বাআ॥ শুধু শহর নয়, গ্রাম-গঞ্জের উন্নয়নেও গুরুত্ব দিচ্ছি বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত বুধবার দুপুরে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের (পিজিআর) ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। ঢাকা সেনানিবাসের পিজিআর সদর দফতরে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এর আগে বেলা ১টার দিকে অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক এবং পিজিআর-এর কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর হারুন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থল ঘুরে ঘুরে সবার সঙ্গে কুশল বিনিময় এবং পিজিআর সদস্যদের সঙ্গে ফটোসেশনে অংশ নেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তৃণমূলে উন্নয়ন না হলে দেশের অগ্রগতি হবে না। বিষয়টি মাথায় রেখেই বাজেট পাস করা হয়েছে। দেশের প্রতিটি গ্রাম যেন আর্থিকভাবে শক্তিশালী এবং গ্রামের মানুষের ভাগ্য যেন পরিবর্তন হয়, প্রতিটি মানুষ যেন উন্নত জীবন পায় সে লক্ষ্যে কাজ করছি। মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্রামের মানুষও যেন নাগরিক সুবিধা পায় সে লক্ষ্যে কাজ করছি। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল।
শেখ হাসিনা বলেন, ইতোমধ্যে আমরা নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশের স্বীকৃতি পেয়েছি। ২০৪১ সালে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেতে চাই। সে লক্ষ্য সামনে রেখে কর্মসূচি গ্রহণ করছি। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে খাদ্যনিরাপত্তা, পুষ্টিনিরাপত্তা, স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করেছি। দেশের মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে। গ্রামের মানুষের স্বাস্থ্যসেবার প্রতি গুরুত্ব দিয়ে ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক করেছি। গুচ্ছগ্রাম, আদর্শগ্রাম তৈরি করে গরিব মানুষের আবাসন সমস্যা সমাধান করছি। এজন্য প্রকল্প গ্রহণ করেছি।
তিনি বলেন, দেশের ৮০ শতাংশ মানুষ এখন বিদুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে। যারা এখনও বিদুৎ সুবিধা পায়নি তাদেরও এ সুবিধার আওতায় আনা হবে। কোনো বিরোধ ছাড়াই ভারতের সঙ্গে অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে ছিটমহল সমস্যার সমাধান করেছি, যা বিশ্বের বুকে একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন সময় দায়িত্ব পালনকালে নিহত পিজিআর সদস্যদের পরিবারের সদস্যদের হাতে অনুদান ও উপহার তুলে দেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল তারিক আহমেদ সিদ্দিক (অব.), নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল আবু এসরার, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মো. জয়নুল আবেদীন, প্রেস সচিব ইহসানুল করিম প্রমুখ।