ফরিদ, কক্সবাজার থেকে॥ নিজের জীবন বাচাঁতে মুসলিম হবে বলেই মিয়ানমারের চিকনছড়া থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন। বাংলাদেশের আসার পর জাতিসংঘ (UNHCR) এর হস্তক্ষেপে উদ্ধার করা হয়। ষোড়শী রোহিঙ্গা রাজকুমারীকে ধর্ষণ ও মুসলিম করে রোহিঙ্গা মুসলিমরা। উখিয়াতে দায়িত্ব পালনকারী জাতিসংঘ (UNHCR) এর ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম রাজকুমারীকে ২৯ আগস্ট মঙ্গল বার পুতুপালং ১ নং শরণার্থী শিবিরের রোহিঙ্গা ফাতেমার ঘর থেকে উদ্ধার করে উখিয়া থানা পুলিশের কাছে রাখেন।
বুধবার সকালে পুলিশ ও জাতিসংঘ (UNHCR) এর ম্যাজিস্ট্রেট রাজকুমারীককে স্থানিয় যুবলীগ নেতা বাবুল শর্মার কাছে হস্তান্তর করেন। কক্সবাজার জেলা উখিয়া উপজেলার পুতুপালং হরি মন্দির ও লোকনাথ মন্দির সংলগ্ন শরণার্থী শিবিরে গেলে খোঁজ পাওয়া যায় ষোড়শী হিন্দু রোহিঙ্গা রাজকুমারীর।
রাজকুমারী বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে এক দল কালো পোশাকের লোক তাদের ঘর ঘেরাও করে রাখেন। সকালে তার বাবা মিলন শর্মাকে একটি দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন। এর পর মা ও বড় দুই বোন কে চোঁখ বেধেঁ জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ করে হত্যা করেন। বড় দুই ভাই সহ ঠাকুর দাদাকে ও রাজকুমারীর সামনে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করেন।
পরিবারের ৭ সদস্যকে হত্যা করার পর হত্যাকারীরা রাজকুমারীকে বলেন, রক্ত দেখ, তোর পরিবারের সদস্যদেরকে কি ভাবে হত্যা করেছি রক্ত দেখ। হত্যাকারীরা রাজকুমারীকে আরো বলেন, তুই বাচঁতে চাইলে মুসলমান হতে হবে। রাজকুমারী জীবন বাচাঁতে মুসলমান হবে বলে রক্ষা পেলেন। এর পর রাজকুমারীকে চোঁখ বেধে নিয়ে যায় জঙ্গলে। ২ দিন জঙ্গলে রেখে ২৭ আগস্ট রবিবার ভোরকা পরিয়ে রাজকুমারীকে বাংলাদেশে আনা হয়েছে। ২৯ আগস্ট মঙ্গল বার রোহিঙ্গা ফাতেমার ঘর থেকে রাজকুমারীকে জাতিসংঘ (UNHCR) উদ্ধার করেন। রাজকুমারী আরো বলেন, কালো পোশাকধারী নূরুল হক নামের এক রোহিঙ্গা তাকে বাংলাদেশে এনেছে।
অনুসন্ধানে জানাযায়, নূরুল হক কালো পোশাক পরে বাংলাদেশে এসেছে। বাংলাদেশে এসে কালো পোশাক খুলে পেলেছে। ১৯৯১ সালে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গা নূরুল হক বাংলাদেশে এসে উখিয়াতে থাকেন। মাঝে মাঝে মিয়ানমারে যায়। বিভিন্ন জঙ্গী সংগঠনের সাথে নূরূল হকের সম্পক রয়েছে। এ দিকে ফাতেমার সাথে কথা বলে জানাযায়, ফাতেমা ও ১৯৯১ সালে বাংলাদেশে এসেছে। ফাতেমা ও মিয়ানমারে মাঝে মাঝে আসা যাওয়া করেন ।