ভজন শংকর আচার্য, কসবা(ব্রাহ্মণবাড়িয়া)প্রতিনিধি ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি লে:কর্নেল শাহরিয়ার রশিদ খান ও তার ভাই হেলাল খানের অবৈধ দখলকৃত খাল ও স্থাপনা উচ্ছেদের পঞ্চম দিনে প্রায় পাঁচশত ফুট দীর্ঘ খালটি প্রশাসন উদ্ধার করেছে। বাড়ির ভেতর অংশ দিয়ে প্রায় ৬শত ফুট দীর্ঘ ও ১২০ ফুট প্রশস্থ ঐতিহ্যবাহী সিনাই নদীর অংশ উদ্ধার এখনো শুরু হয়নি।
গতকাল বৃহস্পতিবার কসবা-আখাউড়া সড়কের পাশে চন্ডিদ্বার মৌজায় ৩৭,৩৮ ও ৩৯ (খতিয়ান ভুক্ত) দাগে সরকারী খাস জায়গা উদ্ধার কাজ পরিচালনাকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসিনা ইসলাম সাংবাদিকদের জানান ইতোমধ্যে লে: কর্নেল শাহরিয়ার ও তার ছোট ভাই হেলাল খান দ্বারা অবৈধভাবে দখলকৃত খাল উদ্ধার করা হয়েছে মাত্র। তবে কসবার ঐতিহ্যবাহী সিনাই নদীর বিশাল অংশ এখনো উদ্ধার হয়নি। তিনি বলেন ওই অংশটুকু লে: কর্নেল শাহরিয়ার রশিদের ভাই হেলাল খানের দখলে রয়েছে। সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন সরোয়ার বলেন; হেলাল খানের দৃষ্টিনন্দন দালানে পাকিস্তানী পতাকার প্রতিক খোদাই করে লাগিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি উন্মাসিকতা পোষন করছেন। সরকারী জায়গায় এ সমস্ত স্থাপনা কী করে হলো এর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন; তাতো এ সরকারের আমলেই হয়েছে। পূর্বের ভূমি প্রশাসন যথাযথ ভাবে কাজ করেনি। উদ্ধার অভিযানে কর্মরত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক মো.রুমান বলেন: আসলে এদের কথাবার্তা ও কাজে কর্মে বাংলাদেশের প্রতি কোনো আনুগত্য আছে বলে মনে হয় না।
এদিকে নদী ও খাল উদ্বারে কসবাÑআখাউড়া নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন; কসবা-আখাউড়ার হারানো ঐতিহ্য ও নিরাপদ আবাসভূমি ফিরিয়ে দিতে এই সরকার আন্তরিক। তিনি বলেন; আমরা ৫৪টি খাল ও নদীর দখলকৃত অংশ উদ্ধার করতে আন্তরিক। এ কাজে এলাকার জনগন সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।