ভজন শংকর আচার্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ কসবা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাফর আহাম্মদের বিরুদ্ধে সরকারী অর্থ আত্মসাতের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, চলতি বছরে বিভিন্ন স্কুল ও মাদরাসার বই পরিবহনের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ তিনি গত মে মাসেই উত্তোলন করে মাদরাসা ও স্কুল গুলোকে না দিয়ে প্রায় লক্ষাধিক টাকা আত্মসাত করেছেন। এ ব্যাপারে বিভিন্ন স্কুল ও মাদরাসার মধ্যে রয়েছে নানা গুঞ্জন। ভয়ে কেউ কথা বলছেনা। তিনি কারনে- অকারনে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে নানা অজুহাতে কারন দর্শানো নোটিশ দিয়ে হয়রানি করে থাকেন। প্রায় শতাধিক স্কুল ও মাদরাসা বই পরিবহনের অর্থ না পাওয়ায় শিক্ষক প্রধানদের মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মাদরাসা সুপার বলেন মাদরাসা ও স্কুলের ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচনে প্রিজাইডিং নিয়োগ করা হলে জাফর আহাম্মদ কে বাধ্যতামূলক তিন হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয় অন্যথায় তিনি হয়রানি করেন। এদিকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সুশীল সমাজের পক্ষ থেকেও জাফর আহাম্মদের বিরুদ্ধে চরম আপত্তি। লোকটির স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের সাথে ঘনিষ্ট সম্পর্ক । অপরদিকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী মানুষদের কাছ থেকে দূরত্ব রেখে চলেন।
জানা যায় তিনি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নির্বাচনে গিয়ে সুক্ষ্ম কারচুপি করে থাকেন। সম্প্রতি কসবা পুরাতন বাজার ব্যবসায়ী কমিটির নির্বাচনে ও কারচুপির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে একটি মামলা চলমান রয়েছে। ২০১৬ সালেও তিনি একই ভাবে অর্থ উত্তোলন করে ওই টাকা আত্মসাত করেছিলেন। পরে অভিযোগ হলে সাংবাদিকরা এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে জাফর আহাম্মদকে । তখন তিনি তড়িঘরি করে এই টাকা স্কুল ও মাদরাসা প্রধানদের দিয়ে পেছনের তারিখে স্বাক্ষর করাতে বাধ্য করে।
এ ব্যাপারে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো.জাফর আহাম্মদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি টাকা উত্তোলনের কথা স্বীকার করে বলেন তিনি সহসাই টাকা দিয়ে দিবেন। তবে সরকারী অর্থ কোষাগার থেকে উত্তোলন করে কতদিন রাখা যায় এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন এটা রাখা যায়না। তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসিনা ইসলাম ও উপজেলা চেয়ারম্যান এডভোকেট আনিসুল হক ভূইয়া মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তাঁরা এ বিষয়টি জানেন না বলে সাংবাদিকদের জানান।