তাজুল ইসলাম নয়ন॥ মানীয় প্রধানমন্ত্রী যখন জলাবদ্ধতা নিরসনে দায়িত্ব নিয়েছেন সেখানে আর কোন সমস্যা নেই। কিন্তু বর্তমানে যে সমস্যার উদ্বব হয় তা থেকে আপাতত নিষ্কিতি পাওয়র জন্য আশু কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। নতুবা নগরবাসী অল্প বৃষ্টিতেই নাকাল হয়ে দুর্বিসহ জীবন যাপন করবে। আসলে আগে ওয়াসা এবং সিটি করপোরেশ ড্রেন পরিষ্কার করত। ডেনে পানি যাওয়ার জন্য যে ছিদ্র রাখাছিল সেগুলির মুখও উন্মুক্ত রাখত। কিন্তু বর্তমানে সেই ড্রেন পরিস্কার এমনকি ছিদ্রমুখ পরিস্কার বা খোলা রাখাতো দুরের কথা বরং ভরাট করে দিয়েছে। যাতে করে গুটি বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ভারি এবং মাঝারি বৃষ্টির প্রয়োজন হয় না।
কারন হল ওয়াশা, সিটি কর্পোরেশন এর খোড়া খোড়ির শেষ নেই। দ্বিতীয়ত খোড়াখোড়ি শেষে রাস্তা পুর্বাবস্থায় ফিরিয়ে না দিয়েই ভঙ্গচ’র্ণ রেখে চলে যায়। পলিথিন ময়লা আবর্জনা এবং বালিতে ড্রেন এবং ড্রেনে পানি যাওয়ার রাস্তা বা ছিদ্র সবই পাকাপোক্তভাবে বন্ধ হয়ে আছে। কেউ দেখার নেই। তাই অনাকাঙ্খিত এই জলাবদ্ধতা।
ঢাকা শহরের বেশীর ভাগ এলাকা ঘুরে সরজমিনে কারন অনুসন্ধান করে এই আশু করণীয় খুঁজে পাওয়া গেছে। সচিবালয়সহ বিভিন্ন সরকারী অফিসে অল্প পানিতেই জলাবদ্ধতার কারন এই পলিথিন এবং ময়লা দ্বার পানি যাওয়ার মুখ বা রাস্তা বন্ধ থাকা। সারা ঢাকাতে যদি এই ক্রাশ পোগ্রামটি চালানো হয় তাহলে স্থায়ী সমাধানের আগেই অল্প বৃষ্টির নাকাল অবস্থার অবসান হবে। অপরদিকে খাল ভরাট করে বিভিন্ন স্থাপনা এবং সৌন্দর্য বর্ধন কাজ দ্রুত গতিতে এগুচ্ছে। ঐ খাল ভরাটের কারণে প্রবল বর্ষনে সৃষ্টি হচ্ছে দীর্ঘসময়ের জলাবদ্ধতা। এয়ারপোর্ট রোডে আগে পানি আসত না কিন্তু এখন আসে। কারণ দুই পাশের খাল ভরাট হয়ে গেছে। তাই খাল পুনরুদ্ধার করা এখন সময়ের দাবি। পাশাপাশি আরেকটি বিষয় লক্ষণীয় যে, আমাদের এখনও যে পুকুর ও খাল এবং লেক জিবীত আছে সেগুলোকে যদি ড্রেজিং এর মাধ্যমে দ্বীগুন গভীরতায় পর্যবসীত করা যায় তাহলেও এই অনাকাঙ্খিত বন্যার কবল থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
সমস্যা চিহ্নিত এবং এখন সমাধান যাত্রা। সবই ভাটার টানে হারিয়ে গেছে। বিলীন হয়ে গেছে ফাঁকা মুখে বুলি আওড়ানো সকলকিছু। তাই পুর্বের কাজ এর ধারাবাহিকতায় নতুনের আলিঙ্গনে সুদৃঢ় বৃত্তির উপর ঢাকাকে দাঁড় করানো এখন সময়ের দাবি। তাই শেখ হাসিনার আকাঙ্খা ও অভিপ্রায় বাস্তবায়নে কাজে ঝাপিয়ে পড়–ন। সাধুবাধ জানাই মেয়র সাঈদ খোকনকে। তার প্রয়াস এবং চেষ্টা অব্যাহত থাকুক এবং আমাদের সমর্থন ও প্রয়োজনীয় সহযোগীতা অব্যাহত থাকবে।
মেট্রো রেলের কাজও আমাদের এবারের জলবদ্ধতার জন্য দায়ী। সব মিলিয়ে উন্নয়নের চলমান কাজে সাময়ীক অসুবিধা হলেও আগামী দিনে সুফল ভোগ করবে এই নগরবাসী। স্থায়ী সুফল ভোগ করার লক্ষ্যে অস্থায়ী কিছু সমস্যা ধৈয্যসহকারে মোকাবেলা আমাদের নিয়মে পরিণত হয়েছে। আমরা এগিয়ে যাব স্থায়ী সুফল ভোগ করতে। প্রধানমন্ত্রীর উপর অঘাধ বিশ্বাস এবং আস্থা রেখেই এগিয়ে যাব স্থায়ী সমাধানের দিকে এবং সুফল ভোগ করার অভিপ্রায়ে।