টিআইএন॥ বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গর্ভনর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন গত মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এসেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কিছু সময় একান্তে আলাপ হয় তাঁর। আলাপের বিষয়বস্তু সম্পর্কে কিছুই বলা হচ্ছে না। ওই অজানা বিষয়বস্তুর বৈঠক নিয়েই গুজব রটেছে বিস্তর। অনেকে বলছেন, ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনকে অর্থমন্ত্রী করার কথা ভাবছে আওয়ামী লীগ।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর একান্ত সচিব ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গর্ভনর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন এমন সময় আলোচনায় এলেন যখন মন্ত্রিসভায় রদবদল নিয়ে কানাঘুষা চলছে। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গত মঙ্গলবারও দ্বিতীয়বারের মতো মন্ত্রিসভায় রদবদলের আভাস দিয়েছেন। গত মঙ্গলবার বনানীর সেতু ভবনে অস্ট্রেলিয়ার একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সেতুমন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন। ওই সময় তিনি বলেন, মন্ত্রিসভায় রদবদল হবে কি না, তা প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ারে। তবে মন্ত্রিসভায় রদবদল হতে পারে। তবে কখন হবে তা বলতে পারব না।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের বারবার মন্ত্রিসভায় রদবদলের কথা এবং দলের সভানেত্রীর সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর সাবেক সচিব ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গর্ভনরের সাক্ষাৎ। দুয়ে দুয়ে চার মিলাচ্ছেন অনেকে। এর মধ্যে আছে ২০০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেট নিয়ে গতমাসে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সমালোচনার মুখে পড়ার ঘটনা। ওই সময় নিজের দলের মন্ত্রী ও সংসদদের সমালোচনার কারণে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পদত্যাগের কথা অর্থমন্ত্রী তুলেছিলেন বলেও শোনা গিয়েছিল।
পরে বাজেটের সমাপনী অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা এবং সেই অনুযায়ী বাজেটে অর্থমন্ত্রীর আনা পরিবর্তনের কারণে অর্থমন্ত্রীকে নিয়ে বিতর্ক দূর হয়। তবে এখন আবার বাজেট ঘাটতির কারণে বাজেট সংশোধন নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনের মুখ মানুষের কাছে অপরিচিত হলেও তাঁর নামটি অতিপরিচিত। ১৯৯৭ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত গভর্নর থাকা সুবাদে তাঁর নাম ব্যাংক নোটে ছাপা হয়। যে কারণে তাঁর নামটি অতি সুপরিচিত।