আবু মুছা॥ কনষ্টেবল পারভেজের মতো সন্তান জাতীর গর্ব ,জন্ম হোক এমন সন্তান দেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে। কুমিল্লা রিজিওনের হাইওয়ে পুলিশ কনস্টেবল পারভেজ প্রমান করলেন “সেবাই পুলিশের ধর্ম”!
গত ০৭ জুলাই’১৭ ইং শুক্রবার সকাল ১১ টার পর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দাউদকান্দির গৌরীপুর বাসষ্ট্যান্ডের পার্শ্ববতী ডোবায় পড়ে যায় ঢাকা থেকে মতলব গামী অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে মতলব এক্সপ্রেস বাসটি। দুর্ঘটনাটি উপস্থিত লোকজন যখন দাড়িয়ে ঘটনা প্রত্যক্ষ করছিলেন, তখন গৌরীপুরে দায়িত্বরত দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার কনস্টেবল পারভেজ মিয়া মহানায়কের মত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পচা ও গন্ধযুক্ত ময়লা ডোবার পানিতে তাৎক্ষনিক লাফিয়ে পড়েন। তিনি প্রথমে দ্রুত গাড়ির জানালার গ্লাস গুলো ভেঙ্গে দিলে সহজে গাড়ির ভিতরে থাকা যাত্রীরা বেরিয়ে আসতে পারেন। গ্লাস ভেঙ্গে দ্রুত পানির নিচে গাড়ির ভিতর গিয়ে বের করে আনেন ৭ মাসের এক শিশুকে। গাড়ির ভিতর আটকা পড়া ৫ নারীসহ ১০/১২ জন যাত্রীকে উদ্ধার করেন তিনি নিজেই। পরবর্তীতে স্থানীয় মানুষ উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়। সংবাদ পেয়ে একে একে ছুটে আসেন ফায়ার সার্ভিস সহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। পেন্নাই সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেলিনা আক্তার বলেন, গাড়িটি ডোবায় পড়ার সাথে সাথে পুলিশ কনস্টেবল পারভেজ মিয়া দ্রুত লাফিয়ে পড়েন পানিতে। সে প্রথমে গাড়ির জানালার গ্লাসগুলো ভেঙ্গে দেয় যাতে করে ভিতরে আটকা পড়া যাত্রীরা সহজে বের হতে পারে। তাতে সে থেমে থাকেনি পানির নিচে গাড়ির ভিতর থেকে বের করে আনে সুস্থ সবল ৭ মাসের এক শিশুকে। তার বুদ্ধিবলে রক্ষা পায় বহু প্রাণ। স্থানীয়রা জানায়, দুর্ঘটনার সাথে সাথে যে ভাবে পারভেজ ঝাপিয়ে পড়ে যাত্রীদের উদ্ধার করে তা অবিশ্বাস্য। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পচা ও গন্ধযুক্ত ময়লা পানিতে ডুবে তাৎক্ষনিক যাত্রীদের উদ্ধারের ফলে কোন প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। পারভেজের এ বীরত্বের জন্য উপস্থিত হাজারো মানুষ তাকে তথা পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানায়। পারভেজ আবারো প্রমাণ করলো ” সেবাই পুলিশের ধর্ম”। হাজারো মোবাইল ক্যামেরা গুলো ব্যস্ত পারভেজের ছবি তুলতে। তার এ অসামান্য অবদানের জন্য পুলিশের ভাবমূর্তি আরো বৃদ্ধি পেল ।