ভজন শংকর আচার্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ সাম্প্রতিক অতিবর্ষন ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে কসবা উপজেলার বায়েক ও গোপিনাথপুর ইউনিয়নে মাত্র ৩৯ কোটি টাকার ক্ষয় ক্ষতি নিরুপন করা হলে ক্ষতিগ্রস্থ অন্যান্য ইউনিয়নের মানুষের মধ্যে হতাশা নেমে এসেছে। পুরো এলাকা তদন্ত না করে ক্ষতির পরিমান নিরুপনে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার মানুষের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তাপস চক্রবর্তী জানান; সাম্প্রতিক বন্যায় উপজেলার বায়েক ও গোপিনাথপুর ইউনিয়নে ৪২ টি গ্রামের ৫৭৩টি পরিবারের ২ হাজার ৩শ জন সদস্য ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির মধ্যে রয়েছে; ফসলী জমি ৭২০ হেক্টর, বীজতলা ১২ হেক্টর, পাকা রাস্তা ৭৭ কিলোমিটার, কাচা রাস্তা ১৯ কিলোমিটার, সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ৩টি এবং মাছ ভেসে গেছে ১৯৭টি পুকুরের।
এদিকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রনালয়ের উদ্যোগে এবং উপজেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর সকালে স্থানীয় জেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে ক্ষতিগ্রস্থ ১৩৩ জনের মাঝে ২ লাখ টাকা বিতরন করা হবে। বিতরনী অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসিনা ইসলাম এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আইন,বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী এডভোকেট আনিসুল হক এম.পি। বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন উপজেলা চেয়ারম্যান এডভোকেট আনিসুল হক ভূইয়া। অনুষ্ঠানে উপজেলার বিভিন্ন বিভাগীয় কর্মকর্তাগন সহ দলীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।
কসবা পৌর এলাকার ৫টি গ্রাম ও কায়েমপুর ইউনিয়নের ৬টি গ্রামের উপর দিয়ে পাহাড়ী ঢলের পানি প্রবাহিত হওয়ায় ওই এলাকার রাস্তা ঘাট, পুকুর, ফসলাদি ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার মানুষের তালিকা না করায় ওই এলাকার মানুষের মধ্যে হতাশা নেমে এসেছে। তারা মনে করেন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কোন প্রকার তদন্ত না করেই অন্যান্য এলাকাকে সাহায্য থেকে বঞ্চিত করেছেন।