চৌধুরী কামাল ইকরাম॥ বঙ্গবন্ধু কন্যা ও প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা তার জন্মদিনের কেক কাটবেন না। গত বুধবার তার জন্মদিন ছিল। থাকছে না কোনো আনুষ্ঠানিকতা। রোহিঙ্গাদের প্রতি সহমর্মী হয়ে তিনি এ মানবিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। জন্মদিন উপলক্ষে রান্না করা খাবার পাঠানো হয়েছে এতিমখানায়। গত বুধবার রাজধানীর শেরেবাংলানগর এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এসব তথ্য জানান। বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা আজ ৬২ বছর পূর্ণ করলেন। ১৯৫৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর জন্ম নেন তিনি।
গতকাল মঙ্গলবার উখিয়ার কুতুপালং শরণার্থী শিবিরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গিয়ে রোহিঙ্গাদের ত্রাণ বিতরণ করেন শেখ রেহানা। এসময় রোহিঙ্গা নারী ও শিশুদের দুর্দশার কথা শুনে তিনি অশ্রুসিক্ত নয়নে তাদের বুকে জড়িয়ে ধরেন।
সাংবাদিকদের পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রতি সহমর্মী হয়ে শেখ রেহানার এবারের জন্মদিনে কোনো আনুষ্ঠানিকতা থাকছে না। জন্মদিন উপলক্ষে আজ যে খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল, সেগুলো এতিমখানায় পাঠানো হয়েছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা দেশের বাইরে থাকায় সে সময় প্রাণে বেঁচে যান। বড় বোন শেখ হাসিনার সঙ্গে সে সময় বেলজিয়ামে ছিলেন শেখ রেহানা। শেখ হাসিনার স্বামী এম ওয়াজেদ মিয়ার কর্মস্থল ছিল জার্মানির কার্লসরুইয়ে। সেখান থেকে পরে ভারতে চলে যান দুই বোন।
শেখ রেহানা পরে পরিবার নিয়ে লন্ডনে চলে যান এবং সেখানেই স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। আর শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে বঙ্গবন্ধুর দল আওয়ামী লীগের হাল ধরেন। তার নেতৃত্বে তিনবার রাষ্ট্রক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ।
লন্ডন প্রবাসী হলেও শেখ রেহানা বছরের একটি বড় সময় দেশেই কাটান। তার তিন ছেলেমেয়ের মধ্যে বড় মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক ব্রিটিশ পার্লামেন্টে লেবার পার্টির এমপি। ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ঢাকায় একটি আন্তর্জাতিক সংস্থায় কর্মরত। আর ছোট মেয়ে আজমিনা সিদ্দিক লন্ডনে কন্ট্রোল রিস্কস নামে একটি প্রতিষ্ঠানের গ্লোবাল রিস্ক অ্যানালাইসিস সম্পাদক।