টিআইএন॥ গত ০৭ জুলাই- ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের প্রতিটি থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিয়নের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা হলেও একদিনের মাথায় ঘোষিত কমিটি স্থগিত করে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার রাতে গণভবনে নতুন ঘোষিত কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে অভিযোগ উঠলে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে কমিটিগুলো স্থগিত করে দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে গণভবনের একটি সূত্র।
সূত্রটি জানায়, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি এ কে এম রহমত উল্লাহ এবং সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান নিজের পছন্দমতো লোকদের কমিটিতে ঠাঁই দিয়েছিলেন বলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা শেখ হাসিনার কাছে অভিযোগ জানাতে আসলে তিনি কমিটি স্থগিতের নির্দেশ দেন।
কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পরামর্শ নেয়ার কথা থাকলেও স্থগিত হওয়া কমিটির ক্ষেত্রে সেটি করা হয়নি। এমনকি ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সমন্বয়ক হিসাবে দায়িত্ব পালন করা দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য লে. কর্ণেল (অব.) ফারুক খানকেও এসব বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি।
গণভবনে অভিযোগ করতে যাওয়া আওয়ামী লীগের এক নেতা জানিয়েছেন, ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান টাকার বিনিময়ে ওয়ার্ড, ইউনিয়নের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে মাদক ব্যবসায়ী, আওয়ামী লীগ না করা ব্যক্তিদের পদ দিয়েছিল। এসব বিষয় প্রমাণসহ নেত্রীকে জানানো হলে, তিনি সঙ্গে সঙ্গে কমিটি স্থগিতের নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, বুধবার রাতে মোহাম্মদপুর, আদাবর, মিরপুর, শাহ আলী, দারুসসালাম, বাড্ডা, ভাটারা, রামপুরা, গুলশান, বনানী, ক্যান্টনমেন্ট ও ভাষানটেক থানা এবং ওয়ার্ড নং-২১, ৯৭, ২৩, ৯৮, ২২, ১৫, ১৮, ১৯, ২০, ৯৫, ২৮, ২৯, ৩০, ৩১, ৩২, ৩৩, ৩৪, ১০০, ০৭, ০৮, ০৯, ১০, ১১, ১২, ৯৩ ও বাড্ডা ইউনিয়ন, ভাটারা ইউনিয়ন, সাতারকুল ইউনিয়ন, বেরাইদ ইউনিয়ন, ক্যান্টনমেন্ট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের পূনাঙ্গ কমিটি দেওয়া হয়েছিল।
কমিটি স্থগিতের বিষয়ে জানতে কয়েকবার ফোন করলেও ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান ফোন ধরেননি এবং ক্ষুদে বার্তা পাঠানোর পর ফোনটি বন্ধ করে দেন।