ভজন শংকর আচার্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)প্রতিনিধি ॥ আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সভাপতি এডভোকেট এনামুল হক কাজল প্রধানমন্ত্রী, যোগাযোগ মন্ত্রী সহ আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে কটুক্তি অপপ্রচার ও মানববন্ধন করে বিষোদগার করার প্রতিবাদে কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের আওয়মী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতারা গতকাল ৭ জুলাই শুক্রবার সকাল ১১ টায় কসবা প্রেসক্লাবে এক জনকীর্ন সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ বায়েক শাখার সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক নজরুল নজরুল ইসলাম বলেন; গত ২৬ জুন দুপুরে জনৈক এডভোকেট এনামুল হক কাজল নিজেকে ২০১৯ সালে আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী বলে ইউনিয়ন পরিষদের পাশে দাড়িয়ে কথাবার্তা বলে। কথার একপর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী ও যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে বিষোদগার করে। তিনি আইনমন্ত্রী আনিসুল হক কে নিয়ে ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রীর অদূরদর্শিতার ফসল বলে মন্তব্য করে। তিনি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে নমিনেশন পাবেন। অন্যথায় এর জন্য প্রধানমন্ত্রীকে জবাবদিহীতা করতে হবে। তার এ সমস্ত কুরুচিপূর্ন কথায় এবং একজন সৎ মন্ত্রী সম্পর্কে মন্তব্যের ফলে স্থানীয় জনগন ও নেতাকর্মীরা প্রতিবাদ করে এবং মারমুখি হয়ে উঠে। তখন কাজল এ বিষয়ে ক্ষমা চায় এবং পুনরায় আইনমন্ত্রীর প্রশংসা করে। এ বিষয়ে কসবা থানায় তার বিরুদ্ধে একটি সাধারন ডায়েরী নং ৮৯০ তাং-২৬-০৬-১৭।
আওয়ামী লীগ নেতা আজমল হোসেন বলেন, বিনা কারনে কোনো দায়িত্ববান মানুষ সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করতে পারেনা। কাজল কুৎসা রটনা ঢাকবার জন্য মানবন্ধন সহ নানা কৌশল অবলম্বন করছে। যুবলীগ নেতা আল আমিন বলেন সরকার মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে তাকে ২০ কোটি মূল্যের বাড়ি দিয়েছে। আবার সে-ই অকৃতজ্ঞের মতো কথা বলে। ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন; পাগলের মতো কথাবার্তা বলে সে নিজেকে হালকা করছেন জনগনের কাছে। সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ কাজলকে উন্মাদ ও পাগল বলেও তিরস্কার করেন।