১৫ই আগষ্টের পট পরিবর্তন, ২১শে আগষ্টের হামলা এবং এই আগষ্টেই দেয়া ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় একই সূত্রে গাঁথা। বাঙ্গালী জাতির অস্তিত্বে যতবার আঘাত হেনেছে ততবারই এই আগষ্টকেই ব্যবহার করেছে। এর কারণ কি জানেন? এই আগষ্টই হল সন্ত্রাসী এবং আকার্যকর রাষ্ট্র পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস। তাই তারা তাদের স্বাধীনতাকে উৎযাপন করার জন্য এই বাংলাদেশকে টার্গেট করে। কারণ তারা হারিয়েছে তাদের অত্যাচার এবং অন্যয্যতার জন্য এই ভুখন্ডকে। মেনে নিতে পারেনি আজও বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ। বুঝতে পারেনি আজও তাদের অমার্জনীয় ভুলগুলো। কিন্ত কি করার … আমাদেরতো এখন সতর্ক থাকতে হবে। তাই এই সতর্কতা অবলম্বনে কোন ঘাটতি দেখা দিলেই ঘটবে ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় বা ২১শে আগষ্টের পুনরাবৃত্তি অথবা ১৫ই আগষ্টের আদলে কোন যঙ্ঘ।
স্বাধীনতার পরাজিত শক্তির দোসররা তো বসে নেই এমনকি তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে এদেশীয় ঘরের শত্রু ভিবিষনরা। আমাদের দেশে অনুঘঠকের অভাব নেই। শুশিল বলুন বা নাগরিক সমাজই বলুন অথবা কুশিলবই বলুন না কেন তারাতো বসে নেই। তাদের ক্ষমতার লোভ এর খায়েশতো এখনো পূরণ হয়নি। তাই তারা মরিয়া হয়ে চেষ্টা করে যাচ্চে বার বার কিন্তু সেই চেষ্টায় সফল হতে পারেনি শুধু এদেশের জনগণের জন্য। কিন্তু এখন জনগণকেই দায়িত্ব নিতে হবে। কারণ জনগণ যাদের উপর দায়িত্ব দিয়ে নিশ্চিতে থাকতে চায় তারাতো তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে না। যার কারণে বার বার আমাদের দেখতে হচ্ছে এই কালো মেঘ।
এন এস আই, এস বি, ডিজিএফআই রয়েছে গোয়েন্দাগীরির জন্য কিন্তু কি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছেন বলে মনে হয় আপাত দৃষ্টিতে। হয় না তার প্রমান একজন সঠিক রিপোর্ট দিলে আরেকজন মিথ্যা রিপোর্ট দেয়। যার জন্য সমন্বয়ের অভাবে কাজ হয়নি। ধরুন চাকুরী প্রত্যাশী তার তথ্যে মিথ্যার আশ্রয় নিলো। শর্তে ছিল বিবাহিত হলে চাকুরীর অযোগ্য বা অবিবাহিত প্রার্থীরাই কেবল আবেদন করতে পারবে। কিন্তু বিবাহিত প্রার্থীরা দাপটের সঙ্গে এখন চাকুরী করে যাচ্ছে যা সরকারের নৌবাহিনীর মতো একটি বাহিনীতেও রয়েছে। পুলিশ রিপোর্ট ছিল বিবাহিত এবং অপর রিপোর্টটি গোজামিল দিয়ে তার চাকুরী বহাল তবিয়তে। কিন্তু এটা একটা উদাহরণ কিন্তু হাজারো গোজামিলের উদাহরণ রয়েছে আমাদের হাতে। কার কাছে বলব এই দু:খের কথা। যখন কোন ভেরিফিকেশন আসে তখন কখনো কখনো সৎ অফিসার আসে আবার কখনো কখনো অসৎ অফিসার আসে এবং টাকা বা ঘোষ না দিলে রিপোর্ট নেগেটিভ। আর টাকা দিলে রিপোর্ট পজেটিভ। সকল ক্ষেত্রেই বিরাজমান। এই ক্ষেত্রে সরকার এবং জনগণের এখন কি করা উচিত? এইতো বের হয়ে আসল জামাতির ছেলে পরিচয় গোপন করে এস এস এফে নিয়োজিত। এ কি করে সম্ভব? হ্যা পয়সা হলে সবই সম্ভব? প্রধানমন্ত্রী বেতন বাড়িয়েছে কিন্তু মানুষের মন, চাহিদা, আকাঙ্খার পরিবর্তনতো করতে পারেননি। তাই বহুদিনের চর্চাকৃত অভ্যাসতো আর বদলায়নি। তাই দেখতে হচ্ছে এই কালো মেঘের ছায়া।
এখন আসা যাক রক্ষক যেন ভক্ষক না হয় সেইদিকে নজর দেয়ার কাহীনিতে। একটি খেলা আছে যা খেলে সমাজের অবস্থান বিশ্লেষণ করা হয়। খেলাটি হলো ইদুর বিড়াল। এই খেলাটির লক্ষ হলো বিড়াল ঈদুরকে খাবে এবং জনগণ ঈদুরকে রক্ষা করবে। যে কোন সময় অবস্থান পরিবর্তন হবে। ইদুর বিড়াল হবে এবং বিড়াল ইদুর হবে। কারণ হলো জনগণের দায়িত্ব নিরীহ বা অসহায় মানুষদের পাশে থেকে তাদেরকে এগিয়ে নেয়ার বা রক্ষা করার। এখানে জনগণ বা সরকার অথবা এনজিও এর জন্য এই খেলাটি যথোপযুক্ত। এখন আমরা যাদেরকে নিরীহ ভেবে সবসময় সহযোগীতা করে যাচ্ছি; ভেবে দেখতে হবে যে; যে কোন সময় তার পুর্বের অবস্থান (চেঞ্জ) পরিবর্তন হয়ে যায়। যেমন খেলাটি ঈদুরের ভুমিকায় যে থাকে সে বিড়ালে পরিণত হয় এবং বিড়ালের ভুমিকায় যে থাকে সে ঈদুরের ভুমিকায় পরিণত হয় তখন জনগণ হিসেবে খেলাতে চোখ কান খোলা রেখে সঠিক দায়িত্বটুকু পালন করতে হয়। এখানেই আমাদের সমাজের বা মানুষের চরিত্র এবং অবস্থান বদলায়। সব সময় একই অবস্থানে থাকে না তাই দায়িত্ব পালনের সময় চোখ কান খোলা রেখেই কাজ করতে হবে। নতুবা সারা জীবন নিরীহ ভেবে যাকে রক্ষা করছি সেই নিরীহ প্রাণীটিই ক্ষমতার দাপটে সবকিছু তছনছ করে দিবে। ভাবুনতো এই খেলাটি নিয়ে এবং প্রস্তুত হউন আমাদের ভুমিকার ক্ষেত্রে এবং দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করার ক্ষেত্রে।
এহেন পরিস্থিতি অবলোকন করে আমরা জনগণ আজ জেগে ওঠা ছাড়া উপায় কি? তাই সরকার প্রধানকে রক্ষার দায়িত্ব এখন জনগণের কাঁধে নিতে হবে। সকল অনেয্যতা মোকাবেলা করে ন্যায্যতায় ফিরিয়ে আনার দায়িত্বটুকু জনগণের কাঁধেই নিতে হবে। নতুবা যাদের উপর দায়িত্ব দিয়ে নিশ্চিত হতে চাইছি তারাতো আর সেই দায়িত্বটুকু সঠিকভাবে পালন করে না। যা দৃশ্যমান আলোকে লিখতে বাধ্য হলাম। তবে যারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছেন তাদের প্রতি আমাদের বিশ্বাস এবং আশা আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং শ্রদ্ধা ও সম্মান রক্ষায় অতি বিশ্বস্ততার সহিত পাশে থেকে এগিয়ে যাবো এই নিশ্চয়তা ১০০ভাগ রইলো।
সরকারের উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতা রক্ষার নিমিত্তে আমাদের নিরব জনগণকে আরেকটি বার গর্জে উঠে এগিয়ে আসতে হবে এবং বাংলার আশির্বাদ শেখ হাসিনাকে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে এগিয়ে নিতে হবে। আসুন আমরা জাগ্রত হই এবং সকল কালোমেঘ দুর করি এবং পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ, উন্নত ও সম্বৃদ্ধ জাতি হিসেবে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করি। শোক হউক আমাদের শক্তি এবং অঙ্গিকার ও শিক্ষ আগামীর জন্য।