সরকারের উন্নয়ন ভেস্তে যাচ্ছে ভঙ্গুর যোগাযোগ ব্যবস্থা, অতি বৃষ্টি, জলাবদ্ধতা ও অকাল বন্যায়

তাজুল ইসলাম নয়ন॥ আসন্ন ঈদ উপলক্ষে শহরমুখী মানুষগুলো শিকড়ের সন্ধানে ফিরবে আপন নীড়ে। কিন্তু এই ফেরার পথেই বাঘরা হয়ে দাঁড়িয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থার দৈন্যদশা। সারাদেশেই সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার নাজুক পরিস্থিতি। ভোক্তভোগীরা সবাই জানেন এবং যন্ত্রণার স্বীকারে নিজেকেই ধীক্কার দেন। শহুরে জীবনের মত গ্রাম জীবনেও এর বিরুপ ক্রিয়া এবং প্রতিক্রিয়া লক্ষণীয়। তবে এর পিছনের কারণ কিন্তু অতি বৃষ্টি এবং জলাবদ্ধতা। যার জন্য রাস্তায় সৃষ্টি হচ্ছে বড় বড় গর্ত। আর এই গর্তের কারণে ধীর গতি এবং সহজভাবে গমনাগমনের বাধায় সৃষ্টি হচ্ছে দীর্ঘ যানজট। এই যানজট এবং খানাখন্দের যন্ত্রণায় নগর জীবনের সঙ্গে গ্রাম্য জীবনেও অস্বস্তীতে ভোগছে দলীয় সমর্থক ও কর্মীগোষ্ঠী। সরকারের আন্তরিকতা এবং কঠোর পরিশ্রমের কমতি নেই কিন্তু তারপরও কেন এই দুর্ভোগ? প্রকৃতিকে দোষারোপ করে পার পাওয়ার কোন সুযোগ নেই আমাদের। তাই যত দ্রুত সম্ভব যে কোন মূল্যে এই দুর্যোগ মোকাবেলা করে জনমনে স্বস্তী ফিরিয়ে দিতে হবে। আর তা করতে হবেই আসন্ন ঈদের যাত্রার পূর্বে।
আমি সারা দেশের এই হালচিত্র তুলতে গিয়ে নিজেই বাকরুদ্ধ এবং সেই থেকেই নিজের বিরুদ্ধে এই লিখা। আমি আরো কষ্ঠিত হলাম যখন দেখলাম আমাদের বিমান বন্দর এর ভিতরে প্রবেশ ও বাহির হতে গিয়ে যে দুর্ভোগ। একেতো যানজট তার সাথে যোগ হলো খানাখন্দ। তাও আবার বিশাল বিশাল। দেখার কি কেউ নেই। দেশী এবং আন্তর্জাতিক মানুষগুলো এসে কি এই দেখার কথা! আর তাওতো অস্থায়ীভাবে মোকাবেলা করে এতটুকু বোঝানো যায় যে, বৈরী পরিবেশেও লোকজন আন্তরিক সেবার কাজে। কি করে বোঝাব আমাদের দেশের দায়িত্বরত সম্মানীত মানুষদেরকে। কোন ভাষা বা জ্ঞান ও উপায় আমার জানা নেই।
সদ্য আবার যোগ হয়েছে অকাল বন্যা। তাও আবার অঞ্চল ও এলাকা বেদে। এই বন্যা মোকাবেলার সমস্ত প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে; তারপরও আমরাতো মানুষ আর এই মানুষেরই ভুল হয়। সেই ভুলগুলি যেন না হয় সেইদিকে লক্ষ রেখে সকলেই যেন কাজ করি। মনে রাখতে হবে আমাদের প্রত্যেকেরই দায়িত্ব রয়েছে এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে। তাই সকলে মিলেই মোকাবেলা করব এবং সরকারের আন্তরিক ইচ্ছা ও চেষ্টাকে সফলতায় পৌঁছে দিব। আমার এই লিখা সমালোচনা বা নিজের অসম্মানের বিসর্জনের জন্য নয় বরং সমস্যাকে মোকাবেলার উপায়গুলো আরো সক্রিয় করার লক্ষ্যে। আমরা আমাদের উন্নয়ন এবং সফলতাকে বিফলে যেতে দিতে পারি না। সেই অর্জনগুলো অক্ষুন্ন রাখাই যেন হয় আমাদের নিত্যদিনের দায়িত্বের একটি উপাদান।
সকল মনুষ্য সৃষ্টি এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করেই আমাদের সফলতাগুলোকে অক্ষুন্ন রাখব। এই প্রত্যয়ে সকলোর সহযোগীতা এবং কথা ও কাজের সমন্বয় ঘটানো এখন সময়ের উত্তম ও উর্বর দাবি। আসুন সকলে মিলে এই মহৎ ও কঠিন মুহুত্বের চ্যালেঞ্জিং কাজটুকু করে দেশের ও দশের কল্যাণে নিজের দায়িত্বটুকু পালন করি। ভাল থাকুন এবং অন্যকে ভাল রাখুন। এই আশা ও শুভকামনা করি।

Leave a Reply

Your email address will not be published.