তাজুল ইসলাম নয়ন॥ কসবা উপজেলা ছাত্রলীগ আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে বিভিন্ন বক্তার আলোচনায় উঠে আসে আগামী নির্বাচন । আইন মন্ত্রীমহোদয়ের এপিএস বলেন প্রত্যেক গ্রাম,ওয়ার্ড ও মহল্লায় যেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, ছাত্র লীগ এবং অঙ্গ সংগঠন এর নেতা কর্মী ও সমর্থকরা যেন সজাগ থেকে সকল অপপ্রচারের জবাব দিয়ে উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরেন। মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে ভোটারদের মন জয় করেন। কোন সুবিধাবাধির ষড়যন্ত্র যেন ভোটারদের মন বিভ্রান্ত করতে না পারে সেইদিকে লক্ষ রেখে কাজ করতে হবে।
আদর্শ নেতার আদর্শ অনুসারী হিসেবে কাজ করতে হবে। কোন প্রকার বিবাদে জড়ানো যাবে না। দলীয় অন্তকলহ জিইয়ে রাখা যাবে না। সকলে মিলে আগামী নির্বাচনে মন্ত্রীমহোদয়কে নির্বাচিত করে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে এই আসনটি উপহার দিতে হবে।
প্রসঙ্গক্রমে উঠে আসে জনাব মুসফিকুর রহমান এর মিথ্যা বক্তব্যের প্রতিবাদের কথা। জনাব মুশফিক আপনি সম্মানিত ব্যক্তি এবং এলাকার কৃতি সন্তানও বটে। তাই আপনাকে সঠিক তথ্যের উপর ভিত্তি করেই কথা বলতে হবে। নতুবা আপনার সারা জীবনের অর্জন মৃত্যুর আগেই শেষ হয়ে যাবে। আপনার চরিত্রের কলুষিত অধ্যায় গত নির্বাচনে জয়লাভের পর মানুষ জেনেছে। সচিব থাকাকালীন যে কাজ ও ভাবমূর্তী অর্জন করেছেন তা শেষ করে ফেলছেন এমপি হয়ে এবং আবার হওয়ার আশায়। তবে আপনার নারী কেলেঙ্কারীর কথা এমনকি এক পা কবরে গিয়েও পর নারী আসক্তির কথা কিন্তু এখন জনগন জেনে গেছে। আগামীতে ছবি সহকারে প্রকাশ করে ধর্মীয় দৃষ্টিতে চরিত্রের কলুষতা প্রকাশ করে এলাকাছাড়া করা হবে।
এলাকায় একটি গল্প আছে “ইসলাম গেল… ইসলাম গেল”। আসল ঘটনাটি হল এক চোর চুরি করতে গিয়ে গৃহস্তের তাড়া খেয়ে পুকুরে ঝাপ দিয়ে কচুরি পানায় নাক ভাসিয়ে লুকিয়ে ছিল। তখন ছিল শীত কাল। শীতের রাতের শেষে এক হুজুর ওজু করে ফজর নামাজ পড়তে যাবে; তখন ওজুর শব্দ পেয়ে চোর নুরল ইসলাম ভাবল তারমত আরেক চোর; ঠিক ঐ সময় আরেক নববিবাহিত পুরুষ তার ফরজ ঘোসল করতে পানি নামল তখল আরো সাহস পেল এবং ভাবল সে আর একা নয়… এই ভেবে চিৎকার করে বলে উঠল ইসলাম গেল ইসলাম গেল। এই গল্পের অবতারনায় জনাব মুশফিক ঐ চোরের ভুমিকায় এসে ভাল ও খাঁটি মানুষদের তার মত নীচু স্তরে নামিয়ে আনার চেষ্টা করেছেন মাত্র।
জনগণ এখন ভালমন্দ বুঝার ও চোখে দেখার সুযোগসহ সবরকম জ্ঞাননির্ভর পরিমাপক ব্যবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং এর ধারক ও বাহক। তাই বলতে হয় কুকুরের কাজ কুকুরে করেছে তাই বলে কি কুকুরের মত ঐ অধম কাজ আমাদের শুভা পায়। কুকুর যদি কামড়ায় তাহলে কিন্তু হাটুর নীচেই কামড়ায়। হাটুর উপরে উঠার কোন সুযোগ নেই। মুশফিকও তেমনি। আজ আমাদের বুঝতে হবে এই জাতিয় মুশফিক মার্কা লোকদের মিথ্যা কথায় বিভ্রান্ত না হয়ে সঠিক পরিমাপক যন্ত্র দিয়ে আগামীর সিদ্ধান্তটুকু নিতে হবে।
ঐ ইফতার মাহফিলের প্রধান আকর্ষণ জনাব আনিছুল হক শ্যানন সাহেব বক্তৃতা দিয়ে দায়িয়ে জনগণের কাছে বিচারের ভার ছেড়ে দিয়ে তিনি বলেন আমি আপনাদের (জনগণের) কাছে দায়বদ্ধ এবং আপনাদের জন্য যে কাজ করেছি আমার নেত্রীর অভিপ্রায়ে তা আপনারা জানেন এবং ভোগ করছেন। তবে আমার চরিত্রে যদি কোন ঘোষ বা দুর্নীতি নামক তিলক থাকে তাহলে আপনার আমার বিচার করুন আর যদি না থাকে তাহলেও আপনারই আমার বিচার করুন। আমি আপনাদের আর জানতে চাই আপনারা আমার সঙ্গে আছেন কি না। তখন উপস্থিত নেতা-কর্মী ও সমর্থকবৃন্দ হাত নেড়ে চিৎকার করে হ্যা সুচক জবাব দেয়। মন্ত্রী মহোদয় আগামী নির্বাচনে সকলের সমর্থন চেয়ে বাকী অসমাপ্ত কাজটুকু শেষ করার লক্ষ্যে সকলের দোয়া চান এবং পরক্ষণেই বলেন আপনারাই আমার বলার জায়গা এবং আপনারাই সব বলবেন আমি আর বলব না ইফতার এর সময় হয়েছে … আরেক দিন বলব।
ইফতার শেষে কুশলাদী বিনিময় করে বিদায় নেন। জনাব মুশফিক এখনও ঘোষ খান। একটি ঘটনা সদ্য প্রকাশিত। জনৈক ব্যক্তি তার ছেলের চাকুরীর জন্য মন্ত্রীমহোদয়ের কাছে আরজি জানিয়েছেন এবং প্রকারান্তরে মুশফিক সাহেব জানতে পারেন ঐ ছেলের চাকুরী হয়নি, তখন মুশফিক সাহেবের পিএস ঐ ছেলের বাবাকে ফোন করে বলেন যদি এক লাখ টাকা দেন তাহলে ঐ ছেলের ব্যাংকের চাকুরী হবে। কিন্তু ঐ ভদ্রলোক বলেদিলেন মন্ত্রী মহোদয় যদি কোন ব্যবস্থা করে করবে আর না করলেও আমি ওনার প্রতি বিশ্বাস ও শ্রদ্ধা রেখে কাজ করে যাব। এই হল মুশফিক এর চরিত্র। যার কোন ক্ষমতা নেই সেই কিনা এখনও ঘুষের টাকার লোভে লালায়ীত। আর যদি দল ক্ষমতায় থাকত এবং এমপি পদে আসীন হতো তাহলে কি হতো তা একবার খতিয়ে দেখবেন। আশা করি মুশফিক অধ্যায়ের সমাপ্তি হবে।