ইসরাত জাহান লাকী॥ হঠাৎ করেই রোহিঙ্গা ইস্যুতে তৎপর হয়েছেন ড. মুহম্মদ ইউনূস। ২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেল জয়ের পর এই প্রথম শান্তির জন্য আকুতি জানালেন জাতিসংঘে। অথচ এর আগে সিরিয়ায় গণহত্যা, ইরাকে মানুষের আর্তনাদ, প্যালেস্টাইনে বর্বরতা নিয়ে তাঁকে সরব দেখা যায় নি। বাংলাদেশের বন্যাতেও তাঁর কোনো আহাজারি দেখিনি আমরা।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রথম দিকে তিনি নীরবই ছিলেন। যখনই বাংলাদেশ সরকার প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিকতার হাত বাড়াল, তখনই নড়ে চড়ে বসলেন ড. ইউনূস। ইউনূস সেন্টার থেকে প্রথমে তাঁর নামে একটি বিবৃতি দেওয়া হলো। তারপর ১২ জন নোবেল জয়ীর নামে বিবৃতি এলো গত ১৩ সেপ্টেম্বর। একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, শেখ হাসিনার শান্তিতে নোবেল জয় ঠেকাতেই ড. ইউনূসের এই তৎপরতা। শান্তিতে নোবেল জয়ীদের এই উদ্যোগের ফলে, শেখ হাসিনার কৃতিত্ব এবং উদ্যোগ ম্লান হবে এমন ভাবনা থেকেই ড. ইউনূস এই চিঠি দিয়েছেন।
চিঠিটি পড়লে দেখা যাবে কোথাও বাংলাদেশ সরকারের ভূমিকার প্রশংসা নেই, শুধু এক লাইনে বলা হয়েছে তিন লাখ শরাণার্থী বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। শান্তিতে নোবেল জয়ী ড. ইউনূসের এই উদ্যোগ বিশ্ব মহলে বিস্ময় সৃষ্টি করেছে। তিনি কোথাও বাংলাদেশ যে অসাধারণ মানবিকতার পরিচয় দিয়েছে এমন কথা বলেন নি। বাংলাদেশের পদক্ষেপ বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হলেও এ ব্যাপারে ইউনূস নীরব।
শুধু এই চিঠি দিয়েই ড. ইউনূস ক্ষান্ত হননি। জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা এবং শরণার্থী সংস্থাকে ড. ইউনূস জানিয়েছে, বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের যথাযথ স্বাস্থ্য ও জীবন নিরাপত্তা দিতে পারছে না। শরণার্থীদের মানবেতর ভাবে রাখা হচ্ছে। অর্থাৎ এখানেও ড. ইউনূস বাংলাদেশের স্বার্থ বিরোধী অবস্থান নিয়েছেন।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে শেখ হাসিনা যে বিশ্ব মানবতার নেত্রী হিসেবে উদ্ভাসিত হয়েছেন, এটাকে ম্লান করার জন্য ড. ইউনূস মাঠে নেমেছেন। লক্ষ্য একটাই শেখ হাসিনার নোবেল পুরস্কার ঠেকানো।
ইউনূস সেন্টার সূত্রে জানা গেছে, ড. ইউনূস আগামী সপ্তাহে সুইডেন এবং নরওয়ে সফর করবেন। শেখ হাসিনা যাতে নোবেল পুরস্কার না পান, তাঁর লবিং এর অংশ হিসেবেই এই সফর বলে অনেকে মনে করছেন। ড. ইউনূস টেলিনরের মাধ্যমে নরওয়ের প্রভাবশালী ব্যবসায়ী। শুধু সুইডেন ও নরেওয়ে নয়, ড. ইউনূস ক্লিনটন ফাউন্ডেশনকেও একই কাজে ব্যবহার করছেন বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, এর আগে নোবেল জয়ী ড. ইউনূস পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন না করার জন্য বিশ্বব্যাংককে চিঠি দিয়েছিলেন। তাঁর চিঠির উপর ভিত্তি করে বিশ্বব্যাংক প্রথমে অর্থায়ন স্থগিত এবং পরবর্তীতে বন্ধ করেছিল।
ড. ইউনূস সব সময়ই বাংলাদেশ বিরোধী ছিলেন। তাঁর মত কুলাঙ্গার এই দেশের মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছে ভাবলে খুবই কষ্ট লাগে। দেশের প্রয়োজনে যার বিন্দু মাত্র সহযোগীতার চিন্তা নেই সেই মানুষটিই কিনা বাংলাদেশ ও এই দেশের খাঁটি এমনকি শিক্ষার দিক দিয়ে অভাবী মানুষদেরকে পুঁজি করে শান্তির নোবেল অশান্তির মাধ্যমে ছিনিয়ে নিয়েছেন। যাই হোক দেশকে ছোট করা এবং এই ছোটদেশকে পুঁজি করেই জীবিকা নির্বাহ করাই এই মানুষরূপী শয়তারী চরিত্রের বাস্তবায়নকারী ড. ইউনূসের কাজ। সাবধান হউন এই নরপশু থেকে।