দেশের অব্যাহত উন্নতি ও শান্তি কামনা করে হজ্জব্রত পালনকারীদের নিকট দোয়া কামনা করেছেন দেশের সফল প্রধানমন্ত্রী। তিনি মনে প্রাণে দেশের উন্নতি ও শান্তি বিরাজমান রাখার প্রয়াসে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি তাঁর চেষ্টা ও প্রয়াস অব্যাহত রেখেছেন যেন দেশের আপামর জনসাধারণ সমতা ও ন্যায়ের ভিত্তিতে উন্নয়ন, শান্তি ও স্থৃতিশীলতার সুফল ভোগ করতে পারেন। সদস্য সমাপ্ত হওয়া ডিসি সম্মেলনেও উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতা এবং শান্তি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সকল দেশবাসী উপভোগ করণার্থে ২৩টি দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। এই নির্দেশনাগুলি বাস্তবায়িত হলে দেশের জনগণ আরো স্বচ্ছভাবে উন্নয়ন ও শান্তি এবং স্থিতিশীলতার সুফল ভোগ করতে পারবে।
সরকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রতিও সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দিয়েছেন। কোন কর্মকর্তা এবং কর্মচারীর মনোভাব যেন এমন না হয়, এলাম, বেতন নিলাম ও চলে গেলাম। এই মনোভাব পরিহার করে সঠিক কাজটুকু করতে হবে। উদ্ভবনী শক্তি ও সৃজনশীল মেধার সমন্বয় ঘটিয়ে প্রতিটি কাজের সমাপ্তি টানতে হবে। ঝিমানো গতির কাজ এবং সেবা প্রত্যাশি মানুষের কাছ থেকে মাসোহারা নিয়ে কাজ সম্পন্ন করার প্রবনতায় লাগাম টানতে হবে। নতুবা দেশের উন্নয়ন তথা নিজের জীবন ও পরিবারের উন্নয়ন গতি স্থীমিত হবে।
দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতিতে আমুল পরিবর্তনের লক্ষে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। সেই লক্ষ্য এখন সফলতায় পৌঁছার দ্বারপ্রান্তে। এইতো সদ্য প্রকাশিত হওয়া ফলাফলেও তার ছাপ রয়েছে। শিক্ষার প্রসার, মেধাস্বত্ত্ব ও প্রযুক্তিনির্ভর লেখাপড়াই পাড়ে আগামীর উন্নত ও সম্বৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে। সেই লক্ষ্যে বাংলাদেশের সরকারের নেয়া পদক্ষেপের পাশাপাশি এদেশের তরুন মেধাবিদের স্বতস্ফুর্ত সহযোগীতা বাংলাদেশকে এনে দিয়েছে বিশাল এক সম্মান। সদ্য শেষ হওয়া আন্তার্জাতিক জড়িপে বাংলাদেশ এখন বৃহত্তর তথ্য-প্রযুক্তি নির্ভর দেশের আউটসোর্সিং প্রযুক্তি সাপ্লায়ারে ১ম। এই কি কম সফলতা। তবে এর মানোন্নয়ন এবং অগ্রগামীতা ধরে রাখতে সার্বিক প্রয়াস অব্যাহত রাখতে হবে। বঙ্গবন্ধু এমনি এমনিতেই তো জয় নামটি রাখেন নি। সেই দেশ স্বাধীন হওয়া থেকে অদ্যাবদী এই নামটিই যেন দেশমার্তৃকার তরে বিলীন হয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। জয়ের এই নিরলস নিলোর্ভ প্রচেষ্টার ফসল বাংলার প্রতিটি ঘরেই পৌছাবে। আমাদের সহযোগীতাও অব্যাহত থাকবে প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর যোগ্য উত্তরসূরী জয় এর কার্মকান্ডে।
সদ্য সমাপ্ত হওয়া চলচিত্র পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আহবান করেন দেশের ইতিহাস, কৃষ্টি তুলে ধরে চলচিত্র নির্মান করার জন্য। ইতিহাস কৃষ্টি-কালচার বিকৃতকারীদের হাত থেকে দেশ এবং দেশের আগামী প্রজন্মকেও সঠিক ইতিহাস ও কৃষ্টি জানার ব্যবস্থা করতে হবে। সেই লক্ষে যারা কাজ করবে তাদের প্রত্যেককে বিভিন্ন প্রনোদনা প্যাকেজ এর আওতায় এনে সহায়তা করা হবে এবং কর অব্যাহতির ব্যবস্থাও করতে সরকার বদ্ধ পরিকর। এই সুযোগ কাজে লাগীয়ে দেশ মার্তৃকার তরে কাজ করতে হবে। একটি বিশাল জনগোষ্ঠী এখনো চলচিত্র এবং নাটকের মাধ্যমে দেশের ইতিহাস ও কৃষ্টি কালচারকে হৃদয়ে ধারণ ও লালন করে এগিয়ে যাচ্ছে। তাই ভুল এবং কুসংস্কার ও অপসংস্কৃতির ছোয়া থেকে দেশ এবং দেশের উদীয়মান তরুন প্রজন্মকে রক্ষা করুন। বিজ্ঞাপন নির্ভর চটকদার মিথ্যা ও বেহাল্লাপনায় ভরপুর চলচিত্র এবং নাটক এমনকি গান বাজনা যেন দেশের তরুন প্রজন্মকে ধ্বংস করতে না পারে সেই দিকে লক্ষ রেখে কাজ করার এখনই সময়।
অবশেষে নাকাল নগরবাসীকে অকাল বন্যার হাত থেকে বাচানোর আনাগোনা শুরু হয়েছে। তবে এর বাস্তবতা নির্ভর করবে চলমান কাজ এবং এর বাস্তবায়নের উপর। তবে আশায় বুক বেধে থাকা ছাড়া আমাদের আর কি করারই আছে। যাদের হাতে দায়িত্ব দিয়েছি সেই দায়ীত্বশীল লোকদের চোখ ও মুখপানে তাকিয়ে থেকে পরামর্শ এবং দিকনির্দেশনা এবং গঠনমূলক সমালোচনাও করে যাওয়া ছাড়া আর কিবা করার আছে। তবে সময়ের প্রয়োজনে পাশে থেকে কাজ করার মনোভাব পোষণ এবং সমর্থন যোগানো অব্যাহত রেখে যাচ্ছি। জনগনের ১০০% আস্থা রয়েছে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর উপর এবং প্রধানমন্ত্রী যাদের উপর আস্থা রাখেন জনগণ তাদেরকে সহযোগীতা করেন। কিন্তু যখন তারা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে যান তখন প্রধানমন্ত্রী নিজেই জনগণের দায়িত্ব নিয়ে সেই মহান ব্যক্তিকে স্বসম্মানে জনসেবা করার মহান ব্রত থেকে অব্যাহতি দেন। আমরাও সেই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীকে সহযোগীতা অব্যাহত রাখি। কারণ তিনি আমাদের এবং মাবন কল্যাণের তরে কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁর কাজ এবং চিন্তার সমন্বয়ের ফলই আজকের উদীয়মান বাংলাদেশ।
যেখানে সকল রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের আদর্শ, আকাঙ্খা এবং উদ্দেশ্য এক হওয়া উচিত সেখানেই বার বার বিপত্তি ঘটিয়েছেন আমাদের ঘসেটি বেগম। তিনি আবার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীও বটে। তবে প্রধানমন্ত্রী পদটিকে তিনি করেছিলেন কলঙ্কিত। তিনি কখনোই ঐ পদটিকে অলংকিত করেননি। তিনি আগুন সন্ত্রাসের উদ্ভাবক এবং বাস্তব প্রয়োগকারী। তিনি ঝালাও পোড়াওসহ ধ্বংসাত্মক রাজনীতির জন্মদাত্রী এবং লালন-পালনকারী। তিনি দেশের প্রতিটি ইঞ্চি বালুকণিকাকে করেছে কলঙ্কিত এবং তার ঔরসজাত সন্তানদেরকে করেছে নীতিভ্রষ্ট ও পথভ্রষ্ট। যাদের জীবনে নেই কোন আদর্শ এবং সততা ও ন্যায় পরায়নতার কোন ছাপ। সকল অশুভ শক্তির মহড়া দিয়ে তৈরী করেছেন আর ফলও পেয়েছেন। অকাল প্রয়াত হয়েছেন তার মাদকাসত্ত কুকো এবং পাকিস্থানের ভাবাদর্শে প্রতিষ্ঠিত অনৈতিক আদর্শের ধারক ও বাহক তারেক এখন লন্ডনে উদ্ভাস্ত জীবন যাপন করে যাচ্ছেন। এই যদি হয় এক মায়ের কলঙ্কের কাহিনী। তবে বলা যায় তারেকতো আর বাংলাদেশী বা বাংলার সীমানায় জন্মগ্রহণকারী কেউ নয়। তিনি জন্মেছেন পাকিস্থানে এবং বেড়ে উঠেছেন পাকি ক্যাম্পে গড়েছেন বনানীর রেল বস্তিতে বসবাসকারীদের সঙ্গে নোংরা জীবন। সেই তারেকতো এখনও ঐ শৈশবের বেড়ে উঠা নোংরা জীবন থেকে বেড় হয়ে আসতে পারেনি বরং আরো নোংরা এবং শীকড়বিহিন জীবনের সঙ্গি হয়ে পার করে যাচ্ছেন জীবনের অপবিত্র সময়। এই অপবিত্র সময়ে এখন যুক্ত হয়েছেন আমাদের সাবেক কলঙ্কিত প্রধানমন্ত্রী আর শুরু করেছেন নতুন এক ক্ষমতালিপ্সু নোংরা ষরযন্ত্র। লন্ডনে বসে নতুন ষড়যন্ত্রের বীজ বুনে যাচ্ছেন । পাকিস্তানী সন্ত্রাসী বাহীনির সঙ্গে যুক্ত হয়ে বিভিন্ন দেশের সন্ত্রাসী বাহীনীর স্মরণাপন্ন হয়ে দেশে ফিরে ক্ষমতার স্বাধ আহরণের পায়তারায় ব্যস্ত। কিন্তু কি আমাদের স্বয়ং খোদা তায়ালা এই মহিলা এবং তার জারজ সন্তান ও বিভিন্ন দেশের সন্ত্রাসী বাহিনীর ফাঁদে পা দেবে? না তা হতে পারে না কারণ স্বয়ং খোদা তায়ালাই শেখ হাসিনা এবং তাঁর পরিবারকে রক্ষা করেছেন এবং করে যাচ্ছেন। কারন তিনি চান শেখ হাসিনার মাধ্যমে এদেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করে যেতে। আর তাই করে যাচ্ছেন।
সুতরাং সচেতন হউন এবং ঐ রাক্ষুসী নারী যার পেশাই ছিল পতিতাবৃত্তি এবং সেই থেকে জন্মদেয়া দুই কুলাঙ্গার। যার অবশিষ্ট এক কুলাঙ্গার এখন দেশ বাসীর ঘুম হারামকারী হিসেবে লন্ডন বসে দেশ বিরোধী চক্রের চক্রান্তে লিপ্ত। দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক চক্রান্তের সঙ্গে মা বেটার যোগ দেওয়াটা অস্বাভাবিক নয় কিন্তু দেশবাসীর তীক্ষè পাহাড়া এবং খোদার ক্ষমতার জয় হবেই। লন্ডন বানীজ্য এবং ষড়যন্ত্রের মুখোস উন্মোচিত হয়েছে এবং আগামীতে আরো বিশদ প্রমানসহ জনসম্মুখে আসবে। অপেক্ষায় থাকুন এবং দেশ গঠনে নিজের ভুমিকা পালন করুন।