ঐতিহাসিক আয়োজক এবং জাক-জমকপূর্ণ পুজা আর্চনা হয় এই শিকদার বাড়ির শ্রী শ্রী দূর্গা মন্দিরে। এর অবস্থান বাহগেরহাটের হাকিমপুর গ্রামে। গত (৬টি) বছরগুলোতেও এই আয়োজন এবং শ্রেষ্ঠত্বের অবস্থান বজায় রেখেছিল। এই পুজায় শিকদার পরিবার তাদের হৃদয়ের সর্বস্ব উজার করে দিয়ে যাচ্ছেন যুগ যুগ ধরে। এই শ্রেষ্টত্বের অবস্থান সৃষ্টির প্রতিযোগীতা শুরু হয়েছিল জনাব ডা: দুলাল শিকদার এবং রমা শিকদার এর অক্লান্ত পরিশ্রম ও ভগবানের প্রতি বিশ্বস্ততা এবং ভালবাসার তাগিদে।
শিকদার পরিবারের ঐতিহ্য আজ অব্দি ধরে রেখেছেন সকলে মিলে। বিশেষ করে বর্তমান প্রজন্মের তরুন ভগবান ভক্ত সরল মনের ব্যবসায়ী জনাব লিটন শিকদার এবং তাঁর যোগ্য সহধর্মীনি পুজা শিকদার। ভগবান তাদের প্রাচুর্য দিয়েছেন এবং সেই প্রাচুয্যেই ভগবান তুষ্ট হচ্ছেন। এই পুজোয় বিশেষ আকর্শন হলো ৬৫১টি দেব দেবীর মুর্তী। যা উপ মহাদের কোথাও এই নজির স্থাপিত হয়নি। আমার বিশ্বাস এর এই পুজা এবং এর সার্বিক আয়োজন ও ঐতিহাসিক মুর্ত্তি সংরক্ষন এর নির্দশন একদিন গ্রীনিজ বুকে নাম লিখাবে এবং দেশকে করতে গৌরবান্বিত। আমরা কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি রাখি আমাদের এই গর্ব এবং ধর্মীয় কৃষ্টি ও কালচারের সৌন্দয্য, ভাবগ্রাম্বিয্য এবং হারিয়ে যাওয়া আচার অনুষ্ঠানের পুনরুদ্ধার সবই যেন নতুন পুরানের সমাহার স্থান পায় গ্রীনেজ বুকে।
অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোন থেকেও এই পুজার, বিশেষ করে শ্রী শ্রী দুর্গা পুজার মাহাত্ব অনেক বেশী। এখানেই প্রমান হয় ভগবানের প্রতি ভালবাসার গভিরতা। আর এই প্রমানে শতভাগ উত্তির্ণ হয়েছে জনাব লিটন শিকদার। যা যা করার প্রয়োজন তার চেয়ে হাজারো গুন বেশী তিনি করে থাকেন। ভগবান পুজাভক্ত লিটন দাকে জানাই শুভেচ্ছা ও স্বশ্রদ্ধ সালাম। জনব লিটন এখন এই উপমহাদেশের অহংকার আর ভগবানের বিশ্বস্ত কাজের জলন্ত দৃষ্টান্ত।
কি থাকছে দূর্গা পুজা ২০১৭তে:
মহালয়া: ৪ই আশ্বিন, ১৯শে সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার ১৪২৪সন।
শ্রী শ্রী শারদীয় দূর্গাপূজার সময় নির্ঘন্ট:১০্ই আশ্বিন, ইং ২৫শে সেপ্টেম্বর, সোমবার পঞ্চমী তিথি দং ২০/২/৪৭ ঘ, ১/৫৯/৪১ পর্যন্ত। শ্রী শ্রী শারদীয় দূর্গাদেবীর পঞ্চমী কল্পারম্ভ প্রশস্ত। সায়ংকাল দেবীর বোধন।
মহা ষষ্ঠী : ১১ই আশ্বিন, ইং ২৬শে সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার ষষ্ঠী তিথি দং ২৪/৪১/৫৮ ঘ ৩/৫১/৪২ পর্যন্ত। শ্রী শ্রী শারদীয় দুর্গাদেবীর ষষ্ঠাদিকল্পারম্ভ ও ষষ্ঠী বিহিত পূজা প্রশস্তা, সায়ংকালে দেবীর আমন্ত্রণ ও অধিবাস। ষষ্ঠী পুজার বিশেষ আকর্ষণ: দিবা ১২-০১ ঘটিকার মধ্যে ঘট বিসর্জন অনুষ্ঠান।
মহা সপ্তমী: ১২ই আশ্বিন ইং ২৭শে সেপ্টেম্বর, বুধবার মহা সপ্তমী তিথি দং ২৯/৫০/৭ সন্ধ্যা ঘ ৫/৫৫/১৯ পর্যন্ত। শ্রী শ্রী শারদীয় দূর্গাদেবীর নবপত্রিকা প্রবেশ স্থাপন সপ্তমী কল্পারম্ভ বিহিত পূজা প্রশস্ত। সপ্তমী পুজার বিশেষ আকর্ষণ: দিবা ১০ ঘটিকার মধ্যে কলা বউয়ের ¯œান ও মন্দিরে প্রবেশ।
মহা অষ্টমী: ১৩ই আশ্বিন, ইং ২৮শে সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার অষ্টমী তিথি দং ৩৫/০/১৫ রাত্রি ঘ ৭/৫৯/৪২ পর্যন্ত। শ্রী শ্রী শারদীয় দূর্গাদেবীর কেবল মহাষ্টমী কল্পারম্ভ এবং মহাষ্টমীবিহিত পূজা প্রশস্ত। অষ্টমী পুজার বিশেষ আকর্ষণ: দিবা ১ ঘটিকায় কুমারী পূজা।
সন্ধিপুজা: রাত্রি ঘ ৭/৩৫/৪২ গতে সন্ধিপুজারম্ভ। রাত্রি ঘ ৮/২৩/৪২ এর মধ্যে, সন্ধিপুজা সমাপন।
মহা নবমী: ১৪ই আশ্বিন, ইং ২৯শে সেপ্টেম্বর, শুক্রবার তিথি দং ৩৯/৪৫/৩৬ রাত্রি ঘ ৯/৫৪/১২ এর মধ্যে, শ্রী শ্রী শারদীয় দূর্গাদেমীর নবমী বিহিত পুজা প্রশস্ত। নবমী পুজার বিশেষ আকর্শণ: দিবা ঘ ১১ থেকে দিবা ঘ ১২ পর্যন্ত নব দেবী সাজ সজ্জ্বা, পূজা ও ভোজন বিলাস অনুষ্ঠান।
বিজয়া দশমী: ১৫ই আশ্বিন, ইং ৩০শে সেপ্টেম্বর, শনিবার দশমী তিথি দং, ৪৩/৪৬/৩৪ রাত্রি ঘ ১১/৩০/৫৬ পর্যন্ত। পূজা শেষে শ্রী শ্রী শারদীয় দূর্গাদেবীর আরতী ও সিদুঁর পরানো অনুষ্ঠান, রাত্রী ঘ ১০/০০ অন্তে দূর্গা মায়ের বিসর্জন।
ঔঁ সর্ব্ব মঙ্গল্যমঙ্গল্যে শিবে সর্ব্বার্থসাধিকে শরণ্যে এ্যাম্বোকে গৌরী নারায়নী নমোহস্ততে:
সুধী ভক্তবৃন্দ,
শরৎতে শিশিরশিক্ত হয়ে শিউলি ফুলে গন্ধে যখন মুখরীত হয় ধরণী তল, তখনই অবিরর্ভাব ঘটে মঙ্গলময়ী দেবী মা দূর্গার। অসুভ শক্তিকে পদদলীত করে, সকলের জন্য মঙ্গল বার্তা নিয়ে দশভুজা মা দূর্গা ধরাধামে আসেন বার বার। প্রতি বছর আমরা তাই একত্রিত হই তার আরাধনায়।
আমরা চেষ্টা করেছি সত্য, ত্রেতা, দ্বাপর ও কলি যুগ হতে উল্লেখযোগ্য অংশ প্রতিস্থাপন পূর্বক ৬৫১টি বিভিন্ন দেবদেবীর প্রতিমার সমন্বয়ে মাঙ্গলিক ক্রিয়াদিসহ প্রদর্শন পূর্বক হিন্দু ধর্মীয় ইতিহাসকে বর্তমান প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার।
ধর্ম যার যার উৎসব সবার এই উক্তিটিকে সামনে রেখে আসুন আমরা সবাই মিলে সকলের মঙ্গল কামনায় মন্দির প্রাঙ্গনে সমবেত হই। তাই অনুষ্ঠানাদি সুসম্পন্ন করতে আপনাদের আন্তরিক উপস্থিতি সফল করবে আমাদের এ ক্ষুদ্র প্রয়াস।
বিনয়াবনত
ডা: দুলাল শিকদার ও রমা শিকদার
উক্ত পূজায় আরো একটি বিশেষ আকর্ষণ রয়েছে:
মন্দির সংলগ্ন পুকুরের ভীতর ৪০ ফুট উচু পাহাড়ের উপর ধ্যানমগ্ন শীব ঠাকুর এবং পাহাড়ের পাদদেশে ধ্যানমগ্ন মা সারদা দেবী, সাধক রাম কৃষ্ণ পরমহংস দেব ও স্বামী বিবেক আনন্দ, সাথে থাকবে অবীস্মরণীয় আলোর ঝলকানী। অবশ্যই দেখতে ভুলবেন না।
উক্ত শাদীয় দূর্গা পূজা ১৪২৪ উপলক্ষ্যে আগামী ২৬ শে সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার দুপুর ৩টায় হাকিমপুর শিকদার বাড়ী দূর্গাপূজা মন্ডপে মহা ষষ্ঠি পূজার শুভ উদ্ভোধন করার সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন- মান্যবর জনাব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা; হাই কমিশনার, ভারতীয় দুতাবাস, ঢাকা, বাংলাদেশ।
আরো উপস্থিত থাকবেন: জনাব আলহাজ্জ ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ, এমপি, ঢাকা-১৬; জনাবা হ্যাপী বড়াল, এম পি, মহিলা আসন-১১; জনাব রাজেশ উকে, প্রথম সচিব, ভারতীয় হাই কমিশন; জনাব তপন কুমার বিশ্বাস, জেলা প্রশ্সাক, বাগেরহাট; জনাব মো: নিজামুল হক মোল্লা, পুলিশ সুপার, খুলনা; জনাব পঙ্কজ চন্দ্র রায়, পুলিশ সুপার বাগেরহাট; জনাব বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসমত কাদীর গামা, ভাইস চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল; জনাব সাইফুল ইসলাম ভূইয়া, উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক, আশিয়ান গ্রুফ, ঢাকা; জনাব অমিত কুমার-সভাপতি, পুজা উদযাপন পরিষদ, বাগেরহাট; শ্রী শিব প্রসাদ ঘোষ, সভাপতি-হিন্দু বৌদ্ধ, খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ, বাগেরহাট।
উক্ত পুজা উদযাপন অনুষ্ঠানের সভাপত্তিত্ব করবেন জনাব আলহাজ্জ্ব এ্যাডভোকেট মীর শওকাত আলী বাদশা, এম পি, বাগেরহাট-২।
উক্ত শারদীয় সপ্তম পূজা বার্ষীকিতে আপনাদের আমন্ত্রণসহ শারদীয় শুভেচ্ছা—
যাতায়াতের সুবিধার্থে পথ নির্দেশনা: রুপসা, মংলা, বাগেরহাট থেকে যে কোন পরিবহন যোগে চুলকাঠি নেমে পুলিশ ফাড়ির পূর্বদিকে দেড় কিলোমিটার ভিতরে হাকিমপুর শিকদার বাড়ীর দূর্গা মন্দির।