ভজন শংকর আচার্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশের একমাস পর কসবা থানা কায়েমপুর এক গৃহবধু নির্যাতনের মামলা রেকর্ড করলেন কসবা থানা পুলিশ। নির্যাতক তানভিরুল ইসলাম তানভির (২৮) একজন সেনাসদস্য হওয়ায় পুলিশ মামলা নিতে গড়িমসি করে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়।
প্রকাশ আসামী তানভির নির্যাতিত গৃহবধুর ভাসুর ছেলে। ওই গৃহবধূর স্বামী মালেশিয়া থাকায় এবং একমাত্র পুত্র কলেজে থাকার সময় তানভির তাকে উত্যক্ত করতো। গৃহবধুর ভাসুর ও গ্রামের সাহেব সর্দারদের কাছে বিচার দিয়েও কোনো সামাজিক ও পারিবারিক ভাবে বিচার পায়নি। বিদেশে থাকা ভাসুরের কাছে বিচার দিলে ভাসুর বলতেন উঠতি বয়সের ছেলেরা এমনটি করেই থাকে। গত ৩ জুন রাতে ৯টায় আবারো ভাসুর পুত্র ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে গৃহবধুকে যৌনাচার করার জন্য জাপটে ধরে ধর্ষনের চেষ্টা করে। গৃহবধুর আর্তচিৎকারে পাশের কক্ষে থাকা পুত্র মেহেদী হাসান এসে তার মাকে রক্ষা করে। এমতাবস্থায় গ্রামের অন্যান্য লোকজন এলে তানভির চলে যায়।
এ ঘটনায় গ্রাম্য বিচার চেয়ে ব্যর্থ হয় গৃহবধু। গ্রামের কথিত সাহেব সর্দাররা প্রভাবিত হয়ে গৃহবধুকেই অপবাদ দেয়। পরে কসবার থানায় মামলা করতে ব্যর্থ হয়ে কোর্টে অভিযোগ দায়ের করেন। কোর্ট গত ৫ জুন কসবা থানাকে মামলা গ্রহন করার নির্দেশে দিলেও প্রায় ১ মাস পর কসবা থানা মামলাটি রেকর্ড করে।
এদিকে ওই গৃহবধু সাংবাদিকদের জানায় তাকে ও তার ছেলেকে তানভির নানাভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। মালেশিয়ায় থাকা গৃহবধুর স্বামীও তার স্ত্রী ও পুত্রকে নিয়ে উদ্বিগ্ন।
জানা যায়; সেনাসদস্য তানভির জামাত-শিবির রাজনীতির সাথে জড়িত থাকায় জামাতের কিছু লোক তাকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে এবং তার বিরুদ্ধে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করছে। এ সমস্ত ঘটনায় স্থানীয় ইউপি সদস্য সুমন জড়িত বলে জানিয়েছেন সাংবাদিকদের।