ভজন শংকর আচার্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় সড়ক দুঘর্টনায় আহত হওয়ার ১১দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শুক্রবার মারা গেছেন নাজমুল হুদা চৌধুরী নাদিম (২৮)। গতকাল বিকালে নিহতের লাশ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে এলে এক হৃদয় বিধারক দৃশ্যের অবতারনা ঘটে।
নিহত নাদিম চৌধুরী কসবা পৌর শহরের শান্তিপাড়া এলাকার কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মো. বিল্লাল হোসেন চৌধুরীর জৈষ্ঠ ছেলে। তিনি সদ্য এম.বি.এ পাশ করে ঢাকার রুপায়ন গ্রুপে প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসাবে কর্মরত ছিলেন।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে; নাদিম চৌধুরী ঈদের ছুটিতে বাড়িতে আসে। ঈদের পরদিন ২৭ জুন বিকালে বাবার ব্যবহৃত মোটর সাইকেল নিয়ে আতœীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার সময় কসবা-আখাউড়া সড়কের তেতৈয়া-ফুলতলী এলাকায় কবরস্থানের সামনে মটর সাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সাথে ধাক্কা লাগে। এতে গুরুতর আহত হন নাদিম। তাঁর একটি পা কয়েকটি ভাগে এবং একটি হাত ভেঙ্গে যায়।
তাকে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের চিকিৎসা শেষে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে গত বৃহস্পতিবার অস্ত্রোপচার কক্ষে নিয়ে এনেস্থেশিয়া দেয়ার পর তাঁর শারীরিক অবস্থা অবনতি দেখা দেয়। তাকে ঢাকার ট্রমা সেন্টারে নিয়ে নিবির পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখা হয়। পরে আরো অবস্থার অবনতি দেখা দিয়ে তাকে ঢাকার এপোলো হাসপাতালে নিয়ে নিবিরপরিচর্যা কেন্দ্রে রাখা হয়। সেখানে গত শুক্রবার সকালে মারা যান নাদিম।
নাদিম চৌধুরী মৃত্যুকালে বাবা-মা, এক ভাই ও দুই বোন রেখে গেছেন। গতকাল বিকালে লাশটি তাঁর বাড়িতে নিয়ে এলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে আতœীয়-স্বজনসহ পাড়া-প্রতিবেশী এবং এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। জ্ঞান হারিয়ে ফেলে বাবা-মা ও ভাই-বোনরা।
কসবা থানা মসজীদ সংলগ্ন কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে নামাজে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে নাদিমের মরদেহ।