প্রতি,
জনাব পৃথিবী।
মহোদয়,
বিনয়ের সঙ্গে নিবেদন করছি যে, আমি আপনার রাজত্বে একজন নিরীহ, সাধারন নাগরিক। আমি ক্ষুদ্র মানুষ, আমার চিন্তা-চেতনা আরো ক্ষুদ্র। এরুপ সামান্য ভাবনার মানব মননে আমি যখন দেখি- মায়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমান কতৃক জনাকতেক সিপাহী হত্যার অজুহাতে (সিপাহী হত্যা বার্মা কথন, প্রমানিত নহে) হাজার হাজার নিরীহ মুসলমান হত্যা, জবাই করা হলো, অগনিত নারীকে ধর্ষন ও খুন, শিশু হত্যা, লাশের পর লাশ ফেলে বৌদ্ধভিক্ষু ও আর্মিরা যখন নারকীয় উল্লাসে পৈশাচিক নৃত্য করে, জীবিত মুসলিম নারী, পূরুষ, শিশুকে কুড়ালে কুপিয়ে সেই মাংস বৌদ্ধরা চিবিয়ে চিবিয়ে খায়——।
এমন উম্মাদিক হত্যাযজ্ঞ যদি আপনার দেশ, আপনার সম্প্রদায়ে সম্পাদিত হতো, তবে কি আপনি এমন আয়েসে ঢিলেঢালা ব্যবস্থার পথে হাটতেন, নাকি মায়নমারের উপর সবরকম নিষেধাগ্যা বা জাপানের হিরোশিমা – নাগাসাকির মতো এটম বোমা ফেলতেন?
নিরীহ, অসহায়, নিরপরাধ রোহিঙ্গা মুসলিম হত্যাযজ্ঞে আমি খুব অসহায় বোধ করছি, জনাব পৃথিবী। কেউ কোন অপরাধ করলে, অপরাধীর বিচারের বিধান আছে। একজনের অপরাধে অন্যকে শাস্তি দেওয়া জঘন্য অপরাধ।
ইরাকে বিদ্ধংসী অস্ত্র রাখার মিথ্যা অপরাধে বুশ – ব্লেয়ার, সাদ্দাম হোসেন ও ইরাককে ধ্বংশ করলো, লক্ষ লক্ষ লোক খুন করা হলো, এখনো খুন বোমাবাজি চলছে, মুসলমানের দেশ, মুসলমান ধ্বংশ হচ্ছে, হে পৃথিবী- এ সবই অন্যায়। এসবই প্রমানিত অপরাধ। আমরা সবাই জানি, আমরা মাথা ঘামাই না – কারন, দলে দলে মরছে মুসলমান। মুসলমান মরলে কি কারো ক্ষতি হয়? মুসলমান কি মুসলমানের কাছে মর্যাদাবান?
মুসলমানকে হত্যা করা হচ্ছে– প্যালেষ্টাইনে, ভারতে, কাশ্মীরে, ইরাকে, সিরিয়ায়, মায়ানমারে- পৃথিবীর কোন সংখ্যাগুরু দেশে না?
জনাব, আজ তোমার দুনিয়ায় যত্রতত্র বঞ্চিত, লাঞ্চিত, নির্যাতিত, হত্যা, খুন, যখম সকল অন্যায়ে মিথ্যা অভিযুক্ত করা হচ্ছে সকল মুসলমানকে।
প্রাকৃতিক প্রতিকার আল্লাহর তরফ থেকে হবেই- দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে এই আশায় আশাবাদী——–।