ড. ইমন॥ ধূমপান ধীরে ধীরে নষ্ট করে দেয় শরীরের সব অঙ্গ। ছেড়ে দেওয়ার পর কয়েক বছরের মধ্যে শরীর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে বলে জানান ডাক্তাররা। এছাড়া সিগারেট ছেড়ে দেওয়ার পর আমাদের শরীরে যেসব পরিবর্তন হয় সেগুলো হলো-
১। সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দেওয়ার ২০ মিনিটের মধ্যেই আমাদের রক্তচাপ কমে গিয়ে স্বাভাবিক হয়ে যায়। হাত ও পায়ে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে।
২। সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দেওয়ার ৮ ঘণ্টার মধ্যে আপনার শরীরে জমে থাকা কার্বন মনোক্সাইড গ্যাস ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যাবে। অক্সিজেনের মাত্রা বাড়ায় ফুসফুস থেকে ক্ষতিকারক ও অস্বস্তিকর ব্যাকটেরিয়া দূর হবে।
৩। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ফুসফুসে জমে থাকা নিকোটিন শরীর থেকে বেরিয়ে যাবে। ফলে ঘ্রাণ ও স্বাদ বোধ বাড়বে।
৪। ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার ৩ দিনের মধ্যে আপনার ব্রঙ্কিয়াল টিউব প্রসারিত হবে। ফলে অনেক স্বাভাবিক ভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস চালাতে পারবেন, এনার্জি ফিরে আসবে, স্ট্রেস কমবে।
৫। ২ সপ্তাহের মধ্যে শরীরে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক হয়ে ফুসফুসের কর্মক্ষমতা ৩০ শতাংশ বেড়ে যায়। ফলে হাঁটাচলা করতে আগে যে হাঁফিয়ে উঠতেন, এই সময় থেকে তা কমে গিয়ে এনার্জি ফিরে পাবেন।
৬। ৩-৯ মাসের মধ্যে বুঝতে পারবেন আপনার আর নিশ্বাস নিতে বিশেষ কষ্ট হচ্ছে না। ধূমপানের কারণে যে খুকখুকে কাশি হতো তাও অনেক কমে এসেছে। এই সময় থেকে ব্রঙ্কিয়াল টিউবের ফাইবার আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসতে থাকে। যা ফুসফুস থেকে ব্যাকটেরিয়ার দূর করে পরিষ্কার রাখে।
৭। ধূমপান ছাড়ার ১ বছর পরও যারা কোনও দিন ধূমপান করেননি তাদের তুলনায় আপনার হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি থাকে দ্বিগুণ।
৮। সিগারেট ছেড়ে দেওয়ার ৫ বছরের মধ্যে স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়। কোনও দিন ধূমপান না করলেও যে ঝুঁকি থাকে, ৫ বছর পর ঝুঁকির পরিমাণ ঠিক ততটাই কমে আসে।
৯। ধূমপানের ফলে ফুসফুসের যে ক্ষতি হয়, ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার পর ১০ বছর সময় লাগে ফুসফুসের আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসতে।
আজ আমার জন্মদিন। এই জন্য মহান রাব্বুল আলআমীনকে শুকরিয়া জানাই। কারণ একটি বছর নির্ধারিত সময় থেকে কমে গেল। তাড়াতাড়ি সৃষ্টিকর্তার সঙ্গে বেহেশতে মিলিত হতে পারব। এইদিক দিয়ে জন্মদিনকে আনন্দের সহিত স্মরণ করি। কারণ এই দিনটি আসলেই বুঝতে পারি খুব তাড়াড়িই আমার মালিকের এবং প্রভুর সঙ্গে যুক্ত হতে যাচ্ছি। এই দিনের জন্য আল্লাহকে শুকরিয়া জানাই।
আমার এই দিনটি কেটেছে অফিস, চাচার বাসা, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, সচিবালয় (শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং জন প্রশাসন মন্ত্রণালয়) হয়ে অফিস ও এক বড় ভাইয়ের বাসায় গুরুত্বপূর্ণ মিটিং শেষে বাসায় ফিরে ছেলে ও মেয়ে এবং স্ত্রীর সঙ্গে গল্প করে।
আমার অফিসে সকলে মিলে আনন্দঘন পরিবেশে আমার অনিচ্ছায় ভালবাসার লোকজনদের ইচ্ছায় জন্মদিনটিকে পালন করা হয়। এইজন্য অফিসের সকলকে কৃতজ্ঞতাসহ শুকরিয়া জানাই।
পরিশেষে আমার জন্মদিনে বন্ধু, বড়ভাই, চাচা ও আত্মিয়সজন সহ গুণগ্রাহীরা যে শুভকামনা এমনকি শুভেচ্ছা জানিয়েছেন; তাদের সকলকে জানাই বিন¤্র শ্রদ্ধাভরা কৃতজ্ঞতা এবং শুকরিয়া। আপনাদের সকলের প্রতি রইল আমার নিরন্তর ভালবাসা এবং গভীর দায়বদ্ধতা। কৃতজ্ঞচিত্তে আপনাদের পাশে থাকব এই বিশ্বাস এবং ইচ্ছা ও আকাঙ্খা ব্যাক্ত করে আগামীর প্রয়োজনে পাশে থাকার নি:শর্ত নিরন্তর নিশ্চয়তা রইল।