার এবং জনগন যেভাবে সরকারকে সহযোগীতা করেছে তার প্রমান মিলেছে ঈদের জামাত এবং তৎপরবর্তী কর্মকান্ডে। ঠিক তেমনি করে ঈদ উদযাপন শেষ করে কর্মস্থলে ফেরা মানুষগুলোকে যেভাবে সুযোগ সুবিধাসহ নিরাপদে ফেরার ব্যবস্থা করেছে তা ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছে। জনগণ এবং সরকার একযোগে কোন প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখলে এর সফলতা আসবেই এই বার বার বয়ে আনছে এবং প্রকাশে রূপদান হচ্ছে এই ঈদে।
আমাদের দেশের এই সম্মানের ইতিহাসকে আরো এগিয়ে নেয়ার জন্য দরকার দেশবাসীর অংশগ্রন এবং সরকারের পরিকল্পনা। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে জনগণ এবং সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের সক্রিয় অংশগ্রহণই পারে আজকের সফলতায় পৌঁছতে। আমরা উন্নত বিশ্বের সমপর্যায়ে পৌঁছার যে সিড়ি বেয়ে উঠছি তা কিন্তু সরকার এবং জনগণের ঐকান্তিক প্রচেষ্টারই ফল। আগামী ২০৪১ সালে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় হবে ১২০০০ (বার হাজার) ডলার। বাংলাদেশের ইতিহাসের সম্বৃদ্ধি ঘটছে। দেশের মানুষ ফিরে পাচ্ছে নতুন গতি এবং চলার ছন্দ। অসহায় মানুষেরা ফিরে পাচ্ছে পিতা-মাতার মমতা এবং বেঁচে থাকার নিশ্চয়তা।
প্রধানমন্ত্রীর ¯েœহ ভালবাসায় বেড়ে উঠছে তাদের তিন কন্যার সাজানো সংসার। এই সংসারের সুখ শান্তি আজ দেশবাসীকে দিয়েছে শান্তির পরশ। বাংলাদেশের আয়তন বেড়ে মানচিত্রের আকার হচ্ছে বড়। বন্ধুত্বের বেড়াজাল দিনের পর দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সকল ষড়যন্ত্রের ভেড়াজাল ছিন্ন করে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে। এই সম্মান জাতির এবং আরেকটি সম্মান আমেরীকার লেখক বিশ্ব নেতৃত্বের প্রচার ও প্রসার এবং জ্ঞানভিত্তিক কর্মকান্ড নিয়ে রচনা করেছেন মহা গ্রন্থ কিন্তু সেই গ্রন্থে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘ ছবি ও উন্নয়ন কারিঘরের স্বপ্ন পূরণের কাহীনি। এই সকল বিষয় আলোকপাত করলে জাতির অগ্রগামীতা উপলব্দি করা সহজ।
প্রশাসনে, রাজনীতিতে, সমাজনীতিতেও স্বস্তী বিরাজ করছে। নির্বাচনী হাওয়া উতাল-পাতাল করে এগুচ্ছে। সরকার তার ক্যারেসমেটিক ক্যারিশমা প্রদর্শন করে এগিয়ে যাচ্ছে অভিষ্ট লক্ষ্যের দিকে। থেমে নেই উন্নয়ন এবং জনবান্ধক কর্মসূচী। টালমাটাল বাজেট এখন জন আর্শিবাদ হিসেবে মানব কল্যানের তরে গ্রহনযোগ্য হয়েছে। মুখরোচক সব আলোচনা ও সমালোচনার মুখে চুন-কালী মেখে প্রধানমন্ত্রী তাঁর যোগ্যতা ও গুনাবলী দিয়ে মেধার স্বাক্ষর রেখেছে এই সদ্য পাস হওয়া বাজেটে। স্বস্তী ফিরে এসেছে জনমনে। অস্থির অস্থিরতার অবসান হয়েছে।
বিএনপির সমালোচনার মুখে চুনকালী মেখে দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে আগামীর উন্নয়ন ও অগ্রগতি। অনেক নাটকের পরিসমাপ্তি ঘটেছে। কি হবে বা না হবে তার সুস্পষ্ট দিকনির্দেশা হাজির হয়েছে জগণের দৃষ্টিসীমার মনোজগতে। এখনই কোন কুটচাল বা কুট রাজনীতির ছোবল হাতছানী দেয়ার লক্ষণ পরিলক্ষিত হয়নি। তবে দুষ্কৃতিকারীরা তাদের দুষ্কর্ম নতুন ফর্মুলায় চালু করে যাচ্ছে। কিন্তু এই ফর্মুলা এবং দুষ্কর্ম জাতীর কোন ক্ষতি করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে। বাঙ্গালী যে হিটলারের চেয়ে আরো বড় হিটলার তার প্রমান আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তাঁর সরকার। বিদেশী ষড়যন্ত্রও আজ পরাভুত বাংলার জনগণ এবং সরকারের কাছে। সহ হারিয়ে হতাশ কুচক্রিমহল এখন নিজেদের সম্মান ও জীবন বাঁচানোর তাগিদে নতুত কৌশল ও ফন্দি আটছে।
একটি বিষয় লক্ষ্যনীয় যে, সরকারের উন্নয়ন এবং মহা পরিকল্পনার জোয়াড়ে বাটার কতিপয় কারণে স্বস্তী বিঘœ ঘটতে পাবে বলে যে ধারণা পোষণ করা হচ্ছে সেখানে এখনো স্বস্তীদায়ক কিছু ঘটেনি। তাই সরকার এবং দলের মধ্যে যে টানপোড়ন চলছে তার অবসান আশু কাম্য। অপরদিকে দলীয় নেতা এবং কর্মীর মধ্যে নেতায় নেতায় অন্তদ্বন্ধের যে ভয়ঙ্কর রূপ ঘোমট বেঁধে আছে তারও আশু সমাধান কাম্য। এই দৃষ্টিকোন থেকে আমাদের স্বস্তীতে ফেরা দরকার। সামনে নির্বাচন তাই জনগণ চাই আগামীর উন্নয়ন গতির ধারাবাহিকতা অক্ষুন্ন রাখার স্বস্তী। সেই কাজটুকু শেষ অব্দি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপেই সমাধান হউক ইহাই জনগণের আশা আর আকাঙ¦খা।