আবদুল আখের॥ পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট সেদেশের প্রধানমন্ত্রীকে অযোগ্য ঘোষণা করলেও সেখানে কোনও আলোচনা-সমালোচনা হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপরতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। তিনি বলেন, ‘আমরা বিচার বিভাগ ধৈর্য ধরছি, যথেষ্ট ধৈর্য ধরছি। আজকে একজন কলামিস্টের লেখা পড়েছি। সেখানে ধৈর্যের কথা বলা আছে। পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট প্রধানমন্ত্রীকে অযোগ্য করেছেন। সেখানে কিছুই (আলোচনা-সমালোচনা) হয়নি। আমাদের আরও পরিপক্কতা দরকার।’
গত রবিবার (২০ আগস্ট) বিচারিক আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা বিধি নিয়ে আপিল শুনানির সময় প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘মিডিয়াতে অনেক কথা বলেন। কোর্টে এসে অন্য কথা বলেন। আপনাকে নয়, আপনাদের বলছি। আপনিই বলেন, কবে কি হবে? আপনারাই তো মিডিয়াতে ঝড় তুলছেন, আমরা কোনও মন্তব্য করছি?
এ সময় অ্যাটর্নি জেনারেল প্রধান বিচারপতির প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘না, আপনারা করেননি।’ শুনানির শুরুতে অ্যাটর্নি জেনারেলকে উদ্দেশ্য করে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘গত তারিখে কী কথা ছিল? আলাপ আলোচনা করার কথা হয়েছিল। কার সঙ্গে কে কে থাকবে? জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘ল’ মিনিস্টার।’
আদালত বলেন, ‘অল দ্য জাজেস অব অ্যাপিলেট ডিভিশন। আমাদের সঙ্গে আলোচনা পর্যন্ত করলেন না?’ এরপর প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন ৬ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ বিচারিক আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধির গেজেট প্রকাশের জন্য ৮ অক্টোবর দিন ধার্য করে আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর মাসদার হোসেনের মামলায় (বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ) ১২ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেওয়া হয়। ওই রায়ের ভিত্তিতে নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা ছিল। আপিল বিভাগের এ নির্দেশনার পর গত বছরের ৭ মে আইন মন্ত্রণালয় একটি খসড়া শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধি প্রস্তুত করে সুপ্রিম কোর্টে পাঠায়।
এরপর আদালত বলেন- আপনার (অ্যাটর্নি জেনারেল) চাওয়া মতো ৮/১০ করলাম (রাষ্ট্রপক্ষের করা সময় আবেদনের প্রেক্ষিতে অধস্তন আদালতের বিচারকদের চাকরিবিধি গেজেট আকারে প্রকাশের জন্য সরকারকে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত সময় দেয় আপিল বিভাগ)। এসময় ব্যারিস্টার এম আমিরুল ইসলাম বলেন, মাই লর্ড, আমার আবেদনটি (অধস্তন আদালতের বিচারকদের চাকরিবিধি সংক্রান্ত একটি ব্যাখ্যা) শুনানি করেন।