আখের॥ দেশব্যাপি বন্যার মধ্যে নেতা-কর্মীদেরকে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও শ্রেণীপেশার মানুষকেও একই আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। গত সোমবার ক্ষমতাসীন দলটির দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই কথা জানানো হয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী দেশের প্রধান প্রধান নদ নদী ২৭টি পয়েন্টে বইছে বিপদসীমার ওপরে। আগামী ৭২ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র-যমুনা, গঙ্গা-পদ্মা এবং আগামী ২৪ ঘণ্টায় সুরমা-কুশিয়ারার পানি বাড়বে বলেও জানানো হয়েছে।
জামালপুরের বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে যমুনা বিপদসীমার ১১৮ সেন্টিমিটার, কাজীপুরে ১০০ সেন্টিমিটার, গাইবান্ধার বদরগঞ্জে যমুনাশ্বরী ১২৬ সেন্টেমিটার, সুরমা নদী সুনামগঞ্জে ৯১ সেন্টিমিটার, গোয়ালন্দ পয়েন্টে পদ্মা ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। বিপদসীমা সবচেয়ে বেশি অতিক্রম করেছে কংস। নেত্রকোণার জারিজঞ্জাইল পয়েন্টে এই নদী বইছে বিপদসীমার ১৮১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে।
বড় বন্যা আসছে বলে গত মাসেই সতর্ক করে দিয়েছিলেন পানিসম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। সতর্কতামূলক প্রস্তুতি হিসেবে বিদেশ থেকে খাদ্যশস্য আমদানি বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
এরই মধ্যে বন্যা দুর্গত এলাকায় মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। কাজ কমে যাওয়ায় শ্রমজীবী মানুষদের আয়ের পথ প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে।
এই পরিস্থিতিতে দুর্যোগ কবলিত এলাকায় নিজ নিজ সাংগঠনিক কমিটির উদ্যোগে বানভাসী মানুষের পাশে থেকে তাদের সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর নেওয়া ও ত্রাণ তৎপরতা জোরদার করারও আহ্বান জানান হয়েছে ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে।