দেশের মিডিয়া (প্রিন্ট এবং ইলেক্ট্রনিক) ও সোসাল মিডিয়া (সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম) সকলেই এখন বিভিন্ন বিষয়ে অনুমান নির্ভর কথা বলে, লিখে (বিভিন্নভাবে) প্রচার করে যাচ্ছেন। কারো কারো অনুমান কখনো কখনো বাস্তবে রূপ লাভ করে আবার কারো কারো অনুমান বাস্তবে রূপ লাভ করে না। তাই সকলকেই বলছি এই অনুমান নির্ভর কথাবার্তা লিখা এবং বলা থেকে বিরত থাকুন। অনুমান নির্ভর কথাবার্তা কোন সময়ই দেশের দশের এবং সমাজের ও পরিবারের জন্য কল্যাণ বয়ে আনতে পারেনি এবং ভবিষ্যতেও পারবে না। এটাই ইতিহাস দ্বারা প্রমানিত চিরন্তন সত্য। আমাদের এখন উচিত যুগের প্রয়োজনে বর্তমান এবং ভবিষ্যতের নিরীখে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করা উচিত। ইতিবাচক কর্মকান্ড এবং ইতিবাচক উন্নয়নমূলক মনোভাব এর প্রশংসা করা এখন আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। নেতিবাচক কর্মকান্ড এবং মনোভাব এর বিরোধীতা না করে বরং গঠনমূল পরামর্শনির্ভর আলোচনা করে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সমন্বয় সাধন করে এগিয়ে যাওয়াই আমাদের আগামী ভবিষ্যতের জন্য করণীয়। এই কাজটুকু এখন সমাজের সর্বস্তরের মানুষেরই দায়িত্ব।
আসুন আমরা আমাদের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে এগিয়ে যাই ইতিবাচক মনোভাবের বহি:প্রকাশ ঘটিয়ে। কি হবে তা না ভেবে আমাদের দায়িত্বটুকু পালন করি যেন বেলা শেষে প্রত্যেকের দায়িত্ব পালন শেষে এক বিশাল কাজ লক্ষণীয় হয়। আমাদের দেশের মিডিয়ার অর্জন যেমন বিশাল ঠিক তেমনি দুর্মান এর পাল্লাও বিশাল। তাই সময় এসেছে সেই দুর্মান এর পাল্লা ছোট করার। আমরা পারব সেই দুর্নাম এর লাঘাম টেনে ধরে সুনামের পাল্লা ভারী করে দেশের কল্যাণের তরে নিজেদের মেধা ও শ্রম এমনকি অর্থকে বিলিয়ে দিতে। এই সময়ের চাহিদাও তাই।
ইদানিং মিডিয়াতে যে মিথ্যা এবং অনুমান নির্ভর খবর পরিবেশন হচ্ছে তা থেকে বের হয়ে আসার জন্য মন মানুষিকতা পরিবর্তন দরকার। পাশাপাশি মিডিয়া নিতিমালার অনুশীলনও বাঞ্চনীয়। উন্নয়ন, ইতিবাচক দিকনির্দেশনামূলক সমালোচনা এবং কি হয়েছে আর কি হওয়া উচিত ছিল সেই বিষয়গুলোর সাথে তাল মিলিয়ে পথচলাও সময়ের দাবি। বিপদে ফেলার পায়তারা নির্ভর সংবাদ বা কোন পোষ্ট দেয়া থেকেও বিরত থাকা এখন সময়ের দাবি। আমরা দেখি পান থেকে চুখ খসতেই শুরু হয় সমালোচনা এবং অন্যের দোষ খুজে বের করে প্রচার ও প্রকাশ। এটা কোন মিডিয়ার আদর্শ হতে পারে না। আমাগ খবর দিয়ে চমক দেখানোর চেয়ে বরং গঠনমূলক উন্নয়ন কাজে লাগতে পারে এমন দিকনির্দেশনামূলক লিখার ও খবরের প্রয়োজন অপেক্ষা করছে। তাই হলুদ, লাল বা কাল আর যাই বলি না কেন কোন নামই আমাদের সাংবাদিক বা সংবাদ সংস্থায় জড়িতদের সঙ্গে না যায় সেইদিকে লক্ষ্য দেয়া এখন সময়ের প্রধানতম দায়িত্ব। কি প্রয়োজন আমাদের অন্যের ক্ষতি করার…. আমাদের মহান দায়িত্ব হলো সকলের উপকার করা। সকলের জন্যই আমরা আমাদের জীবন উৎসর্গ করতে চাই কলম লেখনি এমনকি বস্তনিষ্টতা বজায় রাখার মাধ্যমে।
সরকার, বিরোধী দল, জনগণ এবং উন্নয়ন একসূত্রে গাঁথার সুতিকাঘর হলো মিডিয়া। আর এই মিডিয়ায় কর্মরতজন হলো এর নিখুঁত কারিঘর। এই কারিঘরদের এখন আরো সচেতন হতে হবে এবং কাজ করতে হবে আগামীর কল্যাণের তরে। অতিতের সকল দুর্নাম কাধে নিয়ে ভবিষ্যতে দুর্নামমুক্ত হয়ে পরোপকারী মনোভাব নিয়ে সকলের কল্যাণের তরে কাজ করে এগিয়ে যেতে হবে। তাই আমাদের পোষ্ট, রিপোর্ট এবং সংবাদ পাঠ হতে হবে পক্ষপাতমুক্ত এবং সার্বিক কল্যাণের প্রয়োজনে। কোন ব্যক্তি, দল, মত ও পথের অনুসারীদের আঘাত করার জন্য নয় বরং সকলের কল্যাণের তরে নিহিত ভাব বজায় রেখেই কাজ করে অগ্রসর হতে হবে। মনে রাখতে হবে সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে আমরা পরে তরে।
কোন মানুষ দোষী হতে পারে না, কারণ এই দোষের কাজটুকুই দায়ী এবং এই কাজটুকু করিয়েছে শয়তান। কারণ কোন মানুষকে দোষারোপ না করে ঐ কৃতকাজটুকুর জন্য কাজটুকুকেই দায়ী করে বিশ্লেষণ করতে হবে ঐ কাজটুকুই কেন, কি পরিস্থিতিতে, কার প্ররোচনায় এমনকি কিসের আশায় বা প্রাপ্তিতে করা হয়েছে। সেই আলোকে বিশ্লেষণ করে এগিয়ে গেলে সমাজ, দেশ ও পরিবার থেকে শয়তানের ঐ সকল চক্রান্ত নির্ভর কর্মকান্ড চিরতরে বিতারিত হবে। আসুন আমরা সবাই শয়তানকে চিতনে অরো সচেতন হয় এবং শয়তানের শয়তানী থেকে নিজেদেরকে বিরত রেখে সৃষ্টিকর্তাতে মনোযোগী হই। সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছা, আকাঙ্খা এবং অভিপ্রায় জেনে কাজ করি।
অনুমান নির্ভর কথা বলা এবং লিখা ও পোষ্ট দেয়া থেকে বিরত থাকি। যাহা সত্য, যাহা সৎ, খাঁটি সেইদিকে মনযোগ দেই। প্রতিবেশীকে নিজের মত মহব্বত করি। মানব কল্যাণের তরে আমাদের খোদায়ী জ্ঞান, শক্তি, এবং জীবনকে ব্যায় করি। আমরা এগিয়ে যাই ব্যক্তিস্বার্থের উর্ধ্বে উঠে জাগতিক স্বার্থ ত্যাগ করে দেশ মার্তৃকার কল্যাণের তরে নিজের জীবন ব্যায় করতে। আমাদের পথ চলায় রচিত হউক আগামী প্রজন্মের জন্য দিকনির্দেশনামূলক শিক্ষা। এই শিক্ষার ভিত্তি রচনার দায়িত্ব এখন প্রত্যেকের কাধে নিতে হবে। আমরা এই কাজটুকু করার নিমিত্ত্বে নিজেদেরকে বিলিয়ে দেয়ার অঙ্গিকারাবদ্ধ হই। আল্লাহ আমাদের সহায় হউন।